আম্মুকে দেখেছি ঋতুস্রাবের দিনগুলোতেও বিভিন্ন মাসনুন দুআ পড়েন। মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প তাসবিহও পড়েন। আম্মুর দেখাদেখি আমরাও এ সময়গুলোতে মাসনুন দুআসমূহ আদায় করি। কিন্তু একজন বলল, মেয়েদের জন্য এ সময়ের দুআ-দরূদ পড়া কিংবা যিকির-আযকার করা কোনোটিই জায়েয নেই। তাই বিষয়টির সমাধান জানতে চাই।
ঐ লোকের কথা ঠিক নয়। মাসিক স্রাবের দিনগুলোতে নারীগণ দুআ-দরূদ, যিকির-আযকার, তাসবীহ-ইস্তিগফার সবই করতে পারবে। তবে এ অবস্থায় কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা যাবে না। এক বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ مَعْمَرٍ قَالَ: سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ، عَنِ الْحَائِضِ وَالْجُنُبِ أَيَذْكُرَانِ اللَّهَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قُلْتُ: أَفَيَقْرَآنِ الْقُرْآنَ؟ قَالَ: لَا.
মা‘মার রাহ. বলেন, আমি যুহরী রাহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুমতী নারী ও যার উপর গোসল ফরয হয়েছে সে আল্লাহর যিকির করতে পারবে? তিনি বললেন, হাঁ, পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে? তিনি বললেন, না। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৩০২
عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: الْحَائِضُ وَالْجُنُبُ يَذْكُرَانِ اللَّهَ وَيُسَمِّيَانِ.
ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ঋতুমতী নারী ও যার উপর গোসল ফরয হয়েছে সে আল্লাহর যিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৩০৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৬৫; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৭৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৩