শায়খুল ইসলাম উপাধিপ্রাপ্ত মনীষীগণ কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, তাঁরা ইলম, কালাম, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, তাকওয়া, আধ্যাত্মিকতা, নম্রতা, সরলতা, নিষ্ঠা, দরাযদিল, আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, দুনিয়াবিমুখতা, সাহসীকতা, পাণ্ডিত্য, লেখনী, বয়ান, নছিহত, উপদেশমূলক আলোচনা, ধার্মিকতা, হামদর্দি ও সততার দিক দিয়েও তাঁরা শায়খুল ইসলাম এবং সর্বোচ্ছ মর্যাদার অধিকারী। শায়খুল ইসলাম উপাধি সাধারণ কোন বিষয় নয়। দেশের সর্বোচ্ছ আলেমকেই এই উপাধি দেয়া যায়। আল্লামা শাহ আহমদ শফীও তেমন এক উজ্জ্বল জোতিষ্ক।
বিগত ১ অক্টোবর ১৮ খ্রিস্টাব্দ শায়খুল ইসলামের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিডিয়া পাড়া থেকে ধরে এফবিসহ মানুষের মুখে মুখে অপপ্রচারের সয়লাব। যারা এধরণের টানাটানি করে তিলকে তাল বানাতে আধা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, কারো কথা বুঝতে হলে তার অবস্থান, প্রেক্ষাপট ও মাহাত্ম্য বুঝা দরকার। তিনি যে কথা বলেছেন তা ৯৫ বছর বয়সী গবেষণাধর্মী কথা। আপনি ৯৫ মিনিটও গবেষণা না করে শায়খের কথার আলু কচু ব্যাখ্যা শুরু করে দিলেন!
শায়খ তো স্পষ্ট বলেছেন, আমি আওয়ামীলীগ হয়ে যাইনি। যারা এমন কথা বলে তারা কমবখত। পরবর্তী কথাটি তো মূল কথার উপকথা মাত্র। যেমন, দশজন ব্যক্তি মিলে একজনকে যেকোনো একটি বিষয়ে বারবার বিরক্ত করার পর সেই ব্যক্তি যদি বলে যে, তোমরা যা বলছো আমি তা হয়ে গলেও তোমার কী সমস্যা?
এর অর্থ এই নয় যে, আমি সেই কাজে জড়িত। কেউ হিন্দুর দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করে বলে সে হিন্দু হয়ে গেছে এমন নয়।
শায়খ কথাটি রাগতস্বরে বলেছেন যে, কেন তোমরা আমাকে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছ? আমি তো আমার আদর্শ থেকে মুটেও পিছ পা হইনি। আমি নীতি পরিবর্তন করিনি। তোমরা শুধু শুধু আমার নামে মিথ্যাচার করে আমাকে বিরক্ত করতেছ।
তাছাড়া ও তিনি পরিষ্কার বলেছেন, আমি আওয়ামীলীগ হয়ে যাইনি। যারা এমন মিথ্যাচারে লিপ্ত তোমরা আল্লাহর নিকট কী জবাব দেবে?
মাদরাসায় দান করার বিষয়টি তো আরো পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন যে, এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা আওয়ামীলীগ করে কিন্তু তারা ধর্মকে ভালোবাসে। তারা আমাদের মাদরাসায় অনেক বছর আগে থেকে দান খায়রাত করে।
এখানে তিনি আদর্শচ্যুত হওয়া এবং বিক্রি হয়ে যাওয়ার গন্ধ পেলেন কোথায়? কারো বিষয়ে মন্তব্য করার আগে একটু ভেবে দেখা উচিত। তবে কথা যদি বড়দের হয় তাহলে তো হাজারবার চিন্তা করা দরকার যে, তিনি কী বলেছেন। না বুঝে যেকোন মন্তব্য তো পাপাচারে শামিল।
তিনি হযরত মাদানী রহ. এর ছাত্র এবং খলীফা। এমনে এমনে তাকে মাদানী রহ. খেলাফত দেননি। কাজেই কথাগুলো চিন্তা করুন এবং নিজের মন মতো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো থেকে বিরত থাকুন।