আমি ইসলামে ধর্মান্তরিত নারী। আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি এবং আল্লাহ আমার জীবনকে বদলে দিয়েছেন।
আগে আমি খুবই দুঃসাহসী ধরনের ছিলাম। ছোটকাল থেকেই আমি সবসময়ই বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে চাইতাম।
কিন্তু যখনই কোনো সাহসিক কাজ শেষ হয়ে যেত, তখনই আমি আমার জীবনে শুন্যতা অনুভব করতাম। তাই আমি অন্য কিছু খুঁজছিলাম। তাই আমি অনেক দেশ ভ্রমণ করেছি এবং অনেক কিছু দেখেছি এবং এটি আমাকে আমার বন্ধুদের কাছে অত্যন্ত ক্রেজি করে তুলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি সবসময়ই একা অনুভব করতাম।
আমি মিশরে গিয়েছিলাম এবং মিশর ভ্রমণই আমাকে ইসলামের সংস্পর্শে নিয়ে আসে। সেখানে আমাকে অনেক দরিদ্র মানুষ তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; যা আমাকে খুবই বিস্মিত করেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, যারা যত বেশি দরিদ্র, তাদের আতিথেয়তাও যেন তত বেশি। তারা তাদের শেষ খাবার টুকুও আমার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল।
তাদের এই প্রশান্তি কোথা থেকে আসে তা আমি অনুসন্ধান করতে থাকি। এবং তারপর আমি সিনাই উপত্যকার দাহাবে চলে আসি এবং এখানেই আমি আমার জীবন সঙ্গীর সন্ধান পাই। সেখানে আমরা পশ্চিমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করি এবং আমি সবসময় তাকে বলতাম- আমাদের সংস্কৃতিই উত্তম এবং আমি যখনই যুক্তিতর্কে লিপ্ত হতাম, তখনই বুঝতে পারতাম যে পশ্চিমা সংস্কৃতির চেয়ে ইসলামি সংস্কৃতি অনেক বেশি মহান। বলা যায় তিনি আমাকে ভালভাবে কনভিন্স করতে পেরেছিল।
পরে আমরা দুজনে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হই এবং বিয়ের কয়েক মাস পরেই আমি ইসলামে ধর্মান্তরিত হবার সিদ্ধান্ত নেই। আমার স্বামীর নাম আলা জাকারিয়া। আবদুর রহমান ও শেরহান নামে আমার দুটি সন্তান রয়েছে।
আমি যখন প্রথমবারের মতো জাকাত প্রদান করি, সেটি আমাকে অত্যন্ত আনন্দিত করেছিল। আমি বুঝতে পারি যে আমাদের অর্থ এবং আমাদের সম্পদে আল্লাহর আশীর্বাদ রয়েছে।
এবং আমি মনে করি জাকাত প্রদান করা একটি উত্তম কাজ কারণ এর মাধ্যমে ধনী ও দরিদ্র ব্যক্তিরা একসঙ্গে মিলিত হতে পারেন। এটা ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার ব্যবধান দূর করে।
তাই আমি চাই যেন কোথাও কোন দরিদ্র না থাকে এবং আমরা যেন সবাই একসঙ্গে সুখী হতে পারি। অ্যাবাউট ইসলাম অবলম্বনে বার্তা সংস্থা ইকনার প্রতিবেদন।