ক. কোন ব্যক্তি যদি ঈদের নামাযে প্রথম তিন তাকবির শেষ হওয়ার পর কেরাত অবস্থায় নামাযে শরীক হয় তাহলে তার তাকবীরের হুকুম কী?
খ. কোন ব্যক্তি যদি ঈদের নামাযের প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর মধ্যে শরীক হয় তাহলে সে তাকবীর কখন বলবে?
গ. কোন ব্যক্তি ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাত অবস্থায় শরীক হলে তার তাকবীরের হুকুম কী?
ঘ. আর কেউ যদি ঈদের নামাযে ইমাম সাহেবকে শেষ বৈঠকে পায় তাহলে তার তাকবীরের হুকুম কি?
দয়া করে জানারে উপকৃত হব।
ক. ঈদের নামাযে কোন ব্যক্তি যদি ইমামের সাথে প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তাকবীর না পায় বরং কিরাত অবস্থায় নামাযে শরীক হয় তাহলে সে তাকবীরে তাহরীমার পর নিজে নিজে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলে নিবে। -ফাতাওয়া তাতরখানিয়া ২/৬১৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫১
খ. ঈদের নামাযে ইমামকে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর মধ্যে পেলে যদি তার প্রবল ধারণা হয় যে, দাঁড়ানো অবস্থায় অতিরিক্ত তাকবীর বলে সে ইমামের সাথে রুকুতে শরীক হতে পারবে, তাহলে তাকবীরে তাহরীমার পর দাঁড়ানো অবস্থায়ই অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলে রুকুতে ইমামের সাথে শরীক হবে। আর যদি দাঁড়িয়ে তাকবীর বললে ইমামকে রুকুতে না পাওয়ার প্রবল ধারণা হয় তাহলে তাকবীরে তাহরীমার পর রুকুতে চলে যাবে। এবং রুকুতেই হাত উঠানো ছাড়া অতিরিক্ত তাকবীরগুরো বলে নিবে। এ ক্ষেত্রে রুকুর তাসবীহ না বললেও চলবে।
প্রকাশ থাকে যে, রুকুতে ইমামের সাথে শরীক হওয়ার পর অতিরিক্ত তাকবীর বলার মত সময় না পেলে সে ক্ষেত্রে আর তাকবীর বলতে হবে না। ইমামের সাথে রুকু পাওয়ার কারণে সে ঐ রাকাত পেয়েছে এবং সাথে সাথে তাকবীরও পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। -ফাতওয়া তাতরখানিয়া ২/৬১৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫১
গ. ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতের কেরাত অবস্থায় পেলে যথারীতি ইমামের সাথে শরীক হয়ে যাবে। এবং ইমাম যখন রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবীর বলবে সেও ইমামের সাথে তাকবীর বলবে। আর ইমামের সালাম ফিরানোর পর ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বে তারপর রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলবে। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৬১৯, ৬২১; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৪
ঘ. যে ব্যক্তি ঈদের নামাযে শেষ বৈঠকে শরীক হবে তার কর্তব্য হল, সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই উভয় রাকাত আদায় করবে। অর্থাৎ প্রথম রাকাতের জন্য দাঁড়িয়েই কিরাতের পূর্বে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতে কিরাতের পর অতিরিক্ত তাকবীর বলবে। -ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৫