জনৈক ব্যক্তির দুই মেয়ে। বড় জনের নাম আয়েশা। ছোটজনের নাম হালীমা। আয়েশার তুলনায় হালীমা সুন্দরী। আয়েশার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। মেয়ের আত্মীয় স্বজন পাত্রী দেখানোর সময় আয়েশাকে না দেখিয়ে হালীমাকে দেখায়। পাত্র জানতে পারে যে, সে আয়েশাকেই দেখছে। পরবর্তীতে বিয়ের তারিখ ধার্য হয় এবং আয়েশার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পাত্রকে বলা হয় যে, অমুকের মেয়ে আয়েশাকে তোমার বিবাহে এত দেন মোহরের এওয়াজে দিলাম। তখন পাত্র কবুল করে। পরবর্তীতে যখন তাদের সাক্ষাত হয় তখন দেখা গেল যে, যেই মেয়েকে সে দেখেছিল সেই মেয়ের সাথে তার বিবাহ হয়নি। ধীরে ধীরে মেয়ে পক্ষের কারসাজি সম্পর্কে ছেলে সবই অবগত হয়। এখন পাত্র জানতে চায়, তার এ বিবাহ সহীহ হয়েছে কি? আয়েশার সাথেই বিয়ে হয়েছে? না কি তার ছোট বোন, যাকে সে দেখেছিল তার সাথে বিবাহ হয়েছে। কেননা সে তো হালীমাকেই দেখেছে এবং সে তাকেই বিয়ে করছে। পাত্র যদি আয়েশাকে মেনে নিতে না পারে তবে তার তালাক দেওয়া কি বৈধ হবে?
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী বিয়ের আকদের সময় যেহেতু আয়েশার নাম উল্লেখ করে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এই প্রস্তাবের উপরই পাত্র কবুল বলেছে তাই আয়েশার সাথেই তার বিবাহ সংঘটিত হয়েছে। এক্ষেত্রে মনে অন্য মেয়ের কথা থাকলেও সেটা ধর্তব্য হবে না। কেননা যার নাম উল্লেখ করে প্রস্তাব ও কবুল করা হয় তার সাথেই বিবাহ হয়ে যায়। তবে পাত্রী পক্ষের এহেন ধোঁকাপূর্ণ আচরণ মারাত্মক অন্যায় হয়েছে। এ জন্য তাদের উচিত পাত্রের কাছে ক্ষমা চাওয়া। প্রকাশ থাকে যে, এ অবস্থায় পাত্র যদি উক্ত ভুলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আয়েশাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে দাম্পত্য জীবন চালিয়ে যায় তবে সে সওয়াবের অধিকারী হবে। অবশ্য সে যদি মানতে না পারে তবে তার জন্য আয়েশাকে তালাক দেওয়াও বৈধ হবে।
-রদ্দুল মুহতার ৩/২৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩২৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৪/৩৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৪/২৫