হযর আবু হুরায়রা (রাযি:) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট আসিলেন এবং এরশাদ করিলেন, দেখ, নিজের বাঁচার জন্য ঢাল লইয়া লও। সাহাবায়ে কেরাম (রাযি:) জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোন দুশমন আসিয়া গিয়াছে কি? তিনি এরশাদ করিলেন, জাহান্নামের আগুন হইতে বাঁচিবার জন্য ঢাল লইয়া লও। سبـــــــــــحان الله, الـــــــــــــــح
مد الله, لآ الــه الا اللــــــــــــــه, الله اكــبـــــــــــــــــــــــــــــــــــر. (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার) পড়। কেননা এই কালেমাগুলি কেয়ামতের দিন আপন পাঠকারীর সামনে, পিছন, ডান ও বাম দিক হইতে আসিবে এবং তাহাদের জন্য নাজাতদানকারী হইবে এবং এইগুলিই সেই নেক আমল যাহার সওয়াব চিরকাল মিলিতে থাকিবে। (মাযমায়ে বাহারাইন)
{অন্য রেওয়ায়েতে}> তিরমিযীর ৩৫০৯ নং হাদীসের বর্ণিত- হযর আবু হুরায়রা (রাযি:) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যখন তোমরা জান্নাতের বাগানের উপর দিয়া যাও তখন খুব বিচরণ কর। তখন হযরত আবু হুরায়রা (রাযি:) আরয করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! জান্নাতের বাগান কি? এরশাদ করিলেন মসজিদসমূহ। পূণরায়- আবু হুরায়রা (রাযি:) আরয করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বিচরণের অর্থ কি? এরশাদ করিলেন- سبـــــــــــحان الله, الـــــــــــــــحمد الله, لآ الــه الا اللــــــــــــــه, الله اكــبـــــــــــــــــــــــــــــــــــر. (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার) পাঠ করা।
তাবরানী, বাযযার, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ এর এক বর্ণনায়- উক্ত চার কলেমা পাঠ করা উহুদ পাহাড় হইতে বড় বলেছেন-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
এক রেওয়ায়েতে নেকী, গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বুলন্দীর কথা বলেছেন।
আরো বেশ কিছু হাদীসের কিতাবের মধ্যে এই চার কালেমার অনেক ফযীলত পাওয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বেশি বেশি এই চার কালেমা সত্য দিলে পাঠ করনেওয়ালা বানিয়ে দিন। আমীন! ছুম্মা আমীন!