ডাঃ জাকির নায়েক। একটি নাম। একটি ইতিহাস। অল্প সময়ে পুরো বিশ্ব মাত করে দেয়া এক সেলিব্রেটি।
খৃষ্টান থেকে নিয়ে বৌদ্ধ ও উদ্ভট মূর্তিপূজকদের কলজে নাড়িয়ে দেয়া এক বীর মুসলিম। প্রখর মেধা আর সম্মোহনী বক্তৃতায় আলো জ্বেলে চলছিলেন দিক থেকে দিগন্তে।
দুআয়, আশীর্বাদে আমরা তাকে উৎসাহ দিচ্ছিলাম।
কিন্তু আফসোস!
খানিক পদস্খলন।
সীমাতিক্রম করলেন তিনি। নিজের চৌহদ্দী পেড়িয়ে ফিক্বহ ফাতওয়ার জটিল ময়দানে পা রাখার ধৃষ্টতা দেখালেন। অনধিকার চর্চা করে মীমাংসিত মাসায়েলকে নতুন গবেষণার নামে সৃষ্টি করলেন এক ধুম্রজাল।
ফলে যা হবার তাই হল!
লা মাযহাবী শায়েখ মেরাজ রব্বানী, শায়েখ তাউসীফুর রহমান ও শায়েখ আবু যায়েদ জমীরের মত লা মাযহাবী শায়েখরাও প্রতিবাদে মুখ খুললেন। মাসায়েল বর্ণনার দুর্গম ও সুকঠিন পথ রেখে দাওয়াতী কার্যক্রমে রত থাকার পরামর্শ দিলেন।
আমরাও থমকে গেলাম। হলাম সতর্ক। সাধ্যানুপাতে এ বন্ধুর পথে পা না বাড়াতে অনুরোধ করলাম।
কিন্তু দিল থেকে এ দাঈকে কখনোই ঘৃণা করিনি। দুআ করেছি। অমুসলিম ও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে তার দালিলীক সংগ্রামকে স্বাগত জানিয়েছি। নাজাতের উসীলা হবার আশা রেখেছি।
শুনেছিঃ তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। কোর্ট টাই ছেড়ে শেরওয়ানী ধরেছেন। কখনো পাঞ্জাবীও। মতভেদপূর্ণ মাসায়েল বলা পরিত্যাগ করেছেন।
শোনা কথা। সত্য মিথ্যা আল্লাহু আলামু।
কিন্তু হঠাৎ!
সেই দ্বীনী ভাইকে জঙ্গী মদদদাতা ও উস্কানীদাতা বলে হয়রানী শুরু করল চরম হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার। চ্যানেল বন্ধ করাসহ নানাভিদ হয়রানী। উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো পিছন থেকে সরকারকে উস্কে দিতে লাগল। নির্লজ্জ মিডিয়াগুলো ইসলাম বিদ্বেষী পুরানো চেহারা প্রকাশ করল জঘন্যভাবে।
আমরা স্তম্ভিত। দ্বিধান্বিত। কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
আল্লাহর কসম! মোদী সরকারের জাকির নায়েক বিরোধীতার সাথে আমাদের জাকির নায়েক বিরোধীতার দূরতম কোন সম্পর্ক নেই।
ভারত সরকার জাকির নায়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নয়, বরং ইসলামের এক সেবকের মুখ স্তব্ধ করে দেবার হিংস্রতায় লিপ্ত।
এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমরা জাকির নায়েকের ভুল ফাতওয়া ও মিমাংসিত মাসায়েল নতুন করে উস্কে দিয়ে তার ফিতনামূলক কাজের বিরোধী। কিন্তু তার অন্যান্য দ্বীনী খিদমাতের বিরোধী নই। বরং শুভাকাংখী। কুফরী শক্তির সকল হয়রানী থেকে দ্বীনের এ দাঈসহ সকল দাঈদের আল্লাহ তাআলা হিফাযত করুন। আমীন।
@লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
