ছুটে চলুছিলেন, এমন কি চলার গতির তীব্রতা আমি তার ভুাটুদ্বয় দেখলাম, তার লুঙ্গি তার
হীটুতে জড়িয়ে যাজ্যি; তখন তিনি রলছিভৈলন,“তোমরা ছুটে চল, কেননা আল্লাহ্ তোমাদের
জন্য সাঈ আবশ্যকীয় করে দিয়েছেন ৷” আহ্মাদ (র) একাকী এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আহ্মাদ (র) আরো রিওয়ায়াত করেছেন আবদুর রাবৃযাক (র) সাফিয়্যা বিবৃত শায়বা (র)
হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, জনৈক মহিলা র্তাকে এ মর্মে খবর’ দিয়েছিল যে, তিনি নবী
করীম (না)-কে সাফা-মারওয়া-র মাঝে বলতে শুনেছেন,
তোমাদের জন্য আবশ্যকীয় করা হয়েছে, সুতরাং তোমরা সাঈ ৷” এ সনদের এ মহিলা পুর্ববর্তী
সনদদ্বয়ে স্পষ্ট উল্লিখিত হাবীবা বিবৃত আবু তাজ্বযাআই ৷ শায়রা ইবন উছমান (রা)-এর উম্মু
ওয়ালাদ১ হতে তিনি নবী করীম (সা) কে সাফাশু মারওয়ায় সাঈ করতে দেখেছেন; তখন তিনি
বলছিলেন “নিম্নভুমি দৌড়িয়ে-ই অতিক্রম করতে হবে ৷” নাসাঈ (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷
(গ্রন্থকারের মতে) এখানে সাঈ ভা৷ শব্দের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাফা হতে মারওয়া এবং
পুনরায় মারওয়া হতে সাফায় শুধু পমনাগমন ও চলাচল করা ৷ অর্থাৎ দুলতে দুলতে চলা কিংবা
দৌড়ে চলা এখানে উদ্দেশ্য নয় ৷ কেননা, আল্লাহ্ তাআলা তা অলৎঘনীয়রুপে আমাদের জন্য
সাব্যস্ত করেন নি, বরং কোন মানুষ যদি ঐ দুই স্থানের মাঝের সাত চক্করে স্বাভাবিক অবস্থায়
হেটে চলে এবং যাসীল তথা নিম্নভুমিতে রমল না করে, তবুও তা সকল আলিমের দৃষ্টিতে বৈধ ও
যথার্থ হবে ৷ এ বিষয় কোন মতানৈক্য যেই ৷ তিরমিযী (র) ও অনুরুপ উদ্ধৃত করে বলেছেন ৷
ইউসুফ ইবন ঈসা (র) কাহীর ইবন জাহ্মান (র) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন,
আমি ইবন উমার (রা) কে সাঈ করার স্থানে হেটে চলতে দেখে বললায, আপনি সাফা-
মারওয়া-র সাঈ ক্ষেত্রে হেটে চলছেন? তিনি বললেন, “আমি যদি দৌড়ে চলি তবে (তা
যথাযথ, কেননা) আমি তো রাসুলুল্লাহ (না)-কে দৌড়ে চলতে দেখেছি; আর আমি যদি হেটে
চলি তবে (তত্ত্ব-ও যথার্থ, কেননা) আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে হেটে চলতেও দেখেছি ৷ আর আমি
তো এখন একজন অতিবৃদ্ধ ৷” তারপর তিরমিযী (র) বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ ৷
সাঈদ ইবন জুবায়র (র)-ও ইবন আব্বাস (বা) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ,
নাসাঈ ও ইবন মাজা (র)-ও এ হাদীসখানি আতা’ ইবনৃস সাইব (র) সুত্রে ইবন উমর (রা) হতে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷
সুতরাং উভয় অবস্থার প্রতাক্ষকারী হিসাবে বিবৃত ইবন উমর (রা) এর উক্তির দু’টি ব্যাখ্যা
হতে পারে ৷ এক : কোন সাঈর সময় তিনি নবী করীম (সা)-কে আপা-গোড়া হেটে চলতে
দেখেছেন, যাতে রমল ও দৌড়ে চলার এতটুকুও মিশ্রণ ছিল না ৷ দুই : সাঈর কতক পথ তিনি
নবী করীম (সা)কে দৌড়ে চলতে এবং কতক পথ হেটে চলতে দেখেছেন ৷ তবে এ দ্বিতীয়
ব্যাখ্যাটি অপেক্ষাকৃত সরল ৷ কেননা, বুখাবী ও মুসলিম উবায়দুল্লাহ ইবন উমর আল উমরী
(র) ইবন উমর (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) সাফা মারওয়া সাঈ
১ উম্মু ওয়ালাদ : সন্তানের মা ৷ মনিব যে বীদীর সঙ্গে সহবাস করার পরে সন্তান হয়েছে সে বীদীকে উম্মু
ওয়ালাদ বলা হয় ৷ অনৃবাদক
কালে নিচু অংশটুকু দ্রুতপদে অতিক্রম করতে তন ৷ আর জাবির (রা) এর পুর্বোল্লেখিত ৩হাদীসে
রয়েছে যে,“ নবী করীম (সা) সাফ৷ থেকে অবতরণ করতে লাণলেন; যখন উপত্যকার
নিম্নতুমিতে তার পদযুগল স্থির হতে লাগল তখন তিনি রমল করলেন এবং এভাবে যেতে যেতে
চড়াই পথে আরোহণ কালে হেটে হেটে মারওয়ায় পৌছলেন ৷ “এবং সকল আলিমের মতে
পসন্দনীয় (এবং জাবির (রা)-এর হাদীসেও যেমনটি রয়েছে) যে, সাফ৷ মারওয়ায় সাঈ
পালনের জন্য মুসতাহাব পদ্ধতি হল প্রতি চক্করে উপত্যকার নিভােগে অর্থাৎ দু’পাহড়াড়ের
মধ্যবর্তী নালা রুপী নিম্ন সমতলে বুমল করবে ৷ ওারা এর সীমা নির্ধারণ করেছেন সবুজ রং এর
ফলকগুলির মাঝে সাফা র দিকে মসজিদ স০ লগ্ন একটি ফলক এবং য়ারওয়া প্রান্তের ও
মসজিদ ফলক ৷ তবে আ ৷লিমগণের কেউ কেউ বলেছেন, বর্তমানে
ফলকসমুহের মধ্যবর্তী আয়তন রাসুলুল্লাহ (সা) এর রমল করার স্থান নালার নিম্নাঞ্চলের চেয়ে
গ্রুাস্ততর ৷ ১ আল্লাহ সমাধিক অবগত
আলোচ্য বিষয় একটি আিমত ও তা যে পর্যালোচনা
তবে হাজ্জ ৷তুল ৰিদা’ নামে সংকলিত কিভাবে মুহাম্মদ ইবন হাবৃম (র) এর উক্তি “তারপর
নবী করীম (সা) সাফা অভিমুখে বেরিয়ে পড়লেন ৷ এবং
আয়াত তিলাওয়াত করে বললেন, আল্লাহ যেটি দিয়ে শৃরু করেছেন আমরাও সেখান থেকে শুরু
করছি ৷ ” তারপর সাফা-মড়ারওয়াতেও (বায়ভুল্পাহ্ তাওয়াফের ন্যায়) উটের পিঠে আরোহী
হয়ে সাত চক্কর দিলেন; তিন চক্কর দ্রুত লাল এবং চার চক্কর হেটে হেটে ৷” এ উক্তির সমর্থনে
কোন রিওয়ায়াত পেশ করা হয় নি এবং৩ তার (ইবন হাযম) সঙ্গে কেউ এ মমে ভিন্নমত পোষণ
করেন নি যে, নবী করীম (সা) সাফা মারওয়ার মাঝে তিন চক্কর ছুটে চলেছেন আর চার চক্কর
হেটে হেটে ৷ প্রথমত তাে এটি একটি স্পষ্ট বিভ্রান্তি এবং তদুপরি তিনি এর অনৃকুলে কোন
দলীল উপস্থাপন করেন নি৷ বরং আলোচনার প্রমাণস্বরুপ তিনি বলেছেন, “সাফা-মারওয়ার
মাঝে রমল’-এর সংখ্যাটি আমরা পরিষ্কারতাবে পাই নি, তবে কিনা এটি সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত ৷”
(মম্ভব্যং) এখন, তিনি যদি বুঝাতে চান যে, প্রথমত তিন চকর (আগাগােড়া) রমল করা যেমন
তিনি উল্লেখ করলেন এটা ই সর্বসম্মত সিদ্ধ ত তবে তা যথার্থ ও স্বীকৃত নয়, বরং তিনি ব্যতিত
আর কেউ এ অভিমত ব্যক্ত করেন নি ৷ আর যদি প্রথম তিন চক্করের অংশ বিংশ ৷য়ে রমল করার
বিধিবদ্ধত৷ সর্বসম্মত হওয়া বুঝানো তীর উদ্দেশ্য হয়, তবে এ বর্ণনা তার কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধির
সহায়ক নয় ৷ কেননা, বিদ্বান মনীষীগণ প্রথম তিন চক্করের অৎশৰিশ্যেব রমল করার ব্যাপারে
যেমন ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন, তেমনি পরবর্তী চার চক্করে তা মুসৃতাহাব হওয়ার ব্যাপারেও
র্তারা ঐক্যমত্য পোষণ করেন ৷ সুতরাৎ ইবন হাযম (র) কতৃক প্রথম তিন চক্করে রমল মুসৃতাহাব
হওয়ার ক্ষেত্ররুপে নির্দিষ্ট করা আলিমগণের অভিমতের পরিপন্থী ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
আর, সাফা-মারওয়ার মাঝে নবী করীম (না)-এর সওয়ার হওয়া সম্পর্কিত ইবন হাবৃম (র)-এর
উক্তি (এ বিষয় আমাদের বক্তব্য হল) তা, ইবন উমার (রা) হতে পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে যে,
১ বর্তমানে নিম্নভাগের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই ৷ তাকে সমতলে পরিণত করা হয়েছে ৷ তবে দৌড়ে চলার
সীমানা নির্ণায়র জন্য তৎকালীন নিম্নভুমির সমপরিমাণ স্থানকে সবুজ আস্তরণে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ৷
অনুবাদক
“রাসুলুল্লাহ (সা) উপত্যকায় (নালায়) নিম্নভাগে দ্রুতবেগে অতিক্রম করবেন (ঘুখারী-“ মুসলিম
রিওয়ায়াত কংরাক্রা) ৷ আর ইবন উমার (বা) হতে তিরমিঘীপ্রু (র); এর ংরিওয়ায়াত রয়েছে-
“আমি যদি দ্রুতবেগেচলি, তরেরাসুলুল্পাহ (না)-কে তােদ্রুত চলতে দেখেছি, “আর যদি হেটে
চলি, তবে রাসৃলুল্লাহী (সা)-কৈও হেটে চল্তেদেখেছি ৷ আর জাবির (রা) বলেছেন,“র্তীর
পদফ্রাং৷ যখন উপতকৌয় স্থির হয়ে বসৃতে লাগল তখন রমল করলেন, অৰ্শ্যেয যখন চড়তে
লাগলেন তখন স্বাভাৰিবভোবে ছুটিলেন (মুসলিম) ৷ এ ছাড়া আবু জাফর আলু বাকিয় (র) সুত্রে
জাবির (বা) হতে গৃহীত মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র)-এর হাদীস আমরা ইতোপুর্বেউল্লেখ করে
এসেছি ৷ (তাতে রয়েছে) যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তার উট মসজিদের দয়জায় বসিয়ে দিলেন-
অখাৎ উট বসাবার পরে তাওয়ফে করেছিলেন ৷ তারপর সাফা অভিমুখে বের হওয়ার সময়
সওয়াবীতে আরোহণ করেছেনবলে উল্লিখিত হয়
এ সব উদ্ধৃতির দাবী হল এই যে, রাসুল্ করীম (সা) সাফা মারওয়ায় পায়ে হেটে সাঈ
কঃরছিলেন, তবে মুসলিম (র) এর একটি হাদীসে এর ব্যাতিক্রম রয়োছ ৷ তিনি বলেন, আবৃদু
ইবন হুমায়দ (র)ঠুজাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে, তিনি বলেন, ৰু“কািড়ায় হ্জেপ্ নবী করীম
(সা) তার বড়াহনে-একটি উট-চড়ে বায়তুল্লাহ ও সাফা-মারওয়া তাওয়াক করেছেন, যাতে
লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং তিনিও উচু হতে সবাইকে দেখতে পান এবং যাতে লোকেরা
তার কাছে মাসৃআলা জিজ্ঞেস করতে পারে ৷ কেননা, জনতা তাকে ঘিরে রেখেছিল ৷”এবং
নবী করীম (সা) ও তার সাহাবীগণও সাফা মারওয়ায় একটির অধিক সাঈ করেন নি ৷ ” ইমাম
মুসলিম এ হাদীস আবু বক্র ইবন আবু শায়বা (র)আলী ইবন খাশরাম (র) এবং মুহাম্মাদ
ইবন হাতিম (র)(সব সনদই ইবন জ্বরায়জ মারফত পুর্বোক্ত উর্ধতন সনদে) তবে এগুলির
ণ্কান কােনটিতে এৰখ্ সাফা-মারওয়ায় কথাটুকু নেই ৷ আবু দউিদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন
আহ্মদ ইবন হাম্বাস (র)জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (র) বলেন, “ নবী কবীম (সা) বিদায় হৰ্জ্জ্ব
তার ৰাহনে চড়ে বায়তুল্লাহ ও সাফা-মারওয়ায় তাওয়াফ করেছেন ৷” নাসাঈ (র) রিওয়ায়াত
করেছেন ফাল্লাস (র)এবং ইমরান ইবন য়াযীদ (র) (উভয় সুত্র ইবন জুরায়জ মারফত
পুবেক্তি সনদে-) , যেটি কথা, ইবন জুরায়জ (র)-এর হাদীসরুপে এটি সংরক্ষিত ও পরিশৃদ্ধ এবং
যেহেতু এটি সমন্বয় অতিশয় জটিল ৷ কেননা, জাবির (বা) প্রমুখ হতে বর্ণিত সমুদয় রিওয়ায়াত
নির্দেশ করে যে, সাফা মারওয়া প্রদক্ষিণকালে নবী করীম (সা) পদব্রজে চলেছিলেন ৷
এখন দৃভাবে এ ব্যতিক্রমী রিওয়ায়াতটির জবাব দেয়া যায় ৷ (এক) জাবির (বা) হতে
(তার অধস্তন রাবী) আবুয্ যুবায়র (র)-এর রিওয়ায়াতের এ অতিরিক্ত অংশ অর্থাৎ সাফা-
মারওয়ায় মাঝে’ উক্তিটি সাহাবী পরবর্তী কোন রড়াবী-র অসর্তকতা প্রসুত দুর্বলতাব্র ফসল
কিংবা তা’ অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে ৷ আল্পাহ্ই সমাধিক অবগত ৷ (দুই) কিৎবা নবী করীম (সা) সাফা
মারওয়ায় তার কতক তাওয়াফ পায়ে হেটে আদায় করেছিলেন এবং অন্যান্য আনুষৎগিক
বিযয়াদিসহ তা অনেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷ পরে তার চারপাশে লোকের ভিড় বেড়ে যেতে
থাকংণ্৷ তিনি ৰাহনে আরোহণ করেন (যেমন একটু পরে উদ্ধৃত ইবন আব্বাস (রা)-এর
হাদীস নির্দেশ করছে) ৷ ইবন হড়াঘৃম (র) অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন যে, নবী করীম (সা)-
এর ৰায়তুল্লাহ প্রথম তাওয়াফ ছিল পায়ে হেটে, এবং আরোহী হয়ে তাওয়াফ করা সম্পর্কিত