অনুচ্ছেদ
ইবন জ বীর বলেন৪ কথিত আছে, এ বছর অর্থাৎ হিজরতে র প্রথম বর্ষে ঘৃকীম অবস্থার
নামাষে দু’ রাক্আত করে বাড়িয়ে দেয়৷ হয় ৷ ইতে তাপুর্বে মুকীম অবস্থায় ও সফরে নামায ছিল
দু’ রাকআত ৷ আর এ ঘটনা ঘটে নবী করীম (সা) এর মদীনায় আগমনের এক মাস পর
রবিউছ ছ৷ ৷নী মাসের ১ ২ তারিখে ৷ ইবন জারীর বলেনঃ ওয়ড়াকিদীর ধারণা মতে হিজাযবাসীদের
মধ্যে এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই ৷
আমার মতে, ম৷ মার সুত্রে হযরত আইশা থেকে বর্ণিত বুখারীর হাদীছ ইভ্রু৩ তাপুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ হযরত আইশা বলেন : প্রথমে নামায প্রতি ওয়াকত দু ’রাকআত ফরয করা হয় ৷
সফরকালে দু’ রাকআত বহাল রাখা হয় এবং মুকীম অবস্থায় আরো দুই রাকআত যোগ করা
হয় ৷ শাবী সুত্রেও তিনি এ মর্মে হযরত আইশ৷ (রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম
বায়হাকী হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মুকীম অবস্থায় শুরুতে চার রাকআত নামায ফরয
করা হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ সুরা নিসা আয়াত-
যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর কর, তখন নামায কসর করায় তোমাদের কোন দোষ নেই ৷
(৪ : ১০১) এ আঘাতের তাফসীরে আমরা এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷
অনুচ্ছেদ
আযান ও আযানের বিধিবদ্ধতা প্রসঙ্গে
ইবন ইসহড়াক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মদীনায় ত হলেন এবং মুহাজির ও
নেতৃস্থানীয় আনসারগণ যখন তার পাশে সমবেত হলেন এবং ইসলাম যখন দৃঢ়তা-স্থিরত৷ লাভ
করলো, তখন নামায কাইম হল, বোমা ও যাকাত ফরয করা হলো, হুদুদ তথা শরীআতের
দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা হলো, হালাল-হারামেব বিধান জারী করা হলো এবং ইসলাম তাদের মধ্যে
সুদৃঢ় আসন করে নিল ৷ আর আনসাররা ছিলেন সেই গোত্র, যারা পুর্ব থেকেই মদীনায় বসবাস
করতেন এবং ঈমান আনয়ন করেছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন মদীনায় আগমন করলেন
তখন কোন রকম আহ্বান ছা ৷ড়াই নামাষের সময় হলে লোকেরা তার নিকট সমবেত হতো ৷ এ
সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা,বলেন ইয়াহুদীদের শিঙ৷ বা বিউগলের মতে ৷ তিনিও কিছু একটা
বানারেন, যা দিয়ে ইয়াহুদীর৷ তাদের লোকজনকে তাদের প্রার্থনার দিকে ডাকে ৷ পরে তিনি
এটা অপসন্দ করেন ৷ এরপর তিনি নাকুস (তৈয়ার করার) নির্দেশ দিলেন, যাতে তার আওয়াজ
দ্বারা লোকজনকে মুসলমানদেরকে নামাষের জন্য ডাকা যায় ৷ তারা যখন এসব চিত্তা-ভাবনা
করছিলেন এমন সময় বিলহারিস ইবন খাযরাজের অন্যতম সদস্য আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন
ছালাব৷ ইবন আবৃদ রাব্বিহী স্বপ্নযোপে সালাতের জন্য আহ্বানের ধরন দেখতে পান ৷ তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপ ত হয়ে বলতে লাগলেন : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আজ রাত্রে আমার
নিকট একজন আগন্তুক আগমন করে ৷ লোকটির গায়ে দুটো সবুজ বস্ত্র ৷ তার হাতে ছিল
নাকুস ৷ আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা৷ তুমি কি এ নাকুস বিক্রয় করবে ? লোকটি
বললো : এটা দিয়ে তুমি কী করবে ? আমি বললাম, এ দিয়ে আমি (লোকজনকে) নামাযেব জন্য
আহ্বান জানাবাে ৷ লোকটি বললো৪ আমি কি তোমাকে এর চেয়েও উত্তম বস্তুর সন্ধান দেব ?
আমি বললাম, তা কি ? সে বললো, (তা এই যে,) তুমি বলবে ;?
আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার
আল্পাহু আকবার আল্লাহ আকবার
আশহাদৃ আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
আশহাদু আল্লাহ্ ইলাহা ইল্পাল্পাহ্
আশহাদৃ আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ্
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্পাহ্
হাইয়্যা আলাস সালাহ্ হাইয়্যা আলাস সালাহ্
হাইয়্যা আলাল ফালাহ হাইয়্যা আলাল ফালাহ
আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আল্লাহ্ চাহে তো এটা সত্য স্বপ্ন ৷ তুমি বিলালের পাশে র্দাড়াও
এবং আযানের বাক্যগুলো শিখিয়ে দাও, যাতে করে যে, এ বাক্যগুলাে দ্বারা আধান দেয় ৷
কারণ, সে তোমার চেয়ে উচ্চকন্ঠ ৷ বিলাল এ বাক্যগুলাে দ্বারা আযান দিলে উমর ইবন খাত্তাব
গৃহ থেকেই তা শুনতে পান ৷ তিনি চাদর টানতে ৷নতে ঘর থেকে বের হয়ে রাসুলের প্রতি ছুটে
এসে বললেন : ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ! সে পবিত্র সত্তাব শপথ, যিনি আপনাকে সতাসহ প্রেরণ
করেছেন, তিনি যা স্বপ্নে দেখেছেন, অনুরুপ আমিও দেখেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ৷
ঐতিহাসিক ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম ইবন হারিছ মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন আবদ রাব্বিহী তার পিতা সুত্রে আমার নিকট এ
হড়াদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ, তিবমিযী, ইবন মাজাহ এবং ইবন থুযায়মা বিভিন্ন সুত্রে
হড়াদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং তিবমিযী ইবন খুযায়মা প্রমুখ হড়াদীছটি সহীহ্ তথা বিশুদ্ধ ও
নিভুলি বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷ ইমাম আবুদাউদের মতে তাকে ইকামড়াতও শিক্ষা দেয়া হয় ৷
তিনি বলেন, ইকামাতে বলবে-
আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার
আশহাদৃ আল্লাহ্ ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
আশহাদৃ আন্না মুহাম্মাদাব রাসুলুল্পাহ্
হাইয়্যা আলড়াস সালাহ্
হাইয়্যা আলাল ফালাহ
কাদ কামাতিম সালাহ
কাদ কামাতিম সালাহ
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্!
ইমাম ইবন মাজা হাদীছটি আবু উবায়দ মুহাম্মদ ইবন উবায়দ ইবন মায়মুন থেকে মুহাম্মদ
ইবন সালামা সুত্রে ইবন ইসহাক থেকে পুর্বোক্তের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর তিনি
বলেন : আবু উবায়দ বলেছেন যে, আবু বকর আল-হাকামী আমাকে জানান যে, আবদৃল্লাহ্
ইবন য়ায়দ আল-আনসারী এ প্রসঙ্গে বলেন :
আযানের জন্য মহান আল্লাহ যুল-জালাল ওয়াল ইকরামের অশেষ শুকরিয়া ৷
হঠাৎ আমার নিকট আগমন করে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সুসংবড়াদদাতা, যিনি আমার নিকট
সুসংবাদ নিয়ে আসেন, তিনি কতই না উত্তম !
একের পর এক তিনরজনী তিনি আগমন করেন সে সংবাদ নিয়ে এবং যখনই তিনি
আগমন করেছেন আমার মর্যাদা বৃদ্ধিই করেছেন ৷
আমি বলি এ কবিতামালা তো বিস্ময়কর ৷ এ কবিতার দাবী এই যে, তিনি তিন রজনী স্বপ্নে
দেখেন, পরে তিনি এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবহিত করেছেন ৷ আল্পাহ্ই সবচেয়ে
ভাল জানেন ৷
ইমাম আহমদ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন, যুহ্রী সাঈদ ইবন
মুসাইয়াব আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ সুত্রে ইবন ইসহড়াকের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন
ইব্রাহীম ইবন তায়মী সুত্রে; তবে তিনি এ কবিতাটি উল্লেখ করেননি ৷ ইমাম ইবন মাজা খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ্ আল-ওয়াসিভী সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন যে, নামাযের আয়োজনের
উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণের সঙ্গে পরামর্শ করেন ৷ ত্নীদের মধ্যে কেউ কেউ সিঙা বা
বিউগলের উল্লেখ করলে ইয়াহ্রদীদের প্রতীক হওয়ার কারণে ব্লুা৷সুল (সা) তা পসন্দ করেননি ৷
এরপর নাকুস-এর কথা উঠলে নাসারার কারণে রাসুল (সা) তা-ও না-পসন্দ করেন ৷ ঐ নামে
আবদুল্লাহ্ ইবন যায়দ নামক জনৈক আনসার এবং উমর ইবন খাত্তাব (বা) স্বপ্নে আযান’
দেখতে পান ৷ উক্ত রাত্রেই সে আনসারী ব্যক্তিটি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে তার স্বপ্ন
সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলালকে নির্দেশ দেন (এবং বিলাল সে মতে)
আযান দেন ৷ যুহ্রী বলেন, ভোরের নড়ামায়ের আহ্বানে বিলাল যোগ করেন ও আসসালাতু
খায়রুম মিনান নাওম (ঘুম থেকে নামায উত্তম) দৃ’বার ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (না) তা বহাল রাখলেন ৷
, তখন উমর (রা) বললেন ঘ্র ইয়া রাসুলাল্পাহ্! তিনি যেমন স্বপ্নে দেখেছেন অনুরুপ আমিও স্বপ্ন
দেখেছি ৷ তবে তিনি আমার চেয়ে অগ্রগামী ৷ কিতাবৃল আহকাম আল:কাবীর’ গ্রন্থে আযান
অধ্যায়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ আল্লাহর প্রতিই রয়েছে আস্থা
ও ভরসা ৷
অবশ্য সুহায়লী বাযযার সুত্রে আলী ইবন আবু তালিব থেকে ইসরা বা মিরাজের হাদীছে
উল্লেখ করেন ৷ তাতে উল্লেখ আছে যে, তখন পর্দায় অন্তরাল থেকে একজন ফেরেশতা বের
হয়ে এসে এ আযান দেন এবং যখনই এক একটা বাক্য উচ্চারণ করেন তখনই আল্লাহ্ তার
সত্যতা অনুমোদন করেন ৷ তারপর ফেরেশতা মুহাম্মদ (না)-এর পবিত্র হাত ধরে র্তাকে আগে
বাড়িয়ে দেন এবং তিনি আসমানরাসীদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ তাদের মধ্যে আদম
(আ) এবং নুহ্ (আ)-ও ছিলেন ৷ এরপর সুহায়লী বলেন, ইসৃর৷ তথা মিরাজের হাদীছের
সঙ্গে সড়ামঞ্জস্যের কারণে এ হাদীছটি সহীহ্ হতে পারে বলে আমি মনে করি ৷ তবে তার ধারণা
অনুযায়ী হাদীছটি সহীহ্ নয়, বরং মুনকার তথা বাতিল ৷ জারুদিয়া১ ফির্কার আদি পুরুষ আবুল
জারুদ যিয়াদ ইবন মুনযির এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ এ ব্যক্তি অভিযুক্তদের
অন্যতম ৷ তিনি মিরাজ রজনীতে এ আযান শুনে থাকলে অবশ্যই হিজরতের পর নামাযের
দিকে ডাকার জন্য এর নির্দেশ দিতেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন হিশাম বলেন, ইবন জুরায়জ উল্লেথু করেছেন, আতা আমাকে বলেন, আমি উবায়দ
ইবন উমায়রকে বলতে শুনেছি : নবী করীম (মা) এবং সাহাবীপণ নড়ামাষে সমবেত হওয়ার
ব্যাপারে নাকুস ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ করেন ৷ এ সময় উমর ইবন খাত্তাব নাকুসের জন্য
দু’টি কাষ্ঠ ক্রয়েরও ইচ্ছা করেন ৷ এ সময় এক রড়াত্রিতে উমর (রা) স্বপ্নে দেখেন নাকুস রানাবে
না, বরং নামায়ের জন্য আযান দেবে ৷ তখন উমর (রা) স্বপ্ন সম্পর্কে নবী করীম (না)-কে
অবহিত করার জন্য তার নিকট যান ৷ এ সময় নবী করীম (না)-এর নিকট এ সম্পর্কে ওহী
নাযিল হল ৷ এমন সময় বিলালের আযান শুনে উমর ঘড়াবড়ে পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এ
সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি বললেন : এ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই ওহী অবতীর্ণ হয়েছে ৷ এ
১ ইসফারাইনী “আল ফারক বাইনাল ফিরাক’ গ্রন্থের ২২ পৃষ্ঠার বলেনঃ জারুদিয়া ফির্কা যায়দিয়া ফির্কার
অন্যতম উপদল ৷ এরা আবুল জারুদ নামে পরিচিত মুনৃযির ইবন আমর-এর অনুসারী ৷ হযরত আলী
(রা)-এর পক্ষে বায়আত না করার কারণে এরা সাহাবীদেরকে কাফির বলে মনে করে ৷ তারা বলে যে নবী
(সা) হযরত আলী (বা) এর নাম না নিয়ে তার ইমামত তথা নেতৃৎ স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ প্রতীক্ষিত
ইমামের ব্যাপারে এ দলটি আবার অনেক উপদল বা ফির্কায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে এদের মধ্যে একদল
নির্দিষ্ট করে কোন একজন ইমামের অপেক্ষায় থাকে না ৷ আবার একদল মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু তালিবের অপেক্ষায় আছে ৷ একদল অপেক্ষায় আছে তালিকানের
সঙ্গী মুহাম্মদ ইবন কাসিমের; আবার একদল অপেক্ষায় আছে কুফায় বিদ্রোহ সৃষ্টিকারী মুহাম্মদ ইবন
উমরের ৷
থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আবদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আবৃদ রাব্বিহী (স্বপ্নে) যা দেখেছিলেন
তার সমর্থনে ওহী নাযিল হয়েছিল যেমনটি কেউ কেউ স্পষ্ট ব্যক্ত করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে বনু নাজ্জারের জনৈক মহিলা মারফত
আমি জানতে পেরেছি যে, ঐ মহিলা বলেনঃ মসজিদের নিকটে আমার ঘরটি ছিল সবচেয়ে
উচু ৷ এ ঘরের ছাদে উঠে বিলাল প্রতিদিন ভোরে অযােন দিতেন ৷ শেষ রাত্রে তিনি এসে ঘরের
ছাদে বসে ফজরের অপেক্ষায় থাকতেন ৷ ফজরের সময় হয়েছে দেখতে পেয়ে তিনি দাড়িয়ে
ৰু দৃআ করতেন :
“হে আল্লাহ্ ! আমি তোমার প্রশংসা করছি এবং কুরায়শের ব্যাপারে তোমার নিকট সাহায্য
কামনা করছি যাতে তারা তোমার দীন কাইম করে ৷” মহিলা বলেন : (এ দুআ করার পর)
তিনি আযান দিতেন ৷ নাজ্জারী মহিলা আল্পাহ্র কসম করে বলেন কোন রাতেই তিনি এ
দুআটি বাদ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই ৷ ইমাম আবু দাউদ এ হড়াদীছটি এককভাবে বর্ণনা
করেছেন ৷
অনুচ্ছেদ
হড়ামযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (না)-এর অভিযান
ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর রমাযান মাসে
হিজরতের সাত মাসের মাথায় সাদা রঙের পতাকা দিয়ে ৩০জন মুহাজিরের একটি দলকে
কুরায়শের বণিক কাফেলাকে ঠেকাবার জন্য প্রেরণ করেন ৷ আবু জাহ্লের নেতৃত্বে পরিচালিত
তিনশ’ জন কুরায়শী কাফেলা হযরত হামযার মুখোমুখি হয় ৷ মাজদী ইবন আম্রের মধ্যস্থতার
ফলে কোন সংঘর্ষ হয়নি ৷ রাবী বলেন, হযরত হামযার পতাকা১ বহন করেন আবু মারছাদ
আল-গানাবী ৷
অনুচ্ছেদ
উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-এর অভিযান
ইবন জারীর বলেন : ওয়াকিদী ধারণা করেন যে, নবী (সা) এ বছর অষ্টম মাসের মাথায়
শাওয়াল মাসে উবায়দা ইবন হারিছ (ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবৃদ মানাফ) এর নেতৃত্বে
একদল মুজাহিদ প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে বাত্নে রাবিগ২ অভিমুখে রওনা হওয়ার নির্দেশ
দান করেন ৷ এ দলের সাদা পতাকা ছিল মিসতাহ ইবন আছাছার হস্তে ৷ তারা জুহ্ফার দিকে
ছানিয়া আল-মুররা পর্যন্ত পৌছেন ৷ এ দলে ছিলেন ৬০ জন মুহাজির কোন আনসারী ছিলেন
না ৷ আহ্য়া’ নামক জলাশয়ের কাছে তারা মুশরিক বাহিনীর মুখোমুখি হন ৷ তাদের মধ্যে তীর
১ ইবন সাআদ বলেন : এটাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম পতাকা ৷
২ জুহ্ফা থেকে কুদায়দ অভিমুখে যাওয়ার পথে ১০ মাইল দুরবর্তী একটি স্থান ৷