তাদেরকে ইসলামের পথ প্রদর্শন করলে দুষ্ট লোকটি ভীষণ ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ হয় ৷ এ লোবইি
বলেছিল :
“আমরা মদীনায় ফিরে গেলে সেখান থেকে সরল অবশ্যই দুর্বলকে বহিষ্কার করবে ৷”
তার সম্পর্কে কুরআন মজীদের অনেক আয়াত নাযিল হয়েছে৷ বনু আওফের জনৈক
ওদীআ, মালিক ইবন আবু কাওকাল , সুওয়ায়দ এবং দাইস- এসব লোকেরা তলে তলে বনু
নাযীরের প্রতি ঝুকে পড়লে এদের সম্পর্কে নাযিল হয় :
১;এ
“ওদেরকে বের করে দেয়৷ হলে ওদের সঙ্গে এরা বের হয়ে না ৷
অনুচ্ছেদ
কোন কোন ইয়াহ্রদী আলিমের মুনাফিকসুলভ ইসসামগ্রহণ প্রসঙ্গে
যে সব ইয়াহুদী আলিম তাকিয়া তথা আত্মরক্ষার কৌশল হিসাবে ইসলাম গ্রহণ করেছিল,
এরপর ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন, তলে তলে এরা ছিল কাফির ৷ মুনাফির্কী করে এরা
ইসলামের অনুসারী সাজলেও মুলত এরা ছিল দৃষ্ট-নিকৃষ্ট মুনাফিক ৷ এদের মধ্যে ছিল সাআদ
ইবন হুনায়ফ এবং যায়দ ইবন লাসীত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উট হারিয়ে গেলে সে বলেছিল :
মুহাম্মদের ধারণা যে , তার কাছে আসমান থেকে খবর আসে, অথচ তার উটনীটি কোথায় তা-ও
সে জানে না ৷ মুনাফিকটির এ কথা শুনে আল্লাহ্র নবী বলেন :
“আল্লাহ্র কসম (করে বলছি, ) আল্লাহ্ আমাকে যা জানান, আমি কেবল ত ই জানি ৷
আল্লাহ আমাকে এই মা ত্র জানালেন যে, আমার উটনীটি গিরিসঙ্কটের গাছের সঙ্গে তার লাপাম
জড়িয়ে যাওয়ার কারণে আটকা পড়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর এ কথা শুনে কিছু লোক
সেদিকে ছুটে যায় এবং উটনীটিকে যে অবস্থায় দেখতে পায় ৷ তিনি আরো বলেন, নু মান ইবন
আওফা , উছমান ইবন আওফা , রা৷ফি ইবন হুরায়মিলা ৷ এ লোকটি যেদিন মারা যায়, সেদিন
আল্লাহ্র নবী বলেন :
“আজকের দিনে একজন বড় মুনাফিকের মৃত্যু হলো ৷
রিফাআ ইবন যায়দ ইবন তাবুত ৷ তাবুক থেকে রাসুল (সা)এর প্রত্যাবর্তনকালে এ
ব্যক্তির মৃত্যুর দিনে প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :
“একজন বড় কাফিরের মৃত্যুতে এ বায়ু প্রবাহিত হয়েছে ৷”
তারা মদীনায় ফিরে এসে জানতে পারেন যে ঐ দিনই রিফাঅ আর মৃত্যু হয়েছিল ৷ আরো
হল সিলসিলা ইবন বারহাম এবং কিনানা ইবন সুরিয়া ৷ ইয়াহুদী মুনাফিকদের মধ্যে এরা
ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ এসব মুনাফিক মসজিদে উপস্থিত হতো, মুসলমানদের কথাবার্তা
শুনভো এবং তাদেরকে নিয়ে উপহাস করবু তা ৷ একদিন তাদের কিছু লোক মসজিদে উপস্থিত
হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) দেখতে পান যে তারা একে অপরের সঙ্গে নিচু স্বরে কথা বলছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দোশ তাদেরকে মসজিদ থেকেতাড়িয়ে দেয়া হয় ৷ আবু আইউব৷ দ ৷ড়িয়ে
বনু নাজ্জারের সদস্য আম্র ইবন কায়সের পা ধরে টেনে হেচড়ে তাকে বের করেন ৷ এ
ল্যেকটি ছিল জাহিলী য়ুগে৩ তাদের প্রতিমার৩ তত্তুাবধায়ক ৷ এ সময় সে বলছিল হে আবু
আইউব, তুমি আমাকে বনু ছ৷ লাবার খােয়াড় থেকে বের কাৰু৷ দিচ্ছন্ এরপর আবু আইউব
রাফি ইবন ওয়াদীআ নাজ্জারীর দিকে এগিয়ে যান এবং কাপড়ে পেচিয়ে সজোরে টান দেন,
মুখে কিল-ঘুষি দিয়ে তাকে মসজিদ থেকে এই বলতে বলতে বের করে দেন ধিক তোমায়,
পাপিষ্ঠ মুনাফিক ৷ আর যায়দ ইবন আমরের দিকে এপিংণ্ন্’ ধ্ ম ন অ ৷ম্মারা ইবন হায্ম ৷ লে৷ ৷কটি
ছিল দীর্ঘ দাড়িধারী ৷ দাড়ি ধরে টেনে হেচড়ে৩ তাকে মসজিদ থেকে বের করেন ৷ এরপর আম্মারা
তার দু হাত একত্র করে তা র বুকে প্রচণ্ড ঘুষি যাবেন, যাতে সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ তখন সে
বলছিল, হে আম্মারা৷ তুমি আমার বুকে আঘাত করলে ? তখন আম্মারা বললেন যে,
মুনাফিক ! আল্লাহ তােকে দুর করুন, আল্পাহ্ তোর জন্য যে আমার প্রস্তুত করে রেখেছেন , তা
এর চাইতেও কঠোর ৷ আর কখনো রাসুলের মসজিদের কাছেও আসবি না ৷ আবু মুহাম্মদ
মাসউদ ইবন আওস ইবন যায়দ ইবন আসরাম ইবন যায়দ ইবন ছালাবা ইবন পানাম ইবন
মালিক ইবন নাজ্জার ইনি ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী ৷ তিনি কায়স ইবন
আমর ইবন সাহলের দিকে এগুলেন ৷ সে ছিল যুবক এবং সে ছাড়া মুনাফিকদের মধ্যে আর
কোন যুবক ছিল না ৷ গলা ধাক্কা দিয়ে তিনি তাকে বের করে দেন ৷ বনু খাদ্রার জনৈক ব্যক্তি
হারিছ ইবন আমরের দিকে অগ্রসর হন ৷ এ লোকটি ছিল দীর্ঘকেশী ৷ তিনি তার চুল ধরে তাকে
টেনে হেচড়ে একেবারে ধরাশায়ী করে বের করেছেন ৷ এ সময় সে মুনাফিকঢি বলছিল, হে
আবুল হারিছ ৷ তুমি বড় কঠোর আচরণ করলে ৷ তখন তিনি বললেন, এটা তেব পাওনা ছিল
যে আল্লাহ্র দুশমনাক কারণ আল্লাহ ভোর সম্পর্কে আয়াত নাযিল করেছেন ৷ আর কখনো
রাসুলুল্লাহ্র মসজিদের নিকটেও আসবি না, কারণ তুই অপবিত্র ৷ বনী আসর ইবন আওফের
জনৈক ব্যক্তি তার ভাই যাবী ইবন হ বিছেব দিকে অগ্রসর হন এবং শক্তভাবে তাকে মসজিদ
থেকে বের করতে করতে নাকে হাত দিয়ে বলেন ভোর উপর শয়তান সওয়ার হয়েছে ৷ এরপর
ইমাম ইবন ইসহাক এ ব্যাপারে সুরা বাকারা ও সুরা৩ তাওবার যেসব আয়াত নাযিল হয়েছে
সেসবের উল্লেখ করে এর ব্যাথ্যায় ফলপ্রসু ও কল্যাণকর আলোচনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ তার
প্রতি রহম করুন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রথম যুদ্ধাডিযান
আবওয়৷ বা ওয়াদ্দানের যুদ্ধ হাময৷ ইবন আবদুল মুত্তালিব বা উবায়দা ইবন হারিছের
বাহিনীর অভিযানের বিবরণ মাগাযী পর্যায়ে আলোচিত হবে ৷ বুখারী ইবন ইসহাকের বরাতে