আসল ৷ উমা ইয়৷ ছিল একটি স্থুলদেহী ব্যক্তি ৷ যখন তারা আমাদের কাছে এসে পড়লেন, তখন
আমি তাকে বললাম, শুয়ে পড় ৷ সে শুয়ে পড়লে আমি আমার শরীর দিয়ে তাকে ঢেকে ফেলে
তাকে রক্ষার প্রয়াস পেলাম ৷ কিন্তু তারা আমার শরীরের নীচ দিয়ে তলােয়ার চালিয়ে খুচিয়ে
খুচিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলল ৷ এদের একজনের তলোয়ারের একটি আঘাত আমার পায়ে
এসে লাগে ৷ আবদুর রহমান পরে আমাদেরকে তার পায়ের উপরের সে আঘাতের চিহ্নটি
দেখাতেন ৷ রিফায়া ইবন রাফি’র মুসনাদে আছে যে, তিনিই উমাইয়াকে হত্যা করেছিলেন ৷
অডিশপ্ত আবু জাহ্লের হত্যার ঘটনা
ইবন হিশাম বলেন ষ্ক বদর যুদ্ধে আবু জাহ্ল নিম্নলিখিত রণ-সংগীত আবৃত্তি করতে করতে
সম্মুখে অগ্রসর হয় ষ্
(সংগীত ত) বারবার আবর্তিত প্রচণ্ড যুদ্ধও আমার থেকে কোন প্নত্যিশাধ নিতে পারে না ৷
আমি দু বছর বয়সী যুবক উটের ন্যায় শক্তিশালী ৷ আর এরুপ কাজের জন্যেই আমার যা
আমাকে প্রসব করেছেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন, শত্রুদের সাথে যুদ্ধ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিহতদের মধ্যে আবু
জাহ্লের অবস্থা কী, তা জানার জন্যে নির্দেশ দেন ৷ এ সম্পর্কে ছওর ইবন যায়দ ইবন
আব্বাস ও আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর সুত্রে বলেন, সর্বপ্রথম যিনি আবু জাহ্লকে দেখতে পান,
তিনি ছিলেন বনু সালামা গোত্রের মৃআয ইবন আমর ইবন জামুহ ৷ তিনি বলেন, আমি লোকদের
বলাবলি করতে শুনি যে, আবু জাহ্ল সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে ৷ কেউ তার কাছে ঘেষতে সক্ষম
হবে না ৷ একথা শুনেই আমি দৃঢ় সিদ্ধ৷ ৷ন্ত নিলাম যে, আবু জ ৷হ্লের নিকট যে কোন মুল্যে আমি
পৌছবই ৷ এরপর আমি যে দিকে অগ্রসর হলাম ৷ যখন আমি তার নিকট পৌছে গেলাম, তখন
তলোয়ার দিয়ে তার উপর সজােরে আঘাত করলাম ৷ এতে তার পায়ের নলার মধ্যখান থেকে
কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷ ৫খজুরের তাটির উপর পাথরের আঘাত করলে আটির যে অবস্থা হয়
তার সাথে আমার এ আঘাতের কিছুটাতু লন৷ করা যায় ৷ পিতার অবভু৷ দেখে আবু জ হলের পুত্র
ইকরিমা আমার র্কাধে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে ৷ ফলে আমার বাহু গোড়ার দিক থেকে
কেটে যায় এবং সামান্য চামড়ার সাথে লেগে ঝুলতে থাকে ৷ ঝুলন্ত হাত পেছন দিকে রেখে
আমি লড়াই করে চললাম ৷ কিন্তু এতে যুদ্ধ করতে অসুবিধা হওয়ায় ঝুলত হাত টি পায়ের নীচে
রেখে এক টানে ছিড়ে ফেললাম ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুআয ইবন আমর ইবন জামুহ্ (রা) হযরত উছমান (রা) এর
খিলাফতকাল পর্যত জীবিত ছিলেন ৷ আবু জাহ্লের পা কাটা যাওয়ার পর মুআওয়ায ইবন
আফরা তার কাছে গেল এবং তরবারি দিয়ে তাকে প্রচণ্ড আঘাত করল ৷ তারপর মুআওয়ায যুদ্ধ
করতে করতে শহীদ হয়ে যায় ৷ মুআওয়ায়ের আঘাতের পরেও আবু জাহ্ল একেবারে মারা
যায়নি শ্বাস-প্রশ্বাস তখনও অবশিষ্ট ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন নিহতদের মধ্যে আবু
জাহ্লকে খোজার নির্দেশ দেন, তখন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ এসে আবু জাহ্লকে এ অবস্থায়
দেখতে পান ৷ ইবন ইসহাক বলেন, বর্ণনা সুত্রে আমি জেনেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন আবু
জাহ্লকে নিহতদের মধ্যে সন্ধান করতে সাহাবাদেরকে নির্দেশ দেন তখন এ কথাও বলে
দিয়েছিলেন যে, আবু জাহ্লের লাশ শনাক্ত করতে যদি তোমাদের অসুবিধা হয় তাহলে দেখবে
তার একটা হীটুতে পুরাতন যখমের চিহ্ন আছে ৷ ঘটনা হচ্ছে, আমি ও আবু জাহ্ল বাল্যকালে
একদিন আবদুল্লাহ ইবন জাদআনের বৈঠকখানায় কোন এক বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হই ৷ আমি
ছিলাম তার থেকে কিছুটা হালকা-পাতলা ৷ বিতর্কের এক পর্যায়ে আমি তাকে ধাক্কা দেই ৷ এতে
যে উভয় হীর্টুর উপর উপুড় হয়ে পড়ে যায় এবং এক হীটুর চামড়া ছিড়ে যায় ৷ সেই যখমের
চিহ্ন আজ পর্যন্ত রয়ে গেছে ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ বলেন, আমি আবু জাহ্লকে দেখে
চিনলাম ৷ তখনও তার প্রাণ শেষ হয়ে যায়নি ৷ আমি তার ঘাড়ের উপর আমার পা রাথলাম ৷
কারণ, সে মক্কায় একবার আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে ঘুষি মায়ে ও নির্যাতন চালায় ৷
তাকে সম্বোধন করে বললাম, ওহে আল্লাহর দুশমন ৷ আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করেছেন ৷ আবু
জাহ্ল বলল, তোমরা একজন নেতৃস্থানীয় লোককে হত্যা করেছ, এতে লাঞ্চুনার কী আছে ?
আবু জাহ্ল জিজ্ঞেস করল, আজকের জয় কোন দলের ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার
রাসুলের ৷
ইবন ইসহাক বলেন, বনু মাখয়ুম গোত্রের কিছু লোক জানিয়েছে, ইবন মাসউদ বলতেন :
আবু জাহ্ল আমাকে লক্ষ্য করে তখন বলেছিল : এক কঠিন স্থানে আরোহণ করেছে৷ হে তুচ্ছ
মেষ রাখলে! এরপর আমি আবু জাহ্লের শিরচ্ছেদ করে রাসুল (না)-এর সম্মুখে পেশ করে
বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ হচ্ছে আল্লাহর দৃশমনের শির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন
সেই আল্লাহ কি সর্বশক্তিমান নন , যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ? এটা ছিল আল্লাহর
রাসুলের পুর্ব ঘোষিত কলম ৷ আমি বললাম , ছুব্রুা, আল্লাহর কলম যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ
নেই ৷ এরপর আমি ছিন্ন মস্তকঢি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সামনে রেখে দিলাম ৷ তিনি আল্লাহর
ৎসা করলেন ৷ এ হচ্ছে ইবন ইসহাকের বর্ণনা ৷ এ ঘটনা বৃখারী ও ঘুসলিমে ইউসুফ ইব ন
ইয়াকুব আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে আমি
সৈন্যদের সারিতে র্দাড়িয়ে আমার ডানে-বামে তাকিয়ে দেখি আমি দু’জন আনসার বালকের
মাঝখানে দণ্ডায়মান ৷ তখন আমার মনে এ কামনা জাপল যে, এদের পরিবর্তে যদি দু’জন
শক্তিশালী লোকের মাঝখানে থাকতাম তবে কতই না ভাল হতো ৷ এ সময় তাদের একজন
আমাকে ইঙ্গিতে বলল, চাচা ! আপনি কি আবু জাহ্লকে চিনেন ষ্ আমি বললাম, ইা, তবে
তাকে দিয়ে তোমার কি প্রয়োজন ? সে বলল, আমি শুনেছি সে নাকি আল্লাহর রাসুল (না)-কে
গালাগাল করে ৷ ঐ সত্তার কলম ! র্যার হাতে আমার জীবন আমি যদি তাকে দেখতে পাই, তবে
(তার উপর আক্রমণ করব এবং) ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষাম্ভ হব না যতক্ষণ না তার ও আমার মধ্যে
একজনের মৃত্যু ঘটে ৷ চাই যার মৃত্যুই আগে হোক না কেন ? বালকটির কথা শুনে আমি অবাক
হয়ে গেলাম ৷ এরপর অপর বালকটিও আমাকে ইঙ্গিতে অনুরুপ কথা বলল ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই
দেখলাম, আবু জাহ্ল তার লোকজনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে ৷ তখন আমি বালক দু’টিকে
বললাম , দেখ, এই যে সেই ব্যক্তি, যার সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করছিলে ৷ এ কথা
শুনামাত্র বালক দু’টি দ্রুত ছুটে যেয়ে আবু জাহ্লকে তরবারি দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে
ফেললাে ৷ এরপর উভয়ে ফিরে এসে নবী করীম (না)-কে এ সংবাদ পৌছিয়ে দিল ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের দুজনের মধ্যে যে তাকে হত্যা করেছো ? দৃ’জনের প্রতেব্রকেই
দাবী করল, আমিই তাকে হত্যা করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি
তোমাদের তরবারি পরিষ্কার করে ফেলেছ ? তারা বলল, না ৷ তখন রাসুল (সা ) উভয়ের
তরবারি পরীক্ষা করে বললেন এরা দুজনেই আবু জাহ্লকে হত্যা করেছে ৷ বালক দুটির নাম
(১) মুআয ইবন আমর ইবন জামুহ এবং (২) ষুআয ইবন আফরা ৷৩ তবে নিহত আবু জাহ্লের
যুদ্ধাস্ত্র ও পােশা ৷কাদি তিনি মুআয ইবন আমর ইবন জামুহকে প্রদানের সিদ্ধান্ত দেন ৷
ইমাম বুথারী বলেন ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম আবদুর রহমান ইবন আওফ থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন বদর যুদ্ধে আমি সৈন্যদের সারিতে দাড়িয়ে তাকিয়ে দেখলাম, আমার
ভাবে ও বামে দু’ জন অল্প বয়সী কিশোর ৷ এরুপ দু জন কিশ্যেক্ষ্চরব মাঝখানে থাকায় আমি
নিজেকে নিরাপদ মনে করলাম না ৷ এমতাবস্থায় তাদের একজন অন্যজন থেকে গোপন করে
আমাকে জিজ্ঞেস করল : চাচা, আবু জাহ্ল লোকটা কে ? আমাকে একটু দেখিয়ে দিন না
আমি বললাম, ভাতিজা! তাকে দিয়ে তুমি কি করবে ? সে বলল আমি আল্লাহ্র সাথে প্রতিজ্ঞা
করেছি যে যদি আবু জাহ্লের দেখা পাই তা হলে হয় তাকে ন্ত ড়া৷ করব, না হয় নিজেই মারা
যাব ৷ এরপর দ্বিতীয় কিশোরটিও তার সঙ্গী থেকে গোপন করে আমাকে অনুরুপ জিজ্ঞেস
করল ৷ আবদুর রহমান বলেন এদের কথা শুনে আমি এতই খুশী হলাম যে, এ কিশোরদ্বয়ের
স্থলে দুজন পুর্ণ-বয়স্ক লোকের মাঝে থেকেও আমি এত টা খুশী হতাম না ৷ এরপর আমি
তাদেরকে ইঙ্গিতে আবু জাহ্লকে দেখিয়ে দিলাম ৷ তখন তারা দু’টি বাজপাখীর ন্যায়
ক্ষিপ্রগতিতে তার উপর বাপিয়ে পড়লো এবং সজােরে আঘাত হানল ৷ আবদুর রহমান বলেন,
এরা দু’জন হল আফরার দৃ’ পুত্র ৷
এছাড়া বুখারী ও ঘুসলিমে হযরত আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণিত ৷ বদর যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছিলেন, আবু জ হলের কি অবস্থা, কে তা দেখে আসতে পারে ? ইবন মাসউদ
বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি দেখে আসতে ৩প্রস্তুত ৷ এরপর ইবন মাসউদ যেয়ে দেখলেন,
আফরার দু’ পুত্র তাকে এমনভাবে প্রহার করেছে যে, সে ঠাণ্ডা হয়ে মুমুর্বু অবস্থায় পৌছে গেছে ৷
ইবন মাসউদ বলেন, আমি তার দাড়ি ধরে বললাম তুমি কি আবু জাহ্ল ? সে বলল : যে
ব্যক্তিকে৫ তামরা হত্যা করেছ কিংবা (রাবীর সন্দেহ) যে ব্যক্তিকে তার নিজের গোত্রের
লোকেরা হত্যা করেছে, তাতে আর গৌরব কিসের ? বুখারী শরীফে ইবন মাসউদ থেকে অপর
এক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ সে বর্ণনায় আছে তিনি আবু জাহ্লের নিকট এসে বললেন, আল্লাহ
তোমাকে অপদস্থ করেছেন তো ? আবু জাহ্ল বলল, একজন লোককে তোমরা হত্যা করেছ,
এতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে ?
আমাশ আবু ইসহড়াক হতে আবু উবায়দা সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, বদর রণাংগনে আমি আবু জাহ্লের নিকট গেলাম ৷ সে তখন মুমুর্বু অবস্থায় পড়ে
আছে ৷ তার মাথায় শিরস্ত্রড়াণ এবং কাছে উন্নত তরবারি ৷ পক্ষ তবে আমার কাছে আছে একটি
নিম্নমানের তরবারি ৷ এ অবস্থায় আমি তার মাথায় আমার তরবারি দ্বা ৷র৷ আঘাত করতে লাগলাম
এবৎম্ম স্মরণ করতে থাকলাম মক্কার সেই ঘটনাকে যখন আবু জাহ্ল আমার মাথায় আঘাত
১ তার নিজের বক্ষের ঢিক ইঙ্গিত করে সে এ কথাটি বলেছিল ৷
করেছিল এবং আঘাত করতে করতে তার হাত দুর্বল হয়ে পড়লে আমি তার তরবারি ধরে
বসলাম ৷ সে তখন মাথা উচু করে বলল, বিপর্যয় কাদের, আমাদের, না তোমাদের ? তুমি কি
মক্কায় আমাদের মেয়ের বাখাল নও ? ইবন মাসউদ বলেন, এরপর আমি আবু জাহ্লের মস্তক
কেটে এনে রাসুল (সা)–এর নিকট এসে বললাম, আমি আবু জাহ্লকে হত্যা করেছি ৷ তিনি
তখন বললেন, ঐ আল্লাহর জন্যে কি সকল প্রশংসা নয় যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ? তিনি
তিনবার আমার থেকে শপথ নিলেন এবং আমাকে সঙ্গে নিয়ে কাফিরদের লাশের কাছে গেলেন
এবং তাদের জন্যে বদ-দুআ করলেন ৷
ইমাম আহমদ আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসউদ (বা) থেকে বগিংল্ক ৷ তিনি বলেন : বদর যুদ্ধে
আমি আবু জাহ্লের নিকট পৌছলাম ৷ দেখলাম, তার পায়ে আঘাত এবং নিজের তরবারি দ্বারা
সােকজনকে হটিয়ে দিচ্ছে ৷ আমি বললাম, ওহে আল্লাহর দৃশমন, আল্লাহ্ তোমাকে অপদস্থ
করেছেন ৷ সে বলল, এক ব্যক্তিকে তার নিজের গোত্রের লোকেরা হত্যা করলে তাতে আবার
অপদস্থ কিসের ? এরপর আমি আমার ছোট তরবারি দিয়ে বারবার চেষ্টা করে তার হাতে
লাগিয়ে দিলাম ৷ এতে তার হাত থেকে তরবারি পড়ে গেল ৷ আমি সেই তরবারি উঠিয়ে তাকে
আঘাত করলাম এবং হত্যা করে ফেললাম ৷ এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে আমি এত দ্রুত
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট চলে আসলাম, মনে হল যেন যমীন আমার জন্যে সংকুচিত হয়ে
গেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে আবু জাহ্লের মৃত্যু-সংবাদ জানালাম ৷ তিনি বললেন, সেই
আল্লাহ্র জন্যে কি সকল প্রশংসা নয়, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ সেই ? এ বাক্যটি তিনি
তিনবার বললেন ৷ আমিও বললাম, ঐ আল্লাহ্র জন্যে কি সকল প্রশংসা নয়, যিনি ব্যতীত আর
কোন ইলাহ্ নেই ? ইবন মাসউদ বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে সাথে নিয়ে চললেন
এবং আবুজাহ্লের লাশের পাস্থশ দীড়িয়ে বললেন :
অর্থাৎ, “ভারত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি তোমাকে লাঞ্ছিত করেছেন হে আল্লাহ্র
দৃশমন ৷ এ ছিল এই উম্মতের ফিরআওন ৷ ” অপর এক বর্ণনায় ইবন মাসউদ বলেন, রাসুল
(সা) আবু জাহ্লের তরবারিটি গনীমত হিসেবে আমাকে দান করেন ৷
আবু ইসহাক ফাযারী আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের
দিলে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট এসে জানালাম, আমি আবু জাহ্লকে হত্যা করেছি ৷
তিনি বললেন, সেই আল্লাহ্র জন্যে কি সকল প্রশংসা নয়, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ?
আমি বললাম, সেই আল্লাহর জন্যে কি সকল প্রশংসা নয়, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই
? দু’বার কিংবা তিনবার এ কথাটি বলা হল ৷ এরপর নবী করীম (সা) বললেন : আল্পাহ্
সর্বশ্রেষ্ঠ, যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহ্র, যিনি তীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন, তার
বন্দোকে সাহায্য করেছেন এবং শত্রু-বাহিনীকে একাই বিধ্বস্ত করেছেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, চল, তুমি আমাকে আবু জাহ্লের লাশ দেখিয়ে দাও ! আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-কে নিয়ে
তার লাশ দেখিয়ে দিলাম ৷ লাশ দেখে তিনি বললেন :
“এ তো এই জাতির ফির আওন ৷” আবু দাউদ ও নাসাঈ এ ঘটনাটি আবু ইসহাক সাবীঈ
থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়ড়াকিদী বলেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) আফরার দুই পুত্রের
শাহাদাতবরণের জায়গায় দাড়িয়ে এই দুআ করেছিলেন যে, আল্লাহ আফরার দুই পুত্রের উপর
রহমত বর্ষণ করুন ৷ কেননা, তারা এই জাতির ফিরআওন ও কাফির নেতৃত্বের মুল নায়ককে
হত্যা করেছে ৷ এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ হত্যা কাজে তাদের সাথে আর
কে শরীক ছিল ? তিনি বললেন, ফেরেশৃতা ও ইবন মাসউদ এ হত্যা কাজে শরীক ছিল ৷
বায়হাকী এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷
বায়হাকী আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে যে লোকটি আবু
জাহ্লের নিহত হওয়ার সুসংবাদ নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসে, তার থেকে তিনি
তিনবার শপথ নেন এবং জিজ্ঞেস করেন ঐ আল্লাহ্র কসম, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্
নেই, তুমি কি সত্যিই তাকে নিহত অবস্থায় দেখেছ ? সে তিনবার কসম করে বলল, জী হীড়া,
আমি তাকে নিহত অবন্থায়ই দেখেছি ৷ তারপর বাসুলুল্লাহ্ (সা) সিজদায় পড়ে যান ৷ এরপর
বায়হাকী আবু নুআয়ম সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা সুত্রে বর্ণনা করেন : বদর যুদ্ধে
যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট বিজয়ের সুসংবাদ ও আবু জাহ্লের কর্তিত মস্তক আনা হয়,
তখন তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করেন ৷ ইবন মাজা আবু বিশৃর বকর ইবন খাল্ফ সুত্রে
আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা থেকে বর্ণনা করেন, যে দিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আবু
জাহ্লের শিরচ্ছেদের সুসংবাদ জানান হয়, সেদিন তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করেন ৷
ইবন আবুদৃ দৃনয়া শা’বী সুত্রে বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলল,
আমি বদর প্রাম্ভর দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ দেখি একজন লোক মাটির নীচ থেকে উপরে উঠে
আসছে ৷ তখন আর একজন লোক লোহার হাতুড়ি দ্বারা তাকে এমনভাবে আঘাত করছে যে, সে
মাটির নীচে দেবে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে ৷ এরপরও সে আবার উঠছে এবং বারবার এরুপ করা
হচ্ছে ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে হল আবু জাহ্ল ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তাকে
এভাবে শাস্তি দেয়া হবে ৷ উমাবী তার মাগাযী গ্রন্থে আমির সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে আমার যে, আমি দেখতে পেলাম জনৈক ব্যক্তি বদর
প্রান্তরে বসে আছে ৷ অন্য একজন লোহার ডাণ্ডা দিয়ে তাকে এমন জোরে আঘাত করছে যে, সে
মাটির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে ৷ তা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বসে থাকা ঐ লোকটি হচ্ছে আবু
জাহ্ল ৷ তার জন্যে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ যখনই সে মাটির নীচ থেকে উঠবে,
তখনই ঐ ফেরেশতা তাকে এভাবে পিটাতে থাকবেন ৷ এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে ৷
ইমাম বুখারী উবায়দৃল্লাহ্ ইবন ইসমাঈল সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমার পিতা যুবায়র (বা) বলেছেন, বদর যুদ্ধে উবায়দা ইবন সাঈদ ইবন আস-এব
সাথে আমার মুকড়াবিলা হয় ৷ তার গোটা দেহ বর্ম দ্বারা এমনভাবে আবৃত ছিল যে, দুটি চোখ
ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না ৷ তাকে আবু যাতিলকারিশ বলে ডাকা হত ৷ যে নিজের
পরিচয় দিয়ে বলল, আমি আবু যাতিল-কারিশ ৷ এ কথা শুনে আমি তার উপর বর্শা দিয়ে হামলা
করলাম এবং বর্শা তার চোখে বিদ্ধ করে দিলাম ৷ এতে সেখানেই সে মারা গেল ৷ হিশাম বলেন,
এ ঘটনা প্রসঙ্গে আমি আরও শুনেছি, যুবায়র বলেছেন, আমি উবায়দার লাশের উপর পা দিয়ে
চেপে ধরে বর্শাটি টেনে বের করি ৷ বর্শার দু’পাশ ৰ্বাকা হয়ে গিয়েছিল ৷ উরওয়া বলেন, পরে
রাসুলুল্লাহ্ (না) ঐ বর্শাটি চেয়ে পাঠালে যুবায়র তাকে তা দিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
ইনতিকালের পরে যুবায়রত তা নিয়ে আসেন ৷ এরপর হযরত আবু বকর চেয়ে পাঠালে যুবায়র
বর্শাটি তাকে প্রদান করেন ৷ হযরত আবু বকরের ইননিক ল হলে হযরত উমর (রা) রর্শাটি
চেয়ে পাঠ ন ৷ তিনি তাকে বর্শাটি দিয়ে দেন ৷ হযরত ৩উমরের ইনতিকালের পর যুবায়র বর্শাটি
নিয়ে নেন ৷ এরপর হযরত উছমান (রা) বর্শাটি চান এবং তাকে তা প্রদান করেন ৷ হযরত
উছমানের শাহাদাতে র পর বর্শাটি হযরত আলী (রা)-এর পরিবারের হাতে আসে ৷ এরপর
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা ) তা নিয়ে নিজের কাছে রাখেন এবং শহীদ হওয়া পর্যন্ত সেটি তার
কাছেই ছিল ৷ ইবন হিশাম আবু উবায়দ৷ প্রমুখ মাগাষী বিশেষজ্ঞদের থেকে বর্ণনা করেছেন যে
হযরত উমর ইবন খাত্তাব একদিন সাঈদ ইবন আস–এর কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে
বললেন, আমার মনে হয় তোমার মনের মধ্যে এমন একটা ন্ম্াবণ৷ বদ্ধমুল আছে যে, আমি
তামার পিতাকে (বদর যুদ্ধে) হত্যা করেছি ৷ যদি আমি তা করতাম তবে সে জন্যে তোমার
নিকট কোন ওযর পেশ করতাম না ৷ আমি সেদিন আমার মামা আস ইবন হিশাম ইবন
মুগীরাকে হত্যা করেছিলাম ৷ তোমার পিতা আমার সামনে পড়েছিল বটে কিন্তু তাকে ক্ষিপ্ত
র্ষাড়ের নড়ায়হু হ্ৎক কার দিয়ে আসতে দেখে আমি সরে পড়ি ৷ এরপর তার চাচাত ভাই আলী তাকে
হত্যা করে ৷
ইবন ইসহাক বলেন : বমী আবদে শামস-এর মিত্র বনী আসাদ গোত্রের সন্তান উক্কাশা
ইবন মিহ্সড়ান ইবন হারছান বদর যুদ্ধে এমন তীব্র লড়াই করছিলেন যে, তার তরবারিখানা
ভেঙ্গে যায় ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আসলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ একখও কাঠ দিয়ে
বললেন, উক্কাশা! যাও এ নিয়ে তুমি যুদ্ধ কর! উক্কাশা কাঠখওটি নিয়ে নাড়া দিতেই তা একটি
ধারাল লম্বা চকমকে তলােয়ারে পরিণত ৩হয় ৷ মুসলমানদের বিজয় লাভ পর্যন্ত তিনি ঐ তরবারি
দ্বারা যুদ্ধ চালিয়ে যান ৷ ঐ রতবারির নাম বা যা হয়েছিল আল আওন (সাহায্য) ৷ এই তরবারি
সব সময় উক্কাশার কাছে থাকত ৷ এ নিয়ে তিনি রাসুলুল্লাহ্র সাথে প্রতিটি যুদ্ধে অং শগ্রহংা
করতেন ৷ অবশেষে মুরতাদদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে গিয়ে তণ্ড নবী তৃলায়হা আসাদীর হাতে
তিনি শহীদ হন ৷ এ সম্পর্কে তুলায়হা একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিল যার একটি পংক্তির অর্থ
নিম্নরুপ :
সেই সন্ধ্যাব কথা স্মরণ কর যখন আমি যুদ্ধের ময়দানে ইবন আকরাম ও উক্কাশা
আল গানাযীর উপর হামলা করেত তাকে হত্যা করেছিলাম ৷
তৃলায়হ৷ অবশ্য এরপর ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ পরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা এই মর্মে সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে, তার
উম্মতের মধ্য হতে সত্তর হাযার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে এদের কোন শাস্তি হবে না ৷
তখন এই উক্কাশা বলেছিলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি দৃআ করুন, যাতে আল্লাহ আমাকেও
তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুআ করলেন, হে আল্লাহ্! আপনি উক্কাশাকে তাদের
অন্তর্ভুক্ত করুন ! এ ঘটনা সহীহ্ ও হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের হাদীছে বর্ণিত হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আমি জানতে পেয়েছি, রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেনাঃ আরবের শ্রেষ্ঠ
অশ্বারোহী যোদ্ধা আমাদের মধ্যে রয়েছে ৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ সে
লোকঢি কে ? তিনি বললেন : উক্কাশা ইবন মিহ্সান ৷ তখন যিরর ইবন আয়ওয়ার বললেন,
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! সে তো আমাদের গোত্রের লোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে তোমাদের
লোক নয় বরং মৈত্রী সুত্রে যে আমাদের লোক ৷ বায়হাকী হাকিম থেকে ওয়াকিদী সুত্রে
উছমান খাশানীর ফুফু থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন উক্কাশা ইবন মিহ্সান বলেছেনং বদর
যুদ্ধে আমার নিজের তরবাবিটি৫ ভেঙ্গে যায় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে একখানা কাঠ
দিলেন ৷ আমার হাতে এলে তা একটি ঝকঝকে লম্বা তরবারিতে রুপান্তরিত হয়ে যায় ৷ আমি এ
তরবারি দ্বারা মুশরিকদের পরাজিত হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করি ৷ মৃত্যু পর্যন্ত এ তরবাবির্তার কাছেই
ছিল ৷ ওয়াকিদী উসামা ইবন যায়দ সুত্রে দ উদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বনু আবদিল
আশহাল গোত্রের কয়েক ব্যক্তি থেকে বারবার শুনেছেন যে বনের যুদ্ধে সালামা ইবন হুরায়শের
তরবারিৰু তঙ্গে যায় ৷ তিনি নিরস্ত্র হয়ে পড়েন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ স ) তবে একটা ভাল দেন
ইবন তাবের থেজুরবীথি থেকে তিনি এটা ৷সং গ্রহ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেনং : তুমি
এটা দিয়ে শ্াত্রুকে আঘাত ৩কর ৷ ডালটি অমনি একটি উত্তম তরবারিতে পরিণত হয়ে যায় ৷ এ
রম্পোবিখানাত তার কাছে আবু উবায়দা ৷র নেতত্বে পরিচালিত জাসার’ যুদ্ধ পর্যন্ত অক্ষুগ্ন ছিল ৷
কাতাদার চক্ষু ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা
ইমাম বায়হাকী দালাইল’ গ্রন্থে আবু সাআদ আল-মালিনী সুত্রে কাতাদা ইবন নু’মান
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, বদর যুদ্ধে তার চোখে দারুণভাবে আঘাত লাগে ৷ এতে চোখের
পুতুলি বের হয়ে গণ্ডদেশে ঝুলতে থাকে ৷ সাহাবাগণ ঝুলে থাকা চোখ কেটে ফেলার জন্যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট অনুমতি চান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে অনুমতি না দিয়ে কাতদােকে
ডেকে কাছে এনে পুতুলিটি ধরে যথাস্থানে বসিয়ে দেন ৷ এতে তার চোখ এমন ভাল হয়ে যায়
যে, তিনি বুঝতে তই পারতেন না কোন চোখে আঘাত লেগেছিল ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, তার
এ চােখটি অপর চোখের চেয়েও উত্তম দেখাভাে ৷
এ প্রসঙ্গে আযীরুল ঘু’মিনীন উমর ইবন আবদুল আযীয় থেকে একটি ঘটনা বর্ণিত
হয়েছে ৷ হযরত কাতাদার পৌত্র আসিম ইবন উমর উমর ইবন আবদুল আযীয়ের নিকট উক্ত
ঘটনা ব্যক্ত করে নিজ পরিচয় দিয়ে বলেন :
আমি সেই মহান ব্যক্তির সন্তান যার চোখ গালের উপর ঝুলে পড়েছিল ৷ তারপর মুহাম্মদ
মুস্তাফার পবিত্র হাতে তা উত্তমভা ৷রে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল ৷” এ কথা শুনে জবাবে উমর ইবন
আবদুল আযীয় উমাইয়৷ ইবন আবিসৃ সালকৃ তর সেই কবিতাটি আবৃত্তি করেন যা তিনি সায়ফ
ইবন যী-ইয়াযানের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ও