আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে আল্লাহ তাআলা আমাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়েছেন। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সবাই আলহামদু লিল্লাহ ইসলাম গ্রহণ করেছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়, যারা অমুসলিম অবস্থায় মারা গেছে, তাদের জন্য খুবই দুঃখ ও আফসোস হয়। পরকালে তাদের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতাম। এ ব্যাপারে ইমাম সাহেবের সাথে আলোচনা করলে তিনি বললেন, তাদের জন্য এভাবে দুআ করা জায়েয হবে না। তাই জানার বিষয় হল, আসলেই কি তাদের জন্য দুআ করা জায়েয হবে না?
হাঁ, ইমাম সাহেব ঠিকই বলেছেন। কোনো ব্যক্তি কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার মাগফিরাতের জন্য বা পরকালে মুক্তির জন্য দুআ করা নাজায়েয। আল্লাহ তাআলা বলেন-
مَا كَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ یَّسْتَغْفِرُوْا لِلْمُشْرِكِیْنَ وَ لَوْ كَانُوْۤا اُولِیْ قُرْبٰی مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمْ اَنَّهُمْ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ
আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য নবী ও মুমিনদের ক্ষমা প্রার্থনা সংগত নয় যখন তা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা নিশ্চয়ই জাহান্নামী। -সূরা বারাআত (৯) : ১১৩
সুতরাং আপনি পরলোকগত অমুসলিম পিতামাতা ও অন্যান্য অমুসলিম আত্মীয়-স্বজনের জন্য মাগফিরাত কামনা ও পরকালে মুক্তির দুআ করা থেকে বিরত থাকবেন।
-সূরা বারাআত (৯) : ১১৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৭১; তাফসীরে কুরতুবী ৮/১৭৩; তাফসীরে রূহুল মাআনী ১১/৩২; আলবাহরুর রায়েক ৮/২০৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৬৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫২২