আমির ইবনৃল ঘুনযির রাসুললুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাষির হলাম ৷ সংগীদের মাঝে একজন
আর পাগল লোক ছিল ৷ কাফেলা সফর করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মসজিদের কাছে পৌছল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখামাত্র সকলে বাহন থেকে লাফিয়ে পড়ে ছুটতে লাগলেন ৷ কাছে গিয়ে
তার? রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাতে চুমু থেলো ৷ দলপতি আল আশাজ্জ পরে ধীরে সুন্থে তার
বাহন বীধলেন এবং পােশাকের থলে বের করে সেটি খুললেন এবং দৃখানা সাদা কাপড় বের
করে তা পরিধান করলেন ৷
এরপর কাফেলার বাহনগুলো বাধার কাজ সম্পন্ন করে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর খিদমতে হাজির
হলেন, তিনি বললেন, হে আশাজ্জ্ব ! তোমার মাঝে এমন দুটি স্বভাব-গুণ রয়েছে যা মহান
আল্পাহ্ ও তার রাসুল পসন্দ করেন গুণ দুটি হলো সহিষ্ণুতা ও হৈর্য ৷ আশাজ্জ (রা) বললেন,
“ইয়া রাসুলাল্লাহ ! এ দুটি আমার সাধনা-অর্জিত নাকি আল্লাহ্ জম্মগত ভাবে তা আমাকে দান
করেছেন ?” তিনি বললেন, “বরং আল্পাহ্ জন্মগতভাবেই তা তোমাকে দান করেছেন ৷” তিনি
বললেন, “যাবতীয় হামৃদ সে আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দুটি জন্যাত গুণ দান করেছেন যা
মহান আল্লাহ্ ও তার রাসুল (না)-এর পসন্দনীয় ৷ এ সময় আল ওয়াযি (বা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্পাহ ৷ আমার সাথে আমার এক মামা রয়েছেন, যিনি কিছুটা অপ্ৰকৃতস্থ তার জন্য
আল্লাহর কাছে দৃআ করে দিন ৷ তিনি বললেন, যে কোথায় ? তাকে আমার কাছে নিয়ে
এসো ৷ ” আলু ওয়াযি (বা) বলেন, আমি তখন আল আশাজের পন্থা অনুসরণ করে মামাকে
দৃথানা কাপড় পৰিয়ে নিয়ে আসলাম ৷ নবী করীম (সা) মামাকে পিছন থেকে ধ্রৈ উপরে
তুলতে লাগলেন ৷ এত উপরে তৃললেন যে, আমরা নবী করীম (না)-এর বগলের শুভ্রতা
দেখতে পেলাম ৷ এরপর মামার পিঠে থাপ্পর মেরে নবী করীম (সা) বললেন, “আল্পাহ্র
দুশমন ! বেরিয়ে যা ! মামা মুখ ফেরালে দেখলাম তিনি একজন সুস্থ ও প্রকৃতস্থ মানুষের
দৃষ্টিতে আমাদের দেখছেন ৷
হাফিজ বায়হাকী (র)-এর রিওয়ায়াত ? হুদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাদ (র) সুত্রেহুদ
(র) এর দাদা মাযীদা আল-আবদী (বা) বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (না) তার সাহাবীদের
সাথে আংলাচনাকালে বলে উঠলেন-
অনতিবিলন্সে এ দিক থেকে এক কাফেলার আগমন ঘটবে, যারা পুবাঞ্চলবাসীদের মাঝে
শ্রেষ্ঠ ৷ তখন হযরত উমর (রা) উঠে যে দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ একটু পরে তিনি তেরজন
আরোহীর সাক্ষাত পেলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের বংশ কি ? তারা বলল,আবদুল
কায়স’ ৷ উমর (রা) বললেন, আমাদের এ দেশে আপনাদের আগমনের হেতু কি ? আপনারা
, কি ব্যবসা করবেন ? তারা বলল, না ৷ উমর (রা) বললেন, শুনুন ! নবী কৰীম (সা) এই মাত্র
আপনাদের কথা আলোচনা করেছেন এবং আপনাদের সম্পর্কে উত্তম মন্তব্য করেছেন ৷ পরে
তারা উমর (রা)-এর সাথে নবী করীম (সা) এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের বললেন, ইনিই
আপনাদের কাংখিত ও উদ্দীষ্ট ব্যক্তি ৷ এ কথা শোনা মাত্র কাফেলার লোকেরা বাহন থেকে
লাফিয়ে পড়ল ৷ কেউ তো দ্রুত হেটে, কেউ লাফাতে লাফাতে এবং কেউ কেউ দ্রুত দৌড়ে
নবী করীম (সা) এর সামনে এসে সকলে তার হাত ধরে চুঘু খেতে লাগল ৷ দলপতি আল
আশাজ্জ কাফেলার ৰাহনগুলির কাছে রয়ে গেলেন এবং সেগুলি যথাযথভাবে বসিয়ে দিয়ে বেধে
রাখলেন ৷ পরে কাফেলার আসবাবপত্র সুশৃৎখল করে ধীরে সুস্থে হেটে এসে নবী করীম (সা)-
এর হাত ধরে চুমু খেলেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন, তোমার মাঝে দুটি গুণ রয়েছে যা
আল্লাহ্ ও তীর রাসুল পসন্দ করেন ৷” আশাজ্জ বললেন, এ দু’টি কি আমার জন্মপতভাবে
আল্লাহ প্রদত্ত নাকি আমার সাধনা-অর্জিত ? তিনি বললেন “বরং জন্ম সুত্রে প্রাপ্ত ৷” আশাজ্জ
বললেন, সকল হাম্দ সে আল্লাহর যিনি আমাকে এমন জন্মপত স্বভাবসহ সৃষ্টি করেছেন, যা
আল্লাহ ও তীর রাসুলের প্রিয় ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, (আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি কাফেলার সাথে) আবদুল
কায়সৈর অন্যতম সদস্য আল জারুদ ইবন আমর ইবন হানাশ (রা) ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
দরবারে এসেছিলেন ৷ ইবনু হিশাম (র)-এর বর্ণনা মতে ইনি আলু জারুদ ইবন বিশ্ব ইবনৃল
মুআল্লা এবং তিনি খৃস্ট ধর্মের অনুসারী ছিলেন ৷
ইবন ইসহাকহাসান (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আলু জারুদ রাসুলুল্লাহ (সা)
এয়ষিদমতে উপনীত হলে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করলেন এবং
মুসলমান হওয়ার আহ্বান জানালেন ৷ জারুদ (রা) বললেন, হে মুহাম্মাদ ! আমি একটি ধর্মের
অনুসারী এবং এখন আপনার ধর্মের খাতিরে আমার ধর্ম ত্যাগ করছি ৷ আপনি কি আমার ধর্মের
ব্যাপারে দায়দায়িতৃন্ৰহন করবেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
“ ই৷ আমি এ কথার দায়-দায়িৎ নিচ্ছি, আল্লাহ্ তোমাকে তোমার সাবেক ধর্মের চাইতে
উত্তম ধর্মের পথ দেখিয়েছেন ৷” বর্ণনাকারী বলেন, তখন সংগীদের সহ জারুদ ইসলাম গ্রহণ
করলেন ৷
তারপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে বাহ্এেণ্৷ জো আমোঃণ্৷ জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “আল্লাহর কলম ! আমার কাছে এমন কিছু নেই যা তোমাদের বাহন রুপে দিতে
পারি ৷” জারুদ বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্! এখান থেকে আমাদের অঞ্চল পর্যন্ত বিভিন্ন পথে-
প্রান্তার অনেক হারানো উট পাওয়া যায় ৷ সে গুলির পিঠে বলে কি আমরা আমাদের দেশে
পৌছতে পারি তিনি বললেন “না, তা করবে না
কিছুতেই! কেননা ওগুলি ণ্ডে ৷ জাহান্নামের ইন্ধন” ৷ বর্ণনাকা রী বলেন এরপর জা রুদ (রা) স্বষ্
গোত্রে ফিরে গেলেন এবং আমৃত্যু দ্বীনের উপর সুদৃঢ় নিষ্ঠ৷ ৷বান মুসলমান ছিলেন ৷ রিদ্দা এর
যুগে১ তিনি জীবিত ছিলেন ৷
তখন তার কওমের নও মুসলিমরা আল গারুর ইবনৃল মুনযির ইবন নুমান ইবনৃল
যুনযিরের প্ররোচনায় ব্যাপক ধর্যত্যাগে উদ্ধৃদ্ধ হলে জারুদ (বা) তাদের মাঝে র্দ৷ ড়িয়ে বক্তৃতা
করলেন ৷ প্রথমে কালিমা ইশ ৷৷হাদাত ও হকের সাক্ষ্য উচ্চারণ করে ইসলামের প্রতি তাদেরকে
আহ্বান জা ৷নিয়ে বললেন, “ লোক সকল ! আ ৷যি সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ ব্যতীত আর
১ রাসুলুল্লা হ্ (না) এর ওফ ৷তের পরে, আবু বকর (রা ) এর খিলা ফতের গ্রারম্ভে যে সব নও মৃসলিম৩৷ ৷দের সাবেক
ধ্মে ফিরে গিয়েছিল, তাদের এ ব্যাপক ধর্ম-ত্যাগকে ইসলামী ইনিহসে রিদ্দা (প্রত্যাবর্তন ও ধমতাগ) বলা হয় ৷
ছুমামা (রা) এর ঘটনা
মুসায়লড়ামা কাঘৃঘাব সহ আগত বনু-হানীফা : গোত্রের প্রতিনিধিদল প্রসংপ
বুথায়ী (র) বলেন, “অনুচ্ছেদ : বনু-হানীফা গোত্রের প্রতিনিধি দল এবং ছুমামা ইবন উছাল
(রা)এর ঘটনা প্রসংগ ৷
আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)আবু হুরড়ায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী
করীম (সা) নাজ্বদ অভিমুখে অশ্বারোহী একটি বাহিনী পাঠালেন ৷ তারা ছুমামা ইবন উছাল
নামে বনু হানীকা গোত্রের এক ব্যক্তিকে বন্দী করে নিয়ে এল এবং তাকে মসজিদের একটি
মায়ের সাথে বেধে রাখল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে তার কাছে এসে বললেন, ম্র এ১এএ ৷ৰু
ত্রুএে হে ছুমামা তোমার মনের কথাটি কি ?” সে বলল, যে মুহাম্মাদ ! আমার মানাতাব
উত্তর ! তুমি আমাকে হত্যা করলে একজন দামী রক্তধারীকে (অর্থাৎ গোত্র পতিকে) হত্যা
করবে ; অনুগ্রহ দেখালে তা একজন কৃতজ্ঞের প্ৰতি অনুগ্রহ হয়ে, আর সম্পদ তোমার কামা
হলে তোমার যা চাহিদা তা করতে পার ৷” এ জবাবের পর বাসুলুল্লাহ্ (সা) পরের দিন পর্যন্ত
তার ব্যাপারটি মুলতবি রাখলেন ৷ পরের দিন আবার একই কথা বললেন, “ছুমামা ৷ তেঘোর
মনের তার কি?” যে বলল, আমার কথা যে একই, যা (আমাকে বলেছি “তুমি অনুঅহ করলে
তা হবে একজন কৃতজ্ঞের প্ৰতি অনুগ্রহ ৷” তখন তাকে ঐ অবস্থায় রেখে দেয়া হল এবং তৃতীয়
দিলণ্দৰী করীম (না) তাকে বললেন, হে ছুমামা তোমার মনের তার কি?” যে বলল, কথা
তাই না তোমাকে পুর্বেই বলেছি ৷ নবী কয়ীম (সা) বললেন, ণ্পুতড়ানরা ছুমামাকে মুক্ত করে
দাও ৷’ তখন সে মসজিদের কাছাকাছি একটি খেজুর বাগানে গিয়ে গোসল করল এবং পরে
মসজিদে প্রবেশ করে বলে উঠল “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন
ইলড়াহ্ নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল ৷ হে মুহাম্মাদ ! আল্লাহর কলম ! এ পৃথিবীর
বুকে ইতােপুর্বে আপনার ঢেহারার চাইতে অধিকতর অপলন্দনীয় আর কোন চেহারা আমার
ছিল না; এখন আপনার চেহারা আমার কাছে সৰ্বাধিক প্রিয় চেহারায় পরিণত হয়েছে ৷ আল্লাহর
কলম, ইতােপুর্বে আমার নিকট আপনার ধর্মের চাইতে অধিকতর অপসন্দনীর আর কোন ধর্ম
আমার কাছে ছিল না; আর এখন আপনার ধর্ম আমার সর্বাধিক প্রিয়া ধর্মে পরিণত হয়েছে ৷
আল্লাহর কলম ৷ আপনার শহরের চাইতে অধিকতর অপ্রির কোন শহর আমার কাছে ছিল না ;
এখন আপনার শহর আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় শহরে পরিং ত হয়েছে ৷ আপনার অশ্বারোহী
বাহিনী আমাকে বন্দী করে এ নেছে ; অথচ উনরা পালনের নিয়তে আমি (বরিয়েছিলড়াম ৷ এখন
আপনার অভিমত কি ? রত্বসুলুল্লাহ্ (না) তাকে সুসংবাদ দিয়ে উমরড়া পালনে যেতে বললেন ৷
ছুমামা (বা) মক্কায় উপনীত হলে জনৈক ব্যক্তি তাকে বলল “তুমি কি ধমম্ভিরিত হয়ে এসেছো
ম্র তিনি বললেন, না, আমি তো মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আল্লাহ্র
-এব্র অনুমতি ব্যতিরেকে ইয়ামামা থেকে তোমাদের জন্য ণমের একটি
দ্যে স্কো না
ৰুখাৰী (র) তার গ্রন্থের অন্যত্র এবং মুসলিম আবু দাউদ, নাসাঈ (র) প্রমুখ কুতায়বা আলু
লায়ছ (র) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীসখানি বিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে বুখাবী (র) কতৃক এ
ঘটনাটি প্রতিনিধিদল প্রসঙ্গে উল্লেখ করার ব্যাপারে চিন্তার অবকাশ রয়েছে ৷ কেননা, ছুমামা
(বা) স্বেচ্ছা প্রণোদিত প্রতিনিধি রুপে আগমন করেননি ৷ বরং তিনি এসেছিলেন রাসুল (সা)-
এর বাহিনীর হাতে বন্দী হয়ে এবং (প্রতিনিধি দলের মযদিড়ায় না রেখে) তাকে মসজিদের
খানের সাথে বেধে রাখা হয়েছিল ৷ তা ছাড়া নবম হিজবীতে আগমনকন্রী প্রতিনিধি দলের
তালিকায় তার নাম উল্লেখ করার ও ভিন্নমত পােবণ করার যৌক্তিকতা রয়েছে ৷ কারণ, বৃখাবী
(র) প্রদত্ত বর্ণনা ধারা থেকে বড়াহ্যত প্রতীয়মান হয় যে, ঘটনাটি ছিল মক্কা বিজয়ের কিছু
আগের ৷ কেননা, মক্কাবাসীরড়া ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে তাকে তুমি কি নতুন ধর্মের দীক্ষা
নিয়েছো’ বলে লজ্জা দিয়েছিল ৷ যার প্রতি উত্তরে তিনি এই বলে মক্কাবড়াসীদের হুমকি
দিয়েছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তিনি তাদের জন্য ইয়ামাম৷ থেকে
রসদ হিসাবে ণমের একটি দানাও পাঠাবেন না ৷ এ আলোচনা প্রতীয়মান করে যে, মক্কা
তখন পর্যন্ত দারুল হারব’ ছিল এবং তখন পর্যন্ত মক্কাবাসীরা ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷”
আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ এ সব কারণে হাফিজ বায়হড়ার্কী (র) ছুমামা ইবন উছাল (রা)র
ঘটনাটি মক্কা বিজয়ের পুর্ববর্তী ঘটনারুপে উল্লেখ করেছেন ৷ এটিই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আমরা
বুখরীি (র)এর অনুসরণে ঘটনাটি এখানেই উল্লেখ করলাম ৷
বুখারী (র) অ্যার৷ বলেছেন আবুল ইয়ামান (র)ইবনু আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, ভণ্ড নবী মুসায়লামাতুল কাবমাব ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর যুগে র্তার কাছে
এসেছিল ৷ সে বলতে লাগল-“মুহস্ফোদ তার মৃত্যুর পরে কতৃৎ আমার হাতে দিয়ে যাওয়ার
ঘোষণা দিলে আমি তার আনুগত্য স্বীকার করব ৷ তার সাথে ছিল তার গোত্রের একটি বিশাল
দল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ছাবিত ইবন কড়ায়স ইবন শাম্মাস (বা) কে সাথে নিয়ে তার নিকট
গেলেন ৷ তখন তার হাতে একটি থেজুরের ভাল ৷ তিনি গিয়ে সহচর পরিবেষ্টিত মুসারলামার
সামনে দাড়িয়ে বললেন, ধুরে র ব্যাপার) তুমি যদি আমার কাছে এ ছোট্ট
খেজুর ডালটিও দাবী কর তাও আমি তোমাকে দেব না; আর তুমি তোমার ব্যাপারে আল্লাহর
করসড়ালাকে রদ করতে পারবে না ৷ আর তুমি মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহই তোমাকে শাস্তি
দেবেন ৷ আর আমাকে যা দেখানো হয়েছে তাতে যাকে দেখেছি; আমি নিঃসন্দেহে তোমাকে
সেই লেড়াকটিই মনে করছি ৷” আর এ ছাৰিত-ই আমার পক্ষ হয়ে তোমাকে জবাব দেবে ৷
তারপর নবী কবীম ( সা) সেখান থেকে বিদায় নিলেন ৷ ইবনু আব্বাস (রা) বলেন, পরে আমি
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)এর উবি আমাকে যা দেখানাে হয়েছে তোমাকে সেই লোকটিই মনে
করছি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আবু হরাররা (বা) আমাকে “খবর” দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন
১ বিশুদ্ধতর উচ্চারণ হচ্ছে মুসারলিমা দ্র আল-মুনজিদ
“আমি নিদ্রড়ামগ্ন ছিলাম, ইতোমধ্যে দেখি কি আমার দুহাতে দুটি সোনার কাকন রু তা
আমাকে চিম্ভারুিষ্ট করল, ত খন ঘুমের মধ্যেই আমার কাছে ওহী নাযিল হল “ ও দু’টিতে কু
দাও, আমি কু দিলে যে দুটি উড়ে গেল ৷ আমি (সপুে দেখা) কাকন দৃটিরব্যাধ্যা করলাম দুই ষিথ্যাৰাদী (ভণ্ড নবী) যারা আমার পরে
আত্মপ্রকাশ করবে ৷ এদের একজন আল আসৃওয়াদ আলু আনাসী, অন্য জন মুসায়লামা ৷
তারপর বৃখারী (র) বলেন, ইসৃহাক ইবন মনসুর (র) আবু হুরায়রা সুত্রে বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন-
“আমার নিদ্রামগ্ন অবস্থায় আমার কাছে পৃথিবীর ভআেরসমুহ নিয়ে আসা হল, তখন আমরে
হাতে সোনার দু ’টি কাকন রেখে দেয়া হলে সে দুটি আমার কাছে ও রী মনে হল, আমার কাছে
ওহী পাঠানো হল যে, ও দৃটিতে কু দাও, আমি কু দিলে যে দুটি অদৃশ্য হয়ে গেল : আমি যে
দুটির ব্যাখ্যা করলাম সে ভণ্ডদ্বয়, যাদের যুগে আমি ররৈছি ৷ সান্আ এর লোকটি ও ইয়ামামড়া-
এর ল্যেকটি ৷”
বুখারী (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন মুহাম্মাদ আ ল জা ৷বৃমী (র)উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উতবা (র) সুত্রে বলেন, আমাদের কাছে এ বিওয়ায়াত পৌছেছে যে,
মুসারলামাভুল কায্যাব মদীনায় এসে বিনৃতুল হারিছ-এর বাড়িতে অবস্থান নিল ৷ বিনৃতুল
হারিছ ইবন কুরায়য্ ছিল তার পত্নী মহিলাটি ছিল আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবন কুরায়য-এর
মা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে আসলেন, তীর সাথে ছিলেন ছাবিত ইবন কায়স ইবন শন্মোস
(রা)-যিনি খাতিবু রাসুলিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর রাসুলের (সা) মুখপাত্র নামে অভিহিত হতেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা)এর হাতে ছিল একটি খেজুর শাখা ৷ তিনি যুসায়লামা-র কাছে দাড়িয়ে তার
সাথে ’ কথা বললেন, মুসায়লামা তাকে বলল, “আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ও আপনার
(নবুয়ত) বিষয়টির মাঝে বাধা অপসারণ করে দিতে পারেন এবং আপনার পরে তা আমার
জন্যে করে দিতে পারেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি আমার কাছে থেজুরের এ ড ড়ালটিও
দাবী করলে তা ও অমি তোমাকে দেব না ! আর আমি নিশ্চিত ই তে আমাকে সেই লােকটি বলে
মনে করছি যাকে আ ড়ামি সপ্লে দেখেছি, তাতে দেখেছিলাম ৷ আর এ ছবি ইবন কারন; সেই
আমার পক্ষে তোমাকে জবাব দিবে ৷” এ কথা বলে রাসুলুল্লাহ (সা) চলে গেলেন ৷ আবদুল্লাহ
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উল্লিখিত স্বপ্ন সম্পর্কে আমি ইবনু আব্বাস (রড়া)-কে জিজ্ঞাসা
করলাম, ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমার কাছে বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, আমি নিদ্রামগ্ন থাকা অবস্থায় দেখলাম যে, আমার দুহাতে সোনার দুটি র্কাকন রেখে
দেয়া হয়েছে ; আমি তা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম এবং যে দুটি আমার কাছে অপসন্দনীয়