আমাদের এলাকার এক খতীব সাহেব বেশ কয়েক জুমায় প্রথম ও
দ্বিতীয় খুতবায় কোনো আয়াত-হাদীস পাঠ করেননি। আরবীতে হামদ ও সানা পড়ার পর কিছু নসীহত করেই শেষ করে দেন।
জানার বিষয় হল, এভাবে খুতবা দিলে কি হয়ে যাবে? নাকি আয়াত-হাদীসও পড়তে হবে?
খুতবায় কিছু আয়াত তিলাওয়াত করা সুন্নত। উম্মে হিশাম রা. বলেন,
مَا حَفِظْتُ ق، إِلَّا مِنْ فِي رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَخْطُبُ بِهَا كُلَّ جُمُعَةٍ.
‘আমি তো সূরা ক্বফ শিখেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনে শুনে। প্রতি জুমার খুতবায় তিনি এই সূরা পড়তেন।’-সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৭৩
হযরত ইয়ালা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বরে ونادوا يامالكআয়াতটি পড়তে শুনেছেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৭১
উবাই ইবনে কাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ بَرَاءَةٌ، وَهُوَ قَائِمٌ يُذَكِّرُ بِأَيَّامِ اللهِ
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার খুতবায় সূরা বারাআহ (তাওবা) তিলাওয়াত করলেন। তিনি আমাদেরকে তখন পূর্ববর্তী কওমসমূহের প্রতি আল্লাহর নিআমত ও শাস্তির কথা স্মরণ করাচ্ছিলেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১২৮৭) তাই খুতবায় কোনো আয়াত তিলাওয়াত না করলে খুতবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ছুটে যায। তবে কোনো আয়াত-হাদীস পাঠ না করলেও খুতবা আদায় হয়ে যাবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৯১; মাবসূত, সারাখসী ২/৩০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৫৬৯; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৫৩; রদ্দুল মুহতার ২/১৪৮