আমাদের পরিবারের পূর্বপুরুষ (আমার মার ফুফা আমাদের নানা) ৮০ বছর পূর্বে একটি মসজিদের জন্য মৌখিকভাবে জায়গা দান করেন, সে জায়গায় একটি মসজিদ স্থাপন করা হয়। মসজিদঘরের দক্ষিণ পাশে মসজিদের জায়গার একটি অংশে দাতার মেয়ে, নাতনি ও আমার দাদির কবর হয়। পরবর্তীকালে তার ওয়ারিশ যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন (আমার বাবা) তিনি মসজিদের নামে একটি দলিল করে দেন। এরপর মসজিদ বড় করার প্রয়োজন হলে কবরগুলো ঠিক রেখে দক্ষিণে একতলা বিল্ডিং করা হয় এবং পূর্বের জায়গায় একটি হিফযখানা তৈরি করা হয়। হিফযখানার একটি অংশের নিচে কবরগুলো চলে আসে। স্থানীয় আলেমরা বলেছিলেন, হেফযখানা কবরের উপর হলে কেনো অসুবিধা নেই। বর্তমানে মসজিদকমিটি সেই হিফযখানা উঠিয়ে দিয়ে সেখানে মসজিদ সম্প্রসারণ করছেন। তাদের কাছে মাসআলা হল ২৫ বছরের পুরনো কবরের উপর মসজিদ করা যাবে।
আসলে কুরআন্তহাদীসের আলাকে কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা যাবে কি না এবং সেখানে নামায পড়া ঠিক হবে কি না জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্নের বিবরণ এবং প্রশ্নকারীর মৌখিক বর্ণনা অনুযায়ী যেহেতু ওই ১৫ শতাংশ জায়গার পুরোটাই মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত এবং এতে বিদ্যমান কবরগুলো বেশ পুরনো তাই বর্তমানে ওই জায়গায় মসজিদ সমপ্রসারণ করা জায়েয হবে। এক্ষেত্রে যদি সেখানে কবরের কোনো চিহ্ন থাকে তাহলে তা সমান করে দিতে হবে। মসজিদের ভিতরে কবরের কোনো চিহ্ন রাখা যাবে না। আর কবরবাসীদের আত্মীয়-স্বজনের কর্তব্য হবে এতে বাধা না দেওয়া।
ফাতহুল কাদীর ৫/৪৩২; মাজমাউল আনহুর ২/৫৮১;আলবাহরুর রায়েক ৫/২০৫, ২/১৯৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩৫০; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩৫১-৩৫২,২/২৩৮; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলালমারাকী ৩৩৬