আমাদের পাড়ার মসজিদে গত রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফের জন্য কেউ স্বেচ্ছায় রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে গ্রামের মুরব্বিগণ একজন দ্বীনদার দরিদ্র লোককে এই বলে রাজি করেন যে, তারা তার পরিবারের এই দশ দিনের খরচ নির্বাহ করবেন। জানার বিষয় হল, এ ধরনের পরিস্থিতিতে এভাবে বিনিময় দিয়ে ইতিকাফে বসানো জায়েয আছে কি না?
বিনিময় দিয়ে কাউকে ইতিকাফে বসানো জায়েয নয়। ইতিকাফ কোনো প্রকার বিনিময় ছাড়া একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই হতে হবে। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পরিবারের খরচ নির্বাহের শর্তটি বিনিময়ের অন্তর্ভুক্ত। তাই উক্ত শর্তে ইতিকাফে বসানো শরীয়তসম্মত হয়নি।
উল্লেখ্য, ইতিকাফ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ শুরু করার পর মৃত্যু পর্যন্ত প্রতি বছর ইতিকাফ করেছেন। শুধু এক বছর বিশেষ কারণে ইতিকাফ করতে না পারলেও পরবর্তী বছর কাযা হিসেবে বিশ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। এছাড়া ইতিকাফ করলে লাইলাতুল কদর পওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সকল ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কিছুদিন মসজিদে থাকাটা তো এমনিতে অনেক বড় সৌভাগ্যেরও বিষয়। তাই প্রত্যেকের উচিত নিজেকে এই আমলের জন্য প্রস্তুত করা।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫৩২; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ২/৩০৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৫