আমাদের মসজিদের একটি পুকুর আছে, ঐ পুকুরে মাছ চাষ করা হয়েছে। তা পুকুরে থাকা অবস্থায় ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। একদিনেই সকল আয়োজন সম্পন্ন করে পুকুরের সব মাছ ধরে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে ফেলেছে। পরবর্তীতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, উক্ত বেচা-কেনা সহীহ হয়নি। জানার বিষয় হল, ওই বিশ হাজার টাকা কি মসজিদের কাজে ব্যবহার করা যাবে?
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী মসজিদ কর্তৃপক্ষের জন্য ঐভাবে পুকুরের মাছ বিক্রি করা জায়েয হয়নি। তাদের কর্তব্য হল এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে মাসআলা জেনে সতর্কতার সাথে আমল করা। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কারবারটি যেহেতু নাজায়েয হয়েছে এখন ঐ চুক্তি ধর্তব্য হবে না। অতএব যে পরিমাণ মাছ পাওয়া গেছে তার পাইকারি বাজার-মূল্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ পাবে। তাই পুকুর থেকে যে পরিমাণ মাছ ধরা হয়েছে ঐ পরিমাণ মাছের ঐ দিনের বাজারদর নির্ধারণ করবে। বাজার দর যদি ২০ হাজার টাকা হয়ে যায় তবে তো ঠিক আছে। আর যদি কম হয় তাহলে বাজার দর হিসেবে যত টাকা হয় তত টাকাই মসজিদের পাওনা, অতিরিক্ত টাকা ক্রেতা মাছ ব্যবসায়ীদেরকে ফেরত দিতে হবে। আর বাজার দর যদি ২০ হাজার টাকা থেকে বেশি হয় সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা মসজিদের পাওনা। মোটকথা, যে পরিমাণ মাছ পাওয়া গেছে তার ঐ দিনের বাজার দরই মসজিদের প্রাপ্য। সে অনুযায়ী লেনদেন নিষ্পত্তি করতে হবে। এবং এভাবে গৃহীত টাকা মসজিদের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
-ফাতহুল কাদীর ৬/৯২, ৯৮, ৪৯; জামিউল ফুছুলাইন ২/৪৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/১১৩; রদ্দুল মুহতার ৫/৯২, ৭১