প্রশ্ন
আমার আব্বা দুই বিবাহ করেন। প্রথম পক্ষে তিন মেয়ে হওয়ার পর ঐ স্ত্রী ইন্তেকাল
করেন। পরবর্তীতে আমার আম্মাকে বিবাহ করেন। আব্বার প্রথম পক্ষের বড় মেয়ের মেয়ের মেয়ে তথা বড় মেয়ের নাতনীর সাথে আমি কিছুদিন পূর্বে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু ধর্মীয় দিক থেকে কেউ কেউ এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠালে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হই। অতএব মহোদয়ের কাছে আমি এ বিষয়ে মাযহাব বর্ণনাসহ ফকীহদের বিস্তারিত মতামত জানতে একান্ত আগ্রহী।
করেন। পরবর্তীতে আমার আম্মাকে বিবাহ করেন। আব্বার প্রথম পক্ষের বড় মেয়ের মেয়ের মেয়ে তথা বড় মেয়ের নাতনীর সাথে আমি কিছুদিন পূর্বে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু ধর্মীয় দিক থেকে কেউ কেউ এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠালে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হই। অতএব মহোদয়ের কাছে আমি এ বিষয়ে মাযহাব বর্ণনাসহ ফকীহদের বিস্তারিত মতামত জানতে একান্ত আগ্রহী।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ঐ মেয়েটি আপনার
মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। তার সাথে আপনার বিবাহ
শুদ্ধ হয়নি। কুরআন মাজীদের সূরা নিসার ২৩ নং
আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন , ( তরজমা) তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা , তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন , তোমাদের
ফুফু , তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকন্যা, ভগ্নিকন্যা …।
উক্ত আয়াতে মাহরামের আলোচনায় যে ভগ্নিকন্যা এসেছে তাতে বোনের
মেয়েসহ তার অধস্তন সকল কন্যা অন্তর্ভুক্ত।
এতে আপন বোনের মেয়ে , বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে এবং বৈমাত্রেয় বোনের মেয়ে এবং এদের অধস্তন সকল কন্যার হুকুম
সমান।
তাই এখন আপনাদের কর্তব্য হল, এখনি পৃথক হয়ে যাওয়া এবং নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তিগফার করা।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত হুকুমটি (ভগ্নিকন্যার
অধস্তনগণ মাহরাম হওয়া) সর্বসম্মত মাসআলা।
এতে কোনো ইমাম বা কোনো মাযহাবের দ্বিমত নেই। আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১২৩; তাফসীরে মাযহারী ২/২৬৫; কিতাবুল আছল ৪/৩৮৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৬০; ফাতহুল কাদীর ৩/১১৭৷
মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। তার সাথে আপনার বিবাহ
শুদ্ধ হয়নি। কুরআন মাজীদের সূরা নিসার ২৩ নং
আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন , ( তরজমা) তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা , তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন , তোমাদের
ফুফু , তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকন্যা, ভগ্নিকন্যা …।
উক্ত আয়াতে মাহরামের আলোচনায় যে ভগ্নিকন্যা এসেছে তাতে বোনের
মেয়েসহ তার অধস্তন সকল কন্যা অন্তর্ভুক্ত।
এতে আপন বোনের মেয়ে , বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে এবং বৈমাত্রেয় বোনের মেয়ে এবং এদের অধস্তন সকল কন্যার হুকুম
সমান।
তাই এখন আপনাদের কর্তব্য হল, এখনি পৃথক হয়ে যাওয়া এবং নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তিগফার করা।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত হুকুমটি (ভগ্নিকন্যার
অধস্তনগণ মাহরাম হওয়া) সর্বসম্মত মাসআলা।
এতে কোনো ইমাম বা কোনো মাযহাবের দ্বিমত নেই। আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১২৩; তাফসীরে মাযহারী ২/২৬৫; কিতাবুল আছল ৪/৩৮৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৬০; ফাতহুল কাদীর ৩/১১৭৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন