আমার চাচার এক লক্ষ টাকার প্রয়োজন হলে সে তার এক বন্ধুকে বললেন, আমার ৫ শতাংশ জমি তোমার কাছে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করলাম। এক মাস পর তা আমি সাড়ে সাত হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনে নিব। সে এতে রাজি হয়ে এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেয়। তবে এখানে কোনো দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি। ঐ জমির দখলও বুঝিয়ে দেয়নি; বরং তা চাচার কাছেই আছে। তিনিই তা ভোগ করছেন। আর বাস্তবে ঐ জমির মূল্য এক লক্ষ টাকা নয়; বরং নিম্নে দশ লক্ষ টাকা। এ অবস্থায় তাদের এ বেচাকেনা কি বৈধ হয়েছে?
প্রশ্নোক্ত লেনদেনটি নাজায়েয ও সুদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত। কারণ এক্ষেত্রে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে উভয় পক্ষের কারো জমি কেনা-বেচা উদ্দেশ্য নয়; বরং এখানে ঋণ দেওয়া নেওয়া করে মেয়াদান্তে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণই মূল উদ্দেশ্য। এ কারণেই এ ক্ষেত্রে জমির বাস্তব দাম নির্ধারণ করা হয়নি এবং জমির রেজিস্ট্রি ও দখল দেওয়া হয়নি।
-আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ২৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২০৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬