আমি এবার হজ্বে যাচ্ছি। তামাত্তু হজ্ব করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু দমে শোকর দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই। তাই দমের পরিবর্তে রোযা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রশ্ন হল, ক) দমের পরিবর্তে রোযা রাখলে কয়টি রোযা রাখতে হবে এবং কী নিয়মে রাখতে হবে? ঐ রোযার নিয়ত কখন করতে হবে? সুবহে সাদিকের পর ঐ রোযার নিয়ত করলে কি তা আদায় হবে?
কিরান ও তামাত্তুকারী দমে শোকর আদায়ের সামর্থ্য না রাখলে এর পরিবর্তে তাকে দশটি রোযা রাখতে হবে। তিনটি রোযা ইহরামের পর থেকে আরাফার দিন পর্যন্ত শেষ হতে হবে। বাকি সাতটি পরবর্তীতে সুযোগমতো রাখলেও চলবে। এই সাতটি রাখার নির্ধারিত মেয়াদ নেই। এগুলো দেশে এসেই আদায় করা উত্তম। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) অতপর যখন তোমরা নিরাপদ হয়ে যাবে তখন যে ব্যক্তি হজ্বের সাথে উমরার সুবিধাও গ্রহণ করবে সে (আল্লাহর উদ্দেশ্যে পেশ করবে) যে কুরবানী সহজলভ্য হয় তা আদায় করবে। কারও যদি সে সামর্থ্য না থাকে তবে সে হজ্বের সময়ে তিনটি রোযা রাখবে এবং সাতটি (রোযা রাখবে) যখন বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করবে। এভাবে মোট দশটি রোযা হবে। -সূরা বাকারা : ১৯৬
আর দমের পরিবর্তে রোযা রাখলে এর নিয়ত সুবহে সাদিকের পূর্বেই করতে হবে। সুবহে সাদিকের পর নিয়ত করলে ঐ রোযা দম আদায়ের জন্য যথেষ্ট হবে না।
-আলবাহরুর রায়েক ২/২৬২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৭৭