আমি নতুন হাফেয। ছোট ছাত্রদের নিয়ে গত রমযানে তারাবীর নামায পড়িয়েছি। যখন আটকে যেতাম তখন রুকুতে চলে যেতাম। এরপর রুকু এবং সিজদায় চুপে চুপে আয়াতগুলো পড়ে পরবর্তী আয়াত স্মরণ করতাম। জানার বিষয় হল, এ কারণে কি নামাযের কোনো অসুবিধা হয়েছে?
নামাযে কুরআন মাজীদ থেকে পড়ার নির্ধারিত স্থান হল কিয়াম। অর্থাৎ রুকুর আগের সময়। এই নির্ধারিত স্থান ব্যতীত রুকু-সিজদা বা অন্য কোনো সময় কুরআন থেকে পড়া মাকরূহ। আয়াত স্মরণ করার উদ্দেশ্যেও পড়া যাবে না। অবশ্য মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে আয়াতের খেয়াল করলে নামাযের ক্ষতি হবে না।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রুকু-সিজদায় আয়াত পড়ার কারণে নামায মাকরূহ হয়েছে। তবে সকলের নামায আদায় হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, আয়াত স্মরণ না হলে কিংবা অন্য কারণে লোকমা নেওয়ার প্রয়োজন হলে লোকমা নিবে। মনে রাখা দরকার যে, একেবারে লোকমা ছাড়া পড়ানো জরুরি কোনো হুকুম নয়; বরং মাসআলাসম্মত পড়া এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির খেয়াল রেখে পড়াই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
-শরহুল মুনইয়াহ ৩৫৭; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২০৯; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১১৮