কথা শুনে মুআয (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আসন্ন ৰিরহ আশঙ্কায় কেদে ফেললেন ৷ তারপর
ৰিবগ্ন বদলে মদীনায় পানে দৃষ্টি ঘোরালেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন-
“আমার অধিকতর সাব্লিধ্যের লোক হল যুত্তাকীরা ৷ তারা যে কোন দেশ গোত্রের হোক
এবং যেখানে থাকুক না কেন ৷ আহমদ (র) পরবর্তী রিওয়ায়াত নিয়েছেন আবুল ইয়ামান
(র)আসিম ইবন হুমারদ আস সাকুনী (র) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তাতে
অতিরিক্ত আছে তখন আরো বলেছিলেন-
-এক্রো এ,ও ম
া:হ মুআয! কেদাে না, কান্নার অনেক উপযোগী সময় রয়েছে ! (তা ছাড়া) কান্না মুলত
শয়তানের পক্ষ থেকে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবুল মুগীরা (র) মুআয (না)
থেকে এ মর্মে যে, তিনি বলতেন, রাসুলুস্লাহ্ (সা) আমাকে ইরামানে পাঠালেন ৷ তিনি আমাকে
বললেন,
হয়ত, তুমি আমার কবর ও মসজিদের পাশ দিয়ে পথ চলবে; তোমাকে আমি এমন একটি
সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাচ্ছি যাদের হৃদয় কোমল, যারা ন্যারের ভিত্তিতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়
(কথাটি তিনি দৃ’বার বললেন) ৷ সুতরাং তাদের মাঝে যারা তোমার অনুণামী হয়ে তাদের
সহায়তা নিয়ে তাদের মধ্যকার অবাধ্যদের সাথে যুদ্ধ করবে ৷ ফলে তারা ইসলামের দিকে
ফিরে আসবে ৷ এমন কি শ্রী তার স্বামীর সাথে, সন্তান তার জনকের সাথে এবং তইি ভাইয়ের
সাথে প্রতিযোগীতা করে দীনের পথে ফিরে আসবে ৷ তুমি সাকুন’ ও সাকাসিক’ পােত্রদ্বরের
মাঝে অবস্থান করবে ৷
এ হাদীসে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে মুআয (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
মিলিত হওয়ার অবকাশ পাবেন না ৷ বাস্তবেও তাই ঘটেছিল ৷ কেননা, বিদায় হজ্জ পর্যন্ত মুআয
(রা) ইয়ামড়ানেই অবস্থানরত ছিলেন ৷ এদিকে হচ্ছে আকবর (বিদায় হজ্জএর একাশি দিন
পরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত হয়ে যায় ৷ তাই যে সব হাদীসে এর বিপরীত বর্ণনা পরিদৃষ্ট
হয় যেমন, ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র)মুআয (রা) থেকে বর্ণনা করেন এ মর্মে
যে, তিনি ইয়ামান থেকে ফিরে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমি ইয়ামানে কিছু লোক
এমন দেখেছি যারা একে অন্যকে সিজদা করে ৷ আমরাও কি আপনাকে সিজদা করবো না ?
তিনি বললেন-
“আমি কোন মানুষকে অন্য কোন মানুষের সামনে সিজদাবনত হওয়ার হুকুম করতে চইিলে
দ্রীদের হুকুম দিতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে ৷” আহমদ (র) এ হাদীসখানা