সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলআজিক আল সৌদ ইয়েমেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠালেন যখন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্য ৬৫ মিলিয়ন ডলার হ্রাস করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স এ খবর দিয়ে বলছে, দুই বছর আগে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পর মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নে এক ডলারের বিপরীতে ৫’শ ইয়েমেনি রিয়াল দাঁড়িয়েছে।
ইয়েমেনের পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি বিষয়টি নিয়ে সৌদি বাদশাহর শরণাপন্ন হলে দেশটিকে এ জরুরি অর্থ সহায়তা দেওয়া হল। হাদি বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন এবং ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের দমনে সেখানে জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই সৌদি আগ্রাসন চলছে।
এদিকে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্যে হুতি নেতা মোহাম্মদ আব্দেল সালেম সৌদি আগ্রাসনকে দায়ী করেছেন। সৌদি জোটের আরোপিত অবরোধের পাশাপাশি ইয়েমেনে ভয়াবহ খাদ্য ও ওষুধ সংকটে এক দুর্ভিক্ষাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ৮০ লাখ মানুষ রয়েছে তীব্র খাদ্য সংকটে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে যাদের অধিকাংশ শিশু। অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক ত্রাণ দেশটিতে পৌঁছাতে পারছে না।
হুতি নেতা মোহাম্মদ আব্দেল সালেম আরো বলেছেন, সৌদি অবরোধের কারণে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ পর্যন্ত অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দেশটির অবকাঠামোগুলো ধংস করা হচ্ছে। দুই বছর আগে এপ্রিল মাসে হুতি বিদ্রোহীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
গত বছরে ইয়েমেনে ব্যাপক ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে দক্ষিণ ইয়েমেনে এধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইয়েমেনে অন্তত ১০টি বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানার দখল নেয়। দখল নেয় কৌশলগত লোহিত সাগরে হুদায়দা বন্দরটিরও। এ বন্দরটির মাধ্যমে সিংহভাগ পণ্য আমদানি করত ইয়েমেন।