একজন আলেমকে বলতে শুনেছি যে, কেউ যদি হারাম খাদ্য খাওয়ার সময় আলাহ তাআলার নামের সাথে উপহাস করার জন্য বিসমিল্লাহ বলে তবে সে কাফের হয়ে যাবে। তবে কারো যদি উপহাস উদ্দেশ্য না হয় তবে সে কাফের হবে না।
কিন্তু দুটি ইসলামী পত্রিকায় এর বিপরীত বক্তব্য দেখলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ‘হারাম খাদ্য খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বললেই কাফের হয়ে যাবে। স্বয়ং এ কাজটিই এক ধরনের উপহাস। তাই তার নিয়ত কী ছিল তা ধর্তব্য হবে না।
এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে কৃতার্থ করবেন।
প্রশ্নে বর্ণিত আলেমের বক্তব্যই সঠিক। পত্রিকা দুটির এ সম্পর্কিত বক্তব্য সঠিক নয়। নিশ্চিতভাবে হারাম জানা সত্ত্বেও কোনো হারাম খাদ্য (যা হারাম হওয়ার বিষয়টি অকাট্য ও সকলেরই জানা) বিসমিলাহ বলে খাওয়া মারাত্মক গুনাহ ও কুফরি কাজ। তবে উপহাস বা ঠাট্টা উদ্দেশ্য না হলে এ কারণে কাউকে কাফের বলা যাবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে লোকটি মারাত্মক গুনাহগার ও ফাসেক বলে গণ্য হবে।
আর উপহাস বা ঠাট্টার উদ্দেশ্যে কেউ এরূপ করলে সে কাফের হয়ে যাবে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হারাম বস্ত্তর উপর কেউ উপহাস বা ঠাট্টার সাথে বিসমিলাহ বলেছে এটা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কাফের বলা যাবে না।
-হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ২/৪৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৩২৫; আলবাহরুর রায়েক ৫/১২৪