একজন ইমাম সাহেব আমাকে সাথে নিয়ে পাইকারী দোকান থেকে ১ লক্ষ টাকার ফ্যান কিনে ইমাম সাহেবের নামেই ভাউচার করেন। অতপর ইমাম সাহেব ফ্যানগুলো নিজের আয়ত্তে দুই দিন রাখার পর উক্ত এক লক্ষ টাকার ঐ ফ্যানগুলো ছয় মাসের বাকি মেয়াদে ১ লক্ষ আঠারো হাজার টাকায় আমার কাছে বিক্রি করেন।
উক্ত বেচাকেনাতে সুদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি? দলিলসহ জানালে উপকৃত হব।
আপনাদের লেনদেনটি যদি বাস্তবেই প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে হয়ে থাকে অর্থাৎ ইমাম সাহেব প্রথমে ফ্যানগুলো নিজের জন্য খরিদ করে থাকেন এবং সেগুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে থাকেন এরপর আপনার নিকট পৃথকভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদে বা কিস্তিতে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে থাকেন তাহলে আপনাদের প্রশ্নোক্ত লেনদেনটি সহীহ হয়েছে। এতে সুদের সম্পৃক্ততা নেই। তবে এক্ষেত্রে আঠারো হাজার টাকার লাভের পরিমাণটা বেশি। তা আরো কম হওয়া উচিত ছিল। যদিও এ কারণে ঐ ক্রয়-বিক্রয় নাজায়েয হয়ে যায়নি। আর ভবিষ্যতেও যেন কারবারটি সুদের সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত থাকে সেজন্য নিম্নের বিষয়টি লক্ষ্য রাখা জরুরি।
নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপনাকে টাকাগুলো পরিশোধ করে দিতে হবে। নির্ধারিত মেয়াদ থেকে বিলম্ব করা গুনাহ। তবে কোনো কারণে সময়মতো মূল্য পরিশোধ করা না হলে অতিরিক্ত প্রদানের শর্ত করা যাবে না এবং কোনো ধরনের জরিমানা আরোপ করা যাবে না। অতিরিক্ত নিলেই তা সুদ হয়ে যাবে।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ২২৮৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৯৮; জামে তিরমিযী, হাদীস ১২৩৪; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৬/১২২; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৯৪; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ ২৪৫