একজন কবিরাজ চিকিৎসার জন্য তিনটি পুতুল বানিয়ে মানুষের মতো জানাযা পড়িয়ে দাফন করতে বলেছে। এভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা কি জায়েয?
কবিরাজের নির্দেশিত ঐ চিকিৎসা পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ শরীয়তপরিপন্থী। সুতরাং তার কথা অনুযায়ী আমল করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা এতে একাধিক শরীয়তবিরোধী কাজ রয়েছে। যথা-
১. পুতুল বানানো, যা নাজায়েয। হাদীসে এ বিষয়ে কঠিন সতর্কবাণী এসেছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা প্রতিকৃতি তৈরি করে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৯৫০
২. পুতুলের জানাযা পড়া। জানাযা শরীয়তের একটি নির্ধারিত ইবাদত, যা মৃতের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে বিশেষ পদ্ধতিতে আদায় করা হয়। কোনো পুতুলের জন্য জানাযা পড়া শরয়ী হুকুমের চরম বিকৃতি, যা বিদআত হওয়ার পাশাপাশি কুফরি তুল্য গুনাহ।
৩. চিত্র, মূর্তি, ভাস্কর্য সামনে রেখে পূজা-অর্চনা করা মুশরিক-পৌত্তলিক সম্প্রদায়ের কাজ। পুতুল সামনে রেখে জানাযা পড়ার দৃশ্যটি সেসব শিরকী কাজের সঙ্গেই সাদৃশ্যপূর্ণ। আর এভাবেই মূর্তিপূজার দ্বার উন্মোচন হয়।
৪. এছাড়া মৃত ব্যক্তির মতো করে পুতুল দাফন করা একটি গর্হিত কাজ, শরয়ী বিধানের সাথে ঠাট্টার শামিল। তাই কোনো ঈমানদারের জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্পূর্ণ হারাম। আর এ ধরনের কবিরাজ থেকে ঝাড়-ফুঁক নেওয়া ও তদবীর গ্রহণ করাও নাজায়েয।
-সহীহ বুখারী, ১/১১২, হাদীস : ৪৩৪; আলইলাম, ইবনে হাজার হায়তামী ২/৩৪৮; আলবাহরুর রায়েক ২/১৭০; ফাতহুল বারী ১০/২০৬; মাজমাউল আনহুর ২/৫১০