একদিন আমার ভাতিজা ঘরের মেঝেতে পেশাব করে দেয়। ওর মা পরনের প্যান্ট দিয়েই ঐ মেঝে হালকাভাবে মুছে দেয়। আমি খেয়াল না করে ওর উপরই মোটা ও ভারী কার্পেট জাতীয় জায়নামায বিছিয়ে নামায আদায় করি। নামায শেষে ভাইয়া বললেন, ও তো ওখানে পেশাব করেছিল, তুমি তার উপরই জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়েছ! আমি জায়নামায উল্টে দেখি, জায়নামাযের উল্টো পিঠে হালকা ভিজা ভিজা আছে। আর পেশাবের গন্ধ মোটামুটি স্পষ্ট। কিন্তু জায়নামাযের উপর পিঠে কোনো গন্ধ নেই। প্রশ্ন হল, ঐ জায়নামাযে আমার নামায কি শুদ্ধ হয়েছে? দয়া করে জানাবেন।
মোটা জায়নামাযের এক পিঠে যদি নাপাকি লাগে আর ঐ নাপাকি বা তার প্রভাব (রং, গন্ধ) কাপড়ের অপর পিঠে না পৌঁছে তাহলে বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী অপর পিঠের পবিত্রতা বহাল থাকবে। নিচের অংশের অপবিত্রতার কারণে তা নাপাক গণ্য হবে না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত জায়নামাযের উপরের অংশে যেহেতু প্রস্রাবের আর্দ্রতা ও দুর্গন্ধ পৌঁছেনি তাই তাতে আপনার নামায শুদ্ধ হয়েছে।
তবে মোটা কাপড়ের এক পিঠের নাপাকীর প্রভাব অন্য পিঠে প্রকাশ না পেলেও যেহেতু তা কোনো কোনো ফকীহের মতে নাপাক হয়ে যায় তাই এই জায়নামায পবিত্র না করে তাতে আর নামায না পড়াই শ্রেয় হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/২৩৯; রদ্দুল মুহতার ১/৬২৬