এক ছেলে রমযানের ২০ তারিখ বালেগ হয়। প্রায়ই এমন হত যে, তার রোযা রাখার ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও মায়ের পীড়াপীড়িতে রোযা রাখত না। তদুপরি কাযা-কাফফারার মাসআলার ব্যাপারে সে ছিল উদাসীন। কয়েকদিন সে মায়ের কারণে আর কিছুদিন নিজেই রোযা রাখেনি। আর কিছুদিন সে রোযা রেখেছে। এ দশদিনের মধ্যে কতদিন সে রোযা রেখেছে আর কতদিন রাখেনি তার পুরো স্মরণ নেই এখন সে কী করবে?
রমযানের রোযা রাখার পর বিনা ওযরে তা ভেঙ্গে ফেললে কাযা কাফফারা উভয়টিই আদায় করা জরুরি। আর যদি রমযানের কোনো রোযা একেবারে নাই রাখে তাহলে তাকে শুধু ঐ রোযার কাযা করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, শরয়ী কোনো ওযর ছাড়া রমযানের রোযা না রাখা অনেক বড় কবীরা গুনাহ।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও আলী রা. থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি অসুস্থতা বা সফর ছাড়া ইচ্ছাকৃত রমযানের একটি রোযা ছেড়ে দিল সে আজীবন রোযা রাখলেও এ রোযার হক আদায় হবে না। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৯৩, ১২৭১১
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এ ছেলে বালেগ হওয়ার পর তার প্রবল ধারণা অনুযায়ী যে কয়টা রোযা রাখেনি বা রেখে ভেঙ্গে ফেলেছে উপরোক্ত নিয়মে সে ঐ রোযাগুলোর কাযা ও কাফফারা আদায় করবে এবং এজন্য সে আল্লাহ তাআলার নিকট কায়োমনোবাক্যে তওবা ও ইস্তেগফার করবে।
আর একাধিক রোযা রেখে তা ভেঙ্গে ফেললে সেক্ষেত্রে কাফফারার নিয়ম জানতে হলে পরবর্তীতে আবার বিস্তারিত প্রশ্ন করে জেনে নিবেন।
-রদ্দুল মুহতার ২/৩৮০; হাশিয়াতুশ শিলবী ১/৪৬৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ২৪৩