এক ব্যক্তি সেদিন পর্দার আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, কোনো মহিলার যখন ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হয়ে যায় তখন আর তার সাথে পর্দার বিধান থাকে না। তাই তার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েয। তার এ কথা কি সঠিক? দয়া করে জানাবেন।
বেগানা নারীর সাথে পর্দা করা ফরয। বয়স্কা মহিলার সাথেও পর পুরুষের পর্দা করা জরুরি। তবে অতিশয় বৃদ্ধা মহিলা, যাকে দেখলে পর পুরুষের কোনো আকর্ষণই সৃষ্টি হয় না- এ ধরনের বুড়ি মহিলার ক্ষেত্রে শুধু চেহারার পর্দার ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা রয়েছে। এ বয়সেও পর পুরুষের সামনে চুল ইত্যাদি পরিপূর্ণ ঢেকে রাখতে হবে। অবশ্য এগুলো ঢেকে শুধু চেহারা খোলা রাখা বৈধ।
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) আর বয়স্কা বৃদ্ধা নারীগণ যাদের বিবাহের কোনো আশা নেই তারা যদি তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের (অতিরিক্ত) বস্ত্র খুলে রাখে তাহলে তাদের জন্য কোনো দোষ নেই। তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। -সূরা নূর : ৬০
উল্লেখ্য, অতিশয় বুড়ি মহিলার সাথে চেহারার পর্দার বিধানের উক্ত শিথিলতা নির্দিষ্ট কোনো বয়সের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং বৃদ্ধা হওয়ার পাশাপাশি চেহারার আকর্ষণ এবং গড়ন ভেঙ্গে পড়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
তাই কোনো মহিলার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হয়ে গেলেই তার সাথে পর পুরুষের দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েয-এমন কথা ব্যাপকভাবে বলা ঠিক নয়। বরং ৬৫ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো মহিলার শারীরিক গঠন ও চেহারার আকর্ষণ যদি বাকি থাকে তাহলেও ঐ মহিলার চেহারার পর্দার হুকুম বহাল থাকবে। তার ক্ষেত্রে উক্ত ছাড় প্রযোজ্য হবে না।
-আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/৩৩৪; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৮৬-৭; তাফসীরে কুরতুবী ১২/২০৩