আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নড়াত , যার নিম্ন
ন্মো নদী বয়ে চলে, যেখানে তারা স্থায়ী হবে, এটাই মহা সাফল্য ৷ মরুবাসীদের মধ্যে কিছু
অজুহাত পেশ করতে আসলো ণ্লাকেরা যাতে করে অব্যাহতি পেতে পারে এবং যারা
আল্পাহ্কে, তার রাসুলকে মিথ্যা কথা বলেছিল তারা বসে রইল ৷ তাদের মধ্যে যারা কুফরী
করেছে অচিরেই তাদের বেদনাদায়ক শান্তি হবে ৷ যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং বাবা ব্যয়
নির্বাহে অসমর্থ তাদের কোন অপরাধ নেই ৷ যদি তারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অবিমিশ্র
অনুরাগী হয়, যারা সৎকর্যশীল তাদের বিরুদ্ধে কোন অতািবাগের হেতৃ নেই ৷ আল্লাহ
ক্ষমড়াশীল, পরম দয়াবান ৷ আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই বাবা বাহনের জন্য আসলে তুমি
তাদেরকে বলেছিলে, তােমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না ৷’ তারা অ্যাং ভরা চোখে
ফিরে গেল এ দু৪থে যে, ব্যয় করার মত সামর্থ তাদের নেই ৷ অত্যিযাগের হেতৃ ভো রয়েছে
তাদের বিরুদ্ধে যারা ৰিত্তবান হওয়া সত্বেও তোমার কাছে অব্যাহতি ঢেয়েছে ৷ তারা অভ
পুররাসিনীদের সংগে থাকা পসন্দ করেছিল ৷ আল্পাহ্ তাদের অন্তর সােহর করে দিয়েছিল, ফলে
তারা বুঝতে পারে না” (৯ : ৮৬-৯৩) ৷
আল্লাহর গোকর যে, তাফসীর গ্রন্থে এ আয়াতসমুহের ব্যাখ্যার আমি যথেষ্ট আলোচনা
করেছি ৷ এখানে উদ্দিষ্ট হচ্ছে, অশ্রুসিক্তদের কথা আলোচনা করা, যারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দরবারে এ বাসনা নিয়ে হাযির হয়েছিল যে, তিনি তাদেরকে বাহন দিবেন, যাতে করে তারা এ
যুদ্ধে তার সহযোগী হতে পারেন ৷ কিন্তু তারা তার কাছে আরোহণ যোগ্য বাহন না পেয়ে
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে এবং কিছু ব্যয় করতে না পারার আক্ষো:প র্কাদতে তাদতে
ফিরে গিয়েছিলেন ৷
ইবন ইসহড়াক বলেন, আনসারী ও অন্যদের সহ এদের সংখ্যা ছিল লাভ ও (১) আমর ইবন
আওফ গোত্রের সালিম ইবন উমায়র; (২) বনু হারিছার উলবা ইবন যায়দ; (৩) বনু মাযিন
ইবন নাজ্জারের আবু লায়লা আব্দুর রহমান ইবন কাব; (৪) বনু সালমড়ার আমর ইবন আল
হস্ফোম ইবনুল জামুহ; (৫) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুগাফকাল আল-মুযড়ানী তবে কারো কারো মতে
ইনি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন হামর১ আল-ঘুযড়ানী; (৬) বনু ওয়াকিফ-এর হারামী ইবন আব্দুল
আনা ও (৭) ইরবায ইবন সারিরাঃ আল ফাযারী (বা) ৷
ইবন ইসহাক বলেন, আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, ইবন ইয়ামীন ইবন উমায়র ইবন
কাব আন-নাযড়ারী আবু লায়লা ও আবদুল্লাহ ইবনুল মুগাফফালের সাথে দেখা করলেন ৷ তখন
তারা দুজন তাদছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের কান্নার কারণ কি? তারা বললেন, আমরা
বাহন লাভের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের বাহন
রুপে দিতে পারেন এমন কিছু তার কাছে পেলাম না ৷ আর আমাদের নিজেদের কাছেও তার
অভিযান সহগামী হওয়ার সামর্থ নেই ৷ তখন ইবন ইয়ামীন তাদের দৃ’জনকে তার একটি
পানিবাহী উট দিলেন, এবং পাথেয় স্বরুপ কিছু খুরমাও দিলেন ৷ তারা পালাক্রমে বাহনে চড়ার
নিরতে উটের পিঠে হাওদা চড়ালেন এবং নবী করীম (না)-এর সহগামী হলেন ৷
১ সম্ভবতঃ ছাপার ভুলে আমরকে হামর বলা হয়েছে ৷
ইবন ইসহাক থেকে ইউনুস ইবন বুকায়র এ বর্ণনা সংযোজন করেছেন যে, উলবা ইবন
যারদ রাতের বেলা বেরিয়ে পড়লেন এবং আল্লাহর ইচ্ছার সুদীর্ঘ রাত পর্যন্ত সালাত আদায়ের
পর দৃআ করালন-ইয়া আল্লাহ! আপনিই জিহাদের হুকুম দিয়েছেন এবং তাতে অনুপ্রাণিত
ৰদ্রছেন, অথচ আমাকে এমন কিছু দেননি, যা দিয়ে আমি জিহাদে যেতে পারি ৷ আর আপনার
রাসুলের হাতেও এমন কিছু দেন নি, যা তিনি আমাকে বাহন রুপে দিতে পারেন ৷ এখন আমি
আমার সম্পদ, সম্মান ও দেহের উপরে আগত প্রতিটি নিপীড়নকে প্রতিটি মুসলিমের জন্য
সাদকারুপে পেশ করছি ৷ পরদিন সকালে তিনি বাহিনীর লোকদের সাথে মিশে গেলেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, এ রাতের সাদকা পেশকারী কোথায় ?’ কিন্তু কেউ দাড়িয়ে
সাড়া দিল না ৷ তিনি আবার বললেন, সাদকা পেশকারী কোথায় ? দাড়িয়ে পড় ৷ তিনি তখন
দাড়িয়ে রাতের ব্যাপার র্তাকে অবগত করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, সৃসংবাদ গ্রহণ করা
যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তার ণ্ কলম ! তুমি মাকবুল যাকাতদাতা রুপে তালিকাভুক্ত
হয়েছ ৷ ’
হাফিয বায়হাকী এ ক্ষেত্রে আবু মুসা আশআরী (রা)-এব হাদীসখানি উল্লেখ করেছেন ৷
তিনি বলেন, ইমাম বুখারী (র)আবু মুসা (বা) সুত্রে আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছেন, তিনি
বলেন, আমার সংগীরা তাদের জন্য বাহনের দরখাস্ত পেশ করার উদ্দেশ্যে আমাকে রাসুলুল্লাহ ,
(সা) এর খিদমতে পাঠাল ৷ এ সংগীরা তখন তাবুক যুদ্ধের সংকটকালীন বাহিনীতে নবী কৰীম
(সা)এর সাথে ছিল ৷ আমি গিয়ে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা আমার সাথীরা আমাকে আপনার
কাছে পাঠিয়েছে ৷ আপনি আমাদেরকে বাহন দিন ৷ তিনি বললেন, কসম আল্লাহর ! আমি
তোমাদের কোন বাহন দিতে পারব না ৷ আমি যখন তার কাছে গিয়েছিলাম, তখন কোন
কারণে তিনি রাগান্বিত ছিলেন ৷ কিন্তু আমি তা বুঝতে পারিনি ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর
অস্বীকৃতিতে আমি ব্যথিত মনে ফিরে আসি ৷ আমার এ দুশ্চিন্তাও ছিল যে, তিনি হয়তো আমার
উপর রাগ করেছেন ৷ সাথীদের কাছে ফিরে গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) এর জবাব আমি তাদেরকে
জানালাম ৷ ইতোমধ্যে ঘুহুর্ত যেতে না যেতেই বিলাল (রা)-এর ডাক শুনতে পেলাম-
আব্দুল্লাহ ইবন কায়স (আবু মুসা) কোথায় ? আমি তীর ডাকে সাড়া দিলে তিনি বললেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) এর ডাকে সাড়া দিন ৷ তিনি আপনাকে ডেকেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)এর কাছে
গেলে তিনি বললেন, এ সমান জুটি, আর এ সমান জুটি, আর এ সমান জুটি ষ্ছয়টি সুঠাম
উট, যা তিনি তখন মাত্র সাদ (রা)-এর কাছ থেকে খরিদ করেছিলেন-নিয়ে যাও ৷ এগুলোকে
তোমার সংগীদের কাছে নিয়ে গিয়ে বল আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল এগুলোকে তোমাদের
বাহন রুপে দিয়েছেন ৷ আমি বললাম, কিন্তু, আল্লাহর কসম ! যেহেতু বাহন প্রদানে রাসুলুল্লাহ
(না)-এর অস্বীকৃতির কথা আমি এইমাত্র তোমাদের জানিয়েছিলাম, অথচ এখনই আবার তিনি
আমাদের বাহন দিলেন, তাই, তোমাদের কাউকে সেই লোকদের কাছে না নিয়ে ছাড়ছি না ৷
যারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর পুর্বড়াপর কথা জর কাছে আমার প্রার্থনা এবং প্রথমে তার অস্বীকৃতি
ও পরে বাহন দানের কথাবার্তা শুনেছেন ৷ যাতে করে তোমরা আমার প্রতি এমন ভ্রান্ত ধারণা
পোষণ না কর যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেননি এমন কোন কথা আমি তার নামে চালিয়ে
দিয়েছি ৷ জরা বললেন, আল্লাহর কসম৷ তুমি এমনিতেই আমাদের কাছে সত্যবাদী; তবুও
তোমার দাবী আমরা অবশ্যই পুরণ করছি ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, তখন আবু মুসা (বা) তাদের
কঃয়কজ্জাক নিয়ে সেই লোকদের কাছে গেলেন, যারা প্রথমে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর অস্বীকৃতি
ও পরে র্তার বাহনদানের প্রত্যক্ষদর্শী রুপে তার কথাবার্তা শ্যুনছিলেন ৷ তারা আবু মুসা (রা)-
এর সাথে আগত লোকদের কাছে তার বক্তব্যের অবিকল বক্তব্যই ব্যক্ত করে তার
সতবােদীতার সাক্ষ্য দিলেন ৷
বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়ে আবু কুরায়ব (র) সুত্রে আবু মুসা (বা) থেকে উক্ত হাদীসখানি
তাদের স্ব স্ব গ্রন্থে গ্রহণ করেছেন ৷ আবু মুসা (বা) থেকে গৃহীত তাদের আর একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে-আবু মুসা (বা) বলেন, আশআরী গোত্রের একটি ছোট দল নিয়ে আমি
ৱাসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে আসলাম ৷ উদ্দেশ্য, তিনি আমাদের বাহন দিবেন ৷ তিনি
বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি তোমাদের বাহন দিব না ৷ আর আমার কাছে এমন কিছু নইও
যা তোমাদের বাহনরুপে দিতে পারি ৷ আবু মুসা (বা) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (না)-এর
কাছে গণীমত লব্ধ উট নিয়ে আসা হল ৷ তখন তিনি আমাদের জন্য উজ্জ্বল সাদা কুজৰিশিষ্ট
ছয়টি উটের হুকুম দিনে আমরা সেগুলি গ্রহণ করলাম ৷ পরে আমরা বলাবলি করলাম যে,
আমরা হয়তো রাসুলুল্পাহ (না)-কে তার কসমের ব্যাপারে অমনােযোগী করে ফেলেছি ৷
আল্লাহর কলম! এভাবে আমরা (আমাদের বাহনে) বরকত পাব না ৷ তাই, তাকে কসমের
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা তার কাছে ফিরে গিয়ে বললাম, (আপনি তাে বাহন
না দেওয়ার কলম করেছিলেন) তিনি বললেন-
আমি তো তোমাদের বাহন দেই নি; বরং আল্লাহ্ই তোমাদের বাহন দিয়েছেন ৷”
একটু পরেই বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি ইনশাআল্লাহ্ যখনই কোন কলম করি না
কেন, তার বিপরীত কাজটি তার চাইতে উত্তম প্ৰতিভাত হওয়া মাত্র সে উত্তম কাজটিই
আমি সম্পাদন করি এবং কসমের কাফফারা আদায় করে দেই ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন,
মুসলমানদের একদল লোকের নবী করীম (না)-এর দরবারে অনুপস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে
গিয়েছিল ৷ এমনকি তাবুক অভিযানে তারা রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে পশ্চাতেই রয়ে গিয়েছিল ৷
তবে তাদের মনে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন বনু সালিমা গোত্রের করি
তার ইবন মালিক ইবন আবু আর (না), বনু আমর ইবন আওফ গোত্রের যুরারা ইবন রাবী
(বা) , বনু ওয়াকিফ গোত্রের হিলাল ইবন উমাইয়া (না) ও বনু সালিম ইবন আওফ গোত্রের
আবু খায়ছামা (বা) ৷ এরা সকলেই ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও ইসলামের ব্যাপারে কপটতার
অতিযোগমুক্ত ৷
গ্রহকারেৱ মন্তব্য : এদের প্রথম তিন জনের ঘটনা একটু পরে বিশদতাবে বিবৃত হচ্ছে
এবং এ তিন জনের কথাই আল্লাহ্ পাক এ আয়াতে বর্ণনা করেছেন-
এবং তিনি ক্ষমা করলেন অপর তিন জনকেও , যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা
হয়েছিল ৷ যে পর্যন্ত না পৃথিবী তার বিন্তুতি সত্বেও তা দে র ভাণ্য সংফু০ি৩ হয়ে পড়েছিল এবং
তাদের জীবন তাদের জন্য দৃর্বিসহ হয়ে উঠেছিল এবং তারা উপলব্ধি করেছিল যে, আল্লাহ্
ব্যতীত কোন আশ্রয়স্থল নেই”(৯ : ১ ১৮) ৷
আর আবু খায়ছড়ামা (বা) ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে মিলিত হওয়ার সংকল্প
নিয়ে রওরড়ানা হলেন ৷ শীঘ্রই তার ঘটনার বিবরণ আসছে ৷
অনুচ্ছেদ : ইউনুস ইবন বুকায়র (বা) ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণনা করেন, রড়াসুলুল্লাহ
(না)-এর কাছে অভিযান পরিকল্পনার রুপরেখা পরিপুর্ণ স্পষ্ট হয়ে উঠলে তিনি সফর শুরু
করার সংকর করলেন ৷ বৃহস্পতিবার সফর আরম্ভ করে তিনি তার বাহিনীকে ছানিয়্যাতুল
ৰিদা’-এর পথে পরিচালিত করলেন ৷ তার সাথে তখন ত্রিশ হাজারেরও অধিক সৈন্যের বিশাল
বাহিনী ৷ বাহ্যতঃ রাসুলের সহযাত্রী, আল্লাহ্র দুশমন আব্দুল্লাহ ইবন উবাই পাহাড়ের
পাদদেশে সমতলের পথ ধরে তার দলবল নিয়ে এগিয়ে চলল ৷ কোন কোন ঐতিহাসিকদের
ধারণা দুই বাহিনীর মাঝে তার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কম ছিল না ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) এগিয়ে
যেতে লাগলে আবদুল্লাহ ইবন উবাই ঘুনাফিকদের এবং দীনের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রত একটি দলকে
নিয়ে পিছনে রয়ে পেল ৷
ইবন হিশমি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ অভিযান কালে মুহাম্মদ ইবন মাসলমাহ আনসারী
(রড়া)ষ্£ক মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করেন ৷ তবে দারড়াওয়ারদী (র) উল্লেখ করেছেন যে, তাবুক
অভিযান কালে রড়াসুলুল্লাহ (সা) মদীনা বাসীদের জন্য সিবা ইবন উরফাতা (বা)কে স্থলাভিষিক্ত
করে গিয়েছিলেন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আলী ইবন আবু তালিব (রা)-৫ক তার
পরিবারবর্গেব তত্তুত্ত্ববধায়ক রুপে তাদের মাঝে অবস্থানের নির্দেশ দিলেন ৷ এতে যুনড়াফিকরা আলী
(রা)এর কষ্ট লাঘবে তার প্রতি বাসুলুল্লাহ (সা) এর স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্বের অপপ্রচার
চালাতে লাগল ৷ তাদের অপপ্ৰচারে অতিষ্ট হয়ে আলী (বা) তার সমরাস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন
এবং জুরক’ উপত্যকায় বাসুলুল্লম্বীহ (সা)এর অবস্থানকালে তার সাথে মিলিত হয়ে তাকে
য়ুনাফিকদের অপপ্রচারের বিষয় অবগত করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন
“ওরা মিথ্যা কথা বলেছে, বরং আমি তো আমার পিছনে রেখে আসা বিষয়ের হেফাজতের
দায়িত্বে তোমাকে রেখে এসেছি ৷ অতএব, তুমি ফিরে গিয়ে আমার এবং তোমার পরিবার-
পরিজনের মধেটু৷ আমার প্রতিনিধিৎ কর ৷ আলী ! মুসা (আ)এর স্থলে হারুন (আ) যে পদ
মর্যাদার অধিষ্ঠিত ছিলেন, তুমি কি আমার হলে যে মর্যাদার তুষ্ট থাকতে চাও না ৷ তবে কিনা
হারুন (আ) নবীও ছিলেন, আর আমার পরে কারো নবী হওয়ার অবকাশ যেই ৷
এ কথার পরে আলী (বা) মদীনায় ফিরে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এর সাথে এগিয়ে
চললেন ৷ ইবন ইসহাক (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন তালহা ইবন ইয়ড়াযীদ ইবন কবানা
(র)সাদ ইবন আবু ওয়াককাস (বা) থেকেআলী (রা)-£ক লক্ষ্য করে বাসুলুল্লাহ (না)
যে উল্লেখিত কথাটি বলেছিলেন তা তিনিও শুনেছিলেন ৷
বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়ে শুবা (র) সুত্রে সাদ ইবন আবু ওয়াক্কড়াস (বা) থেকে এ
হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) তার যুসনাদ গ্রন্থে বলেছেন,
শুবা (র)সাদ ইবন আবু ওয়ড়াককাস থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাবুক
অভিযান কালে বাসুলুল্লাহ (সা) আলী (বা)-কে মদীনায় রেখে যেতে চাইলে তিনি বললেন, ইয়া
বাসুলাল্লাহ! আমাকে নারী ও শিশুদের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়ে যাচ্ছেন ? তিনি বললেন-
তুমি কি আমার সাথে এমনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া পসন্দ কর না, যেভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন
হারুন (আ) মুসা (আ) এর সাথে ? তবে কি না, আমার পরে আর কোন নবী নেই ৷ ’ বৃখারী ও
মুসলিম (র) ও শুবা (র) থেকে বিভিন্ন সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ ছাড়া
বুখারী (র) এ হাদীসটি শুবা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমাদ (র) বলেন, কুতারবা ইব;ন সাঈদ (র) সাদ সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আলী (বা) কে লক্ষ্য করে বাসুলুল্লাহ (সা) কে আমি বলতে ওদ্ভনছি, যখন তিনি তার
কোন যুদ্ধাতিযড়ানে পমনকালে আলী (বা)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন তখন আলী (বা)
বলেছিলেন, ইয়া বাসুলাল্লাহ৷ আপনি আমাকে নারী ও শিশুদের সাথে পশ্চাতে রেখে যাচ্ছেন ?
তিনি ইরশাদ করলেন
“আলী! তুমি কি আমার তুলনায় তেমন মর্যাদার হওয়া পসন্দ কর না, যেমন মর্যাদা ছিল
মুসা (আ) এর তুলনায় হারুন (আ)-এর ৷ তবে, আমার পরে আর কোন নবী নেই কিন্তু ৷”
মুসলিম ও তিরমিষী (র) ও কুতায়বা (র) থেকে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবার
মুসলিম ও মুহাম্মদ ইবন আব্বাস (র)শ্ষ্এবা উভরে হাতিম ইবন ইসমড়াঈল (র) থেকে বর্ধিত
আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিয়ী (র) মন্তব্য করেছেন এ বর্ণনা সুত্রে হদীসখানি
হসােনণ্গায়ীব’-(এককসুত্রে বর্ণিত উত্তম হাদীস) ৷
আবু খায়সামা (বা) প্রসংগ : ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর সফর
আরম্ভ করার বেশ কিছু দিন পরে এক প্রচণ্ড পরমের দিনে আবু খড়ায়সামা (বা) তার পরিবার
পরিজনের মধ্যে ফিরে আসলেন ৷ তিনি দেখলেন যে, তার দেয়াল ঘেবা বাগান-বাড়িতে তার দু
শ্রী দুটি তাবুতে প্রভীক্ষারত ৷ তারা প্রত্যেকে আপন আপন তাবুতে পানি ছিটিয়ে স্নিগ্ধ করেছেন
এবং স্বামীর জন্য ঠাণ্ডা পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন ৷ বাড়িতে ঢুকে তারা দরজায়
দাড়িয়ে, তিনি তাদের উভয়কে দেখলেন এবং তার জন্য তাদের ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে
বললেন, বাসুলুল্লাহ (সা) মরুর লু হাওয়ার ঝাপটা ও প্রখর তাপের মাঝে রয়েছেন ৷ আর
আবু খড়ায়সামা স্নিগ্ধ ছড়ায়ায় টটকা খাবার ও সুন্দরী ত্রীর জড়াচলে তার ৰিত্ত ভৈবভবের মধ্যে
অবস্থান করবে এটা ইনসাফের ব্যাপার হতে পারে না ৷ আল্লাহ্র কসম! আমি তোমাদের
কারো তাবৃতেই প্রবেশ করছি না ৷
যতক্ষণ না আল্লাহ্র রাসুল (সা)এর সাথে মিলিত হচ্ছি ৷ তোমরা আমার জন্য পাথেয়র
ব্যবস্থা করে দাও ৷ ’ তারা তা করে দিলে আবু খায়সামা (বা) তার উট নিয়ে এসে তার পিঠে
হাওদা বসালেন এবং বাসুলুল্লাহ (সা) এর অনুপমন করে দ্রুত পথ অতিক্রম করে তার তাবুতে
উপণীত হওয়ার প্রাক্কালে তার সাথে মিলিত হলেন ৷ পথে আবু খড়ায়ছামা (বা)-এর সাথে
সাক্ষাৎ ঘটে গেল র ৷সুলুল্পাহ (সা) এর অনুগমনে সফরকা ড়ারী আর এক মুসা ৷ফির উমায়র ইবন
ফলে অভিন্ন উদ্দেশ্যের দুই পথচারীর মাঝে বন্ধুতু বন্ধন রচিত হল ৷ এক সাথে সফর
করে তাবুকের কাছাকাছি পৌছলে আবু খায়সামা (রা) উমায়র (রা)-কে বললেন, আমি তো
একটা বড় অপরাধে অপরাধী! তাই রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে পৌছা পর্যন্ত তুমি আমার
একটু পিছনে থাকলে তাতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না; অথচ আমার একটু লাভ হতে
পারে ৷ তেমনই করা হল ৷
এভাবে আবু খায়সামা (রা) রাসুলুল্লাহ (সা) এর দৃষ্টি সীমার পৌছলে লোকেরা বলে
উঠেল, ঐ যে একজন উঃষ্ট্রড়ারোহী এগিয়ে আসছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-
মোঃ ৮ : আবু খায়সামা ! নাকি ? লোকজন লক্ষ্য করে দেখে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা
আল্লাহ্র কসম! সে আবু খায়সামাই ৷ আরো কাছে পৌছলে তিনি এগিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ
(না)-কে সালাম করলেন ৷ (সালড়ামের জবাব দিয়ে) তিনি বললেন, দুভোগ তোমার হে আবু
খায়সামা! তারপর তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-কে তার ৰিষদ বিবরণ অবহিত করলে তিনি উত্তম
মন্তব্য করলেন এবং তার জন্য কল্যাণের দৃআ করলেন ৷
উরওয়া ইবনুয যুবায়র ও মুসা ইবন উক্বা (র) আবু খায়সামা (রা)ষ্এর ঘটনা ইবন
ইসহাক (র) এর বর্ণনার অনুরুপ এবং আরো ৰিশদভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তারা অবশ্য উল্লেখ
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর তাবুক অভিযান কাল ছিল থারীফ (হেমন্ত) মৌসুমে ৷
আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ শ্
ইবন হিশাম (র) বলেন, আবু খায়সামা (রা) র্ষড়ার নাম ছিল মালিক ইবন কায়স এ
প্রসঙ্গে স্বরচিত কবিতায় বলেছেন
“যখন দেখলাম, লোকেরা দীনের ব্যাপারে কপটতার পথ ধরেছে, আমি সেই কাজটি
করলাম, যা ছিল অধিকতর পরিশুদ্ধতা ও মহতৃ সম্পন্ন ৷”
“আমার ডান হাত মুহাম্মদ (না)-এর দুহাতে রেখে রায়আত করেছিলাম, তারপর কোন
পাপ করিনি, আর কোন হারাম ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইনি ৷”
“ঘরে রেখে এসেছি মেহেদী রাঙা বধু আর বাগান ভরা কর্তন যোগ্য সুপক্ক টুকটুকে লাল
খেজুর র্কাদি; যা অতিশয় উন্নত মানের ৷”
আর আমার স্বভাব হল এই যে, যখন ঘুনড়াফিকরা দ্বিধা-দ্বন্দে ভোগে, তখন আমার মন
দীনের পতিপথে তার গতি ধাৰিত করে, তা যে কোন অভিমুখেই গতিশীল হোক না কেন ৷ ”
——— :
পশ্চড়াদবর্তীদের বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মন্তব্য প্রসৎগ
ইউনুস ইবন বুকায়র (র)আবদুল্লাহ ইবন মড়াসউদ (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) তাবৃক অভিযানে রওয়ানা হলে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন অযুহাতে পেছনে থেকে যেতে
লাগল ৷ এদের কারো বিষয় সাহাবীগণ বলতেন, ইরা রাসুলাল্লাহ ! অমুক পিছনে রয়ে গিয়েছে ৷
তিনি বলতেন, ৫ছড়ে দাও তার মাঝে কোন কল্যাণ থাকলে অচিরেই আল্লাহ তাকে
তোমাদের সাথে মিলিত করবেন; আর অন্য কিছু হলে তো আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদের
নিরাপদ করেছেন ৷” এক সময় বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আবুযর (রা) পিছনে রয়ে গিয়েছেন,
তার উট তাকে দেরী করিয়ে দিয়েছে ৷ তিনি জর সম্বন্ধেও একই কথা বললেন-“ছেড়ে দাও !
র্তার মাঝে কোন কল্যাণ থেকে থাকলে অচিরেই আল্লাহ্ জকে তোমাদের সাথে মিলিত
করবেন; আর অন্য রকম হলে তো আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদের নিরাপদ করেছেন ৷
এ দিকে আবুযর (বা) তার মন্থর গতি উটকে পালাগালি করলেন ৷ কিন্তু তাতেও তার
মহুরতা না কমলে তিনি নিজের আসরাবপত্র কাধে তুলে নিলেন এবং পায়ে হেটে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর অনুপমনে এগিয়ে চললেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) কোন মধ্যবর্তী মনযিলে অবস্থান
নিলেন ৷ তখন মুসলিম কাফেলার একজন পর্যবেক্ষক দুরে তাকিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা
দুরের ঐ ল্যেকটি পায়ে হেটে পথ অতিক্রম করছে ৷ আল্লাহর কসম ! ৮ সে তো আবুযরই ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ন্হুধ্ (ন্ও এ যেন আবুযর হয় ৷ লোকেরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পথিককে
পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ৷ আল্লাহর কসম ! সে তো আবুযরই ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন-
আল্লাহ্ আবুযরকে রহম করুন ৷ সে একাকী চলছে, একাকী মৃতুবরণ করবে আর একাকী
পুনরুথিত হবে ৷
এ প্রসংগে বংনািকারী বলেন, আবুযর (রা) থেটিড়া জীবন সেভাবেই কাটিয়েছিলেন ৷ তিনি
এক সময় রাবযায়১ নির্বাসিত হলেন ৷ তার মৃত্যু সমাপত হলে তিনি দ্রী ও গোলামকে বললেন,
আমার মৃত্যু হলে তোমরা দুজন রাতের বেলা আমাকে গোসল দেবে এবং কাফন পরিয়ে
আমার লাশ প্রধান সড়কের উপর রেখে দেবে এবং তোমাদের নিকট দিয়ে পমনকারী প্রথম
কাফেলাকে বলবে, ইনি আবুযর ৷ ’ যথা সময় তীর মৃত্যু হলে স্তী ও গোলাম মৃতের অত্তিম
অসিয়ত পালন করলেন ৷ তখন একটি কাফেলা দৃষ্টি গোচর হল ৷ তাদের অবপতির পুর্বেই
জদের বড়াহনওলো পথিমধ্যে রাখা জানাযা মাড়িয়ে যাওয়ার উপত্রুম করল ৷ দেখা গেল, ইবন
মাসউদ (রা) কুফাবাসীদের একটি কাকেলা নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন ৷ তিনি বললেন, কী
ব্যাপার ? তাকে বলা হল, এটা আবুযর (রা)-এর লাশ ৷ ইবন মাসউদ (রা) চিৎকার করে
কেদে উঠলেন এবং বললেন, “আল্লাহর রাসুল (সা) সত্যই বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ আবুযরকে
১ রাবড়াযা (ডট্টহুা) মদীনা থেকে কিছু দুরে একটি নির্জন স্থানের নাম ৷
রহম করুন, যে একাকী পথ চলছে, একাকী মৃত্যুবরণ করবে আর একাকী পুনরুথিত
হবে ৷ তখন তিনি বাহন থেকে নেমে এসে নিজের দায়িত্বে মৃতের জন্য জানাযা ও দাফনের
ব্যবস্থা করলেন ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান পর্যায়ের ৷ তবে ছিহাহ গ্রন্থসমুহে এ রিওয়ায়াত
বর্ণিত হয়নি ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আব্দুর রা যযা ক (ব) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
উকায়ল (ব) অ ৷ল্লাহ্ পাকের এ ক লা৷ম- “(যায়৷ সংকট কালে
তার অনুপমন করেছিল) প্রসং ×গে আমাদের খবর দিয়েছেন ৷ ”
তিনি বলেন, দু জন দু’ জন ও তিন তিন জনে একটি বাহন উট নিয়ে তারা তাবুক
অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তারা বের হয়েছিলেন প্রচণ্ড পরমের সময় ৷ একদিন গিপাসা
তাদের করে করে ফেললে তারা তাদের উটের ভুড়ি নিংড়িয়ে তার পানি পান করার
উদ্দেশ্যে সেগুলিকে যবাই করতে লাপলেন ৷ এমনই ছিল পানি সংকট, অর্থ সংকট ও বাহন
ৎকটের অবস্থা ৷
আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, আমর ইবনৃল হারিস (র)আবৃদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে র্বণন৷ করেছেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-কে বলা হল, সংবল্টপুর্ণ
সময়ের বিষয় আমাদেরকে কিছু শুনান ৷ উমর (রা) বললেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরা তাৰুক
অভিযানে বের হলাম ৷ আমরা মধ্যবর্তী একটি মনযিলে অবস্থান নিলাম ৷ সেখানে তীব্র পিপাসা
আমাদের করে করে ফেলল ৷ এমনকি আমাদের মনে হতে লাগল যে, পিপাসায় আমাদের
ঘাড়ের রগের বীধন ছিড়ে যাবে ৷ আমাদের কেউ তার বাহনের খোজ খবর নিতে গেলে এমন
প্রবল ধারণা না নিয়ে ফিরে আসত না যে, এখনই তার গর্দড়ানের রগ ছিড়ে যাবে ৷ এ দুর্যোগের
কারণে কেউ কেউ তীর উট যবাই করে তার ভুড়ির ণ্লদ নিংড়িয়ে পানি পান করত এবং
অবশিষ্ট কিছু থাকলে তা কলিজ৷ বরাবর বুঝে না ৷লিশ করে একটু শান্তি খুজত ৷ পরিস্থিতির এ
ভয়াবহতা দেখে আবুবকর সিদ্দীক (রা) বললেন-
ইয়৷ রাসুলা ল্লাহৰু দু আ র মাধ্যমে কল্যাণ প্রদানে আল্লাহ আপনাকে অভ্যস্ত করেছেন ৷ তাই
আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর ক ৷ছে দু আ করুন ৷ তিনি বললেন, তোমারও ত ৷ই পসন্দ ?
তিনি বললেন, জী হা, বর্ণনাক ৷রী বলেন, তখন নবী করীম (সা) তা ৷র দু হতে আকাশের দিকে
তুলে ধরলেন এবং আসমানের বা ৷রী বর্ষণের উপক্রম না হওয়া পর্যন্ত হাত নামালেন না
তারপর আকাশ মুষলধারে বারি বর্ষণ করল এবং লোকেরা যার কাছে যা ছিল তা পানি ভর্তি
করে ফেলল ৷ আমরা এ ব্যাপারটি প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে দেখলাম যে, তা বাহিনীর বেষ্টনী
সীমা অতিক্রম করেনি ৷ এ হাদীসের সনদ উত্তম তবে সিহ৷ ৷হ গ্রন্থসমুহের ইমামপণ এ সনদে
হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেন নি ৷
আসিম ইবন উম৷ ৷র ইবন৷ কাত ৷দা (র)-এর গোত্রীয় একদল লোকের উপস্থিতিতে ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন যে, এ ঘটনা ঘটেছিল তাবুক বাহিনীর ’হিজর’ এলাকায় অবস্থানকালে ৷ সে সময়
তারা তাদের জনৈক মুনাফিক সাথীকে বলেছিল, রে দৃর্ভাপা! এ বারি বর্ষণের ঘটনার পরেও কি
তীর রাসুল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ আছে ? জবাবে লোকটি বলে উঠল, ও তো একখান৷ চলম্ভ