কয়েকদিন পূর্বে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব এশার নামাযে সাহু সিজদা করেন। নামাযের পর কয়েকজন মুসল্লি সাহু সিজদার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম বৈঠককে শেষ বৈঠক মনে করে তাশাহহুদের পর দরূদ শরীফের অর্ধেক পড়ে ফেলি। পরে স্মরণ হওয়ামাত্র দাঁড়িয়ে যাই। এই ভুলের কারণে সাহু সিজদা করেছি। তখন কেউ কেউ বলল, দরূদ তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দুআ। তা ভুলে পড়লেও সওয়াবের কাজ। এতে আবার সাহু সিজদা দিতে হবে কেন? জানতে চাই, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কার কথা ঠিক? যদি মুসল্লিদের কথা ঠিক হয় তাহলে উক্ত নামাযের কী হুকুম?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমামের কথাই সঠিক। প্রথম বৈঠকে ভুলে দরূদ শরীফ পড়ে ফেললে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়। তবে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছে মূলত ভুলের কারণে। ভুলবশত দরূদ পড়ার কারণে পরবর্তী রাকাতে দাঁড়াতে বিলম্ব হয়েছে। কেননা তাশাহহুদের পরপরই তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়ানো ওয়াজিব।
জেনে রাখা দরকার যে, প্রথম বৈঠক দরূদের স্থান নয়। আর এ কথাও মনে রাখা আবশ্যক যে, দরূদ শরীফ পড়া সওয়াবের কাজ তাই বলে যে কোনো স্থানে পড়লেও সওয়াব হবে এ ধারণা ঠিক নয়। যেমন কেউ যদি সওয়াবের কাজ মনে করে কেরাতের স্থলে দরূদ পড়তে থাকে সেক্ষেত্রে সকলেরই জানা যে,তার নামায আদায় হবে না।
নামায আদায় করতে হবে ঠিক যেভাবে হাদীস ও ফিকহে উল্লেখ আছে। মনগড়া পদ্ধতিতে করলে তা বিদআত হবে।
-বাদায়েউস সনায়ে ১/৪০২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৭; হালবাতুল মুজাল্লী ২/১৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩১৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৮১