বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ (সা)এর জন্য বগলী কবর খনন করা হয়েছিল ৷ এ দুই সুত্রেই
হাদীসটি একাকী আহমদ (র) বর্ণনা করেছেন ৷
কবরে চাদর প্রদান প্ৰসংগ : ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়ড়াহ্য়া ইবন ভাষা ও ইবন
জাফর (র) , ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী কবীম (না)-এর
কবরে একটি লাল মখমলের চাদর দেয়া হয়েছিল ৷ মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (র)ও
হড়াদীসটি শুবা (রা) সুত্রের বিভিন্ন সনদে রিওয়া“য়াত করেছেন ৷ ওরাকী (র) ও হাদীসটি শুবা
(র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, এ বিষয়টি ছিল রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্য
খাস ৷ এ বর্ণনা দিয়েছেন ইবন আসাকির (র) ৷ ইবন সাদ (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ আল্ আনসারী (র) হাসান (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর বদন
মুবারকের নীচে মখঃমলের লাল একটি চাদর ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল যা তিনি পরিধান
করতেন ৷ তিনি বলেছেন, কবরের মাটি ছিল আর্দ্র ৷ হুশায়ম ইবন মানৃসুর (ব) বলেছেন
হাসান (রা ) হতে, তিনি বলেন, নবী কবীম (না)-এর কবরে মখমলের একটি লাল চাদর
দিয়ে দেয়া হয়েছিল যা তিনি হুনায়ন যুদ্ধকালে প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ হাসান (রা) বলেছেন, সেটি
দেয়ার কারণ ছিল এই যে, মদীনায় লবণাক্ত মাটির দেশ ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) আরো
বলেছেন, হস্ফোদ ইবন খালিদ আলু খায়্যাত (র) হাসান (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন, আমার কবরে আমার জন্য একটি বড় চাদর ৰিছিয়ে দেবে ৷
কেননা, মাটিকে নবীগণের দেহের উপরে প্রাধান্য দেয়া হয় নি ৷
রায়হাকী (র) রিওয়ায়াত করেন ৷ ঘুসাদ্দাদ, সাঈদ ইবনুল ষুসামািব (র) সুত্রে ৷ তিনি
বলেন, আলী (বা) বলেন, আমি নবী কবীম (না)-কে গোসল দিলাম ৷ আমি তখন সাধারণ
মৃতদের যা হয়ে থাকে তেমন কিছু’ রয়েছে কিনা তা দেখতে চাইলাম ৷ কিন্তু কিছুই দেখতে
পেলাম না ৷ তিনি ছিলেন জীবনে ও মরণে পুত-পবিত্র ৷ বর্ণনাকারী (সাঈদ) আরো বলেন, নবী
কবীম (না)-এর দাফন ও র্তাকে আচ্ছাদিত করার দায়িতু পালন করেছিল চারজন আলী,
আব্বাস, ফবৃল ও নবী কবীম (সা) এর আযাদকৃত গোলাম সালিহ্ (রা) ৷ নবী কবীম (না)-এর
কবর তৈরী করা হয়েছিল বগলী করব এবং তার উপরে ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল র্কাচা ইট ৷ কোন
কোন সুত্রে বায়হাকী (র) আরো উল্লেখ করেছেন যে, নবী কবীম (সা) এর কবরে নয়টি র্কীচা
ইট ৰিছিয়ে দেয়া হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আবু সাবৃরা (র) ইবন আব্বাস
(রা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে ণ্,সামবারের সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়ার পর হতে
ৎগলবারের সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়া পর্যন্ত র্তার খাটিয়ার উপরে রেখে দেয়া হয়েছিল ৷
লোকেরা তার জানাজার সালাত আদায় করছিল এবং তার খাট ছিল তার কবরের পাড়ে ৷ পরে
ভীরা নবী কবীম (না)-কে সমাহিত করার ইচ্ছা করলে তার খাটিয়া র্তার (কবরের) পায়ের
দিকে সরিয়ে নিয়ে সে দিক থেকে তাকে কবরে প্ৰৰিষ্ট করা হয় ৷ তীর কবরে প্রবেশ
করেছিলেন আব্বাস, আলী, কুছাম, ফায্ল ও শাক্রান (বা) ৷ বায়হাকী (র) রিওয়ায়াত
করেছেন, ইসমাঈল আস্-সুদ্দী (র)-এর বরড়াতে, ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর কবরে অবতরণ করেছিলেন আব্বাস, আলী ও ফঘৃল (বা) এবং তীর কবর
সমতল করেছিলেন জনৈক আনসারী ব্যক্তি, যিনি বদর’ যুদ্ধের শহীদগণের বগলী কবর
সমতল্ করেছিলেন ৷ তবে ইবন আসাকির (র) বলেছেন, এ ক্ষেত্রে সঠিক হবে উহুদ যুদ্ধের,
আর হুস্রন ৷র;৷ ইবন আব্বাস (রা) সনদে ইবন ইসহাক (র)-এর রিওয়ায়াত পুর্বেই বিবৃত
হয়োছ ইবন অব্বাস (রক্ত) বলেন যারা কবরে অবতরণ করেছিলেন তার হলেন আলী, ফয্ল,
কুছাম ও শ্ক রান (রা) ৷ পঞ্চম ব্যক্তিরুপে তিনি (আনসারী প্রতিনিধি) আওস ইবন খড়াওলী
(রা) ণ্ৰুর নামও উল্লেখ করেছেন এবং শক্ষুক্রান (বা) কর্তৃক কবরে রক্ষিত চাদরের কথাও
উল্লেখ করেছেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেছেন, আবু তাহির মুহাম্মদ আবদী (র) , আবু
মুরাহ্হাব (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি যেন (এখনও) তাদের দেখতে পাচ্ছি নবী
করীম (সা)এর কবরে; চারজন, তাদের অন্যতম আবদুর বহামান ইবন আওফ (বা) ৷ আবু
দাউদ (র) ও মুহাম্মাদ ইবনুসৃ সাব্বড়াহ্ (র) ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ (র) সুত্রে ঐ সনদে
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরে আহ্মদ ইবন ইউনুস (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
যুহায়র (র) , ষুরাহ্হাব কিৎবা আবু মুরাহ্হাব (বা) সুত্রে যে, তারা আবদুর রহমান ইবন আওফ
(রা)-কেও তাদের সাথে কবরে অবতরণের সময় শামিল করে নিয়েছিলেন ৷ দাফন শেষে আলী
(বা) বললেন, কোন মানুষের (কাফন-দাফরুনর) দায়িতৃ তো পালন করে থাকে তার পরিবারের
লোকেরইি ৷ এ হাদীস অতিশয় বিরল ধরনের তবে এর সনদ বেশ উত্তম ও সবল ৷ কিন্তু এই
একটি মাত্র সুত্রেই আমরা এটি পেয়েছি ৷ আবু অড়ামর ইবন আবদুল বার (র) তার
ইসৃতীআব’ গ্রন্থে বলেছেন, আবু ঘুরাহ্হাব (রা)এর নাম সুওয়ায়দ ইবন কায়স (বা) ৷ তবে
তিনি অন্য একজন আবু মুরাহ্হাবএর নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তার সম্পর্কে কোন তথ্য
আমার জানা নেই ৷ ইবনৃল আন্থীর (র) তার উসদুল গাবা গ্রন্থে বলেছেন, সুতরাং এ হাদীসের
রড়াবী উল্লিখিত দুজনের কোন একজন কিৎবা তৃতীয় কেউ হতে পারেন ৷ আল্লাহই সমধিক
অবগত
নবী করীম (সা) এর সর্বশেষ সান্নিধ্যধন্য ব্যক্তি
ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র) আবদুল্লাহ ইরনৃল হারিছ (র) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, উমর (রৰু) কিংবা উছমান (রা)-এর খিলাফত কালে আমি আলী (রা)-এর সংগে উমরা
পালন করলাম ; তিনি তার বোন উম্মু হানী বিনত আবু তালিব (রা)-এর বাড়িতে গিয়ে উঠেন ৷
তিনি উমরড়া সম্পন্ন করে যখন ফিরে এলেন তখন তার গোসলের পানির
ব্যবস্থা করলে র্ভিদ্দি শৃগর্দুসল্ করলেন গুজ্বর গোসল শেষ হলে একদল ইরাকী লোক তার কাছে
এসে র্তাকে বলল, একটি বিষয় জিজ্ঞাসা করার জন্য
এসেছি করকাে ৷ তিনি বললেন,
আমার ত্ত্বহুন্ হৰুচ্ছ হুন্নীর ইবন শুব্ ৷টুব্বা র্বৃভ্রন্মক্রুন্নর এ বিবরণ দিয়ে থাকবেন যে, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর একেবন্র ছিলেন তিনিই ! তারা বলল, ব্জী হী ৷ এ
করর উরুদ্দাশ্য আমাদের আগমন ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ
লাভ কারী ছিলেন কুছাম ইবন আব্বাস (বা) ৷
এ একাকী হন্দীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র (র) হাদীসটি
ইবন ইসহাক (র) সুত্রে ৷ তিনি ইবন ইসহাক (র) সুত্রে
তার কেট ৰিবক্বা৪ দািহৃছন ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুগীরা ইবন শুবা (বা) বলতেন,