স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান আল্লামা আহমদ শফীর সাথে দেখা করা ও নানুপুর মাদরাসায় যাওয়ার কারণে যদি আলেমগণ মুনাফিক হয়ে যান, তাহলে যারা নিজেদের মুসলমান দাবি করে এবং নিজ দলকে ইসলামী দল দাবি করে শারদীয় দূর্গোৎসবে শুভেচ্ছাবাণী দেয় তারা কী হবে?
বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ সমস্ত দলের মানুষকে কালিমাওয়ালা মুসলমান মনে করেন৷ কারণ তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী, রিসালতেও তারা বিশ্বাসী, পরকালেও তারা বিশ্বাসী৷ বাকি অন্যান্য আমলের কারণে তাদের মুসলমানিতে যথেষ্ট ঘাপলাও রয়েছে৷ রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা ভিন্ন দলের৷ রাষ্ট্রযন্ত্র হওয়ায় তারা জালেম বলেও বিবেচিত হতে পারে৷ তাই বলে সরকারের সাথে জনগণের যোগাযোগ রাখা যদি নেফাক হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশে মুনাফিক ছাড়া মুসলমান বলে কেউ নেই৷
ইতিহাস খুলুন৷ একাত্তর থেকে ‘১৮ পর্যন্ত পড়ে দেখুন৷ দেশের অতীত সমস্ত সরকারের সাথে কাদের বেশি গোপন ও প্রকাশ্য আঁতাত ছিলো তা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ আছে৷ সরকার বা সরকারের বাইরে থেকে যারা কওমী মাদরাসাকে জঙ্গী প্রজননকেন্দ্র বলে অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধে কাউকে তো প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না৷ অথচ সেই সরকারি ব্যক্তিবর্গ যখন স্বচক্ষে পরিদর্শন করে কওমী মাদরাসাকে দেশের শান্তি ও সার্বভৌমত্বের প্রধান কেল্লা বলে প্রমাণ পেয়ে কওমী মাদরাসা ও কওমী আলেম উলামার ভূয়সী প্রশংসায় মেতে উঠে তখনই কওমী বিদ্বেষীদের মাথায় বজ্রপতন হয়!
আওয়ামীলীগ হোক বা বিএনপি কোনো সরকারই কওমী মাদরাসার পাঁচ পয়সার লাভ করেনি৷ করার দরকারও নেই৷ কিন্তু নিজের সাফাইর প্রমাণ দেওয়ার অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির আছে৷ বৈধ হোক অবৈধ হোক ক্ষমতা পেয়ে গেলে তাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সবাই সরকার হিসেবে মেনে নেয়৷ দেশের সমস্ত জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে মেনে নিয়ে তার অধীনে চাকরি করতে পারলে কওমী মাদরাসা তার সরকারকে মেনে নিলে একমাত্র কওমীরা মুনাফিক হবে কেন? নিকৃষ্ট মুনাফিক তো তারাই যারা এই সরকারের অধীনে চাকরি করে, এই সরকারের অধীনস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে ইত্যাদি৷ আমরা সুসম্পর্ক রাখলেও মুনাফিক আর তোমরা গোলামী করেও মুসলমান কীভাবে থাকো!?
মুহতারম Lisanul Haque