প্রশ্ন
মুফতী সাহেব। আমার একটি প্রশ্ন, অনেকে বলে প্রাণ কোম্পানি কাদিয়ানীদের,তাই তাদের পণ্য খাওয়া ও ক্রয় করা যাবে না,এটা কি সঠিক? এবং আমাদের দেশে যে পেপসি, সেভেন আপ, স্পীড, টাইগার, স্প্রাইট, মজো পাওয়া যায়, তা পান করা জায়েজ আছে কিনা?
উত্তর
কাদিয়ানীরা সমস্ত মুসলমানদের ঐক্যমত্বে কাফের। তাই এসব কাফেরদের পণ্য ক্রয়ের বিধান হল,তাদের প্রোডাক্টকৃত পণ্য ছাড়া বাজারে এধরনের আর কোন পণ্য যদি না থাকে, তাহলে তাদের জায়েজ পণ্য ক্রয় করতে কোন সমস্যা নেই ৷ আর এধরনের পণ্য বাজারে থাকলে, তাদের প্রোডাক্টকৃত পণ্য ক্রয় না করা উত্তম ।
পেপসি সেভেন আপ ইত্যাদি পানীয় বস্তু যদি হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদি বস্তু দিয়ে বানানোর বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া যায় অথবা যদি ইত্যাদি হারাম বস্তু এমনভাবে রিফাইন করে তৈরি করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তাহলে উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত হারাম বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় কিছুই জায়েজ হবে না।
উল্লেখ্য যে, আমাদের জানা মতে, এসব পানীয় বস্তুর মাঝে কোন নাপাক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না৷ বরং সোডাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, আর যদি কোন নাপাক দ্রব্য ব্যবহার হয়েও থাকে, তাহলেও তা এমনভাবে রিফাইন হয়ে যায় যে, এসবের কোন নামগন্ধও আর বাকি থাকে না, তাই এসব পণ্য ব্যবহারে শরয়ী কোন বাঁধা নেই। তবে পরবর্তিতে হারাম বস্তু দিয়ে তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত হলে এবং তার মৌলিকত্ব বাকি থাকলে হারাম হিসেবেই গন্য হবে ৷
হিন্দিয়া ৫/৩৪৮, ৪১০; নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২; মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
পেপসি সেভেন আপ ইত্যাদি পানীয় বস্তু যদি হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদি বস্তু দিয়ে বানানোর বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া যায় অথবা যদি ইত্যাদি হারাম বস্তু এমনভাবে রিফাইন করে তৈরি করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তাহলে উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত হারাম বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় কিছুই জায়েজ হবে না।
উল্লেখ্য যে, আমাদের জানা মতে, এসব পানীয় বস্তুর মাঝে কোন নাপাক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না৷ বরং সোডাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, আর যদি কোন নাপাক দ্রব্য ব্যবহার হয়েও থাকে, তাহলেও তা এমনভাবে রিফাইন হয়ে যায় যে, এসবের কোন নামগন্ধও আর বাকি থাকে না, তাই এসব পণ্য ব্যবহারে শরয়ী কোন বাঁধা নেই। তবে পরবর্তিতে হারাম বস্তু দিয়ে তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত হলে এবং তার মৌলিকত্ব বাকি থাকলে হারাম হিসেবেই গন্য হবে ৷
হিন্দিয়া ৫/৩৪৮, ৪১০; নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২; মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
কাদিয়ানী পণ্যের তালিকা