কিছুদিন হল আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সে বাবার বাড়িতে ছিল এবং শাওয়ালের নফল রোযা রাখছিল। ইত্যবসরে তার শ্বশুর-শাশুড়ি সকাল বেলা তাকে দেখতে এল। আপ্যায়নের সময় তারা বলল, বউকে তাদের সাথে খেতে হবে নতুবা তারা মনে কষ্ট পাবে। তাদের পীড়াপীড়িতে আমার বোন রোযা ভেঙ্গে তাদের সাথে দস্তরখানে শরীক হয়েছে। জানার বিষয় হল, শ্বশুর-শাশুড়ির মন রক্ষার্থে রোযা ভাঙ্গা কি তার ঠিক হয়েছে? তাকে কি এ রোযা কাযা করতে হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রোযা ভঙ্গ করা অন্যায় হয়নি। মেহমানের মন রক্ষার্থে নফল রোযা ভাঙ্গার অনুমতি আছে। অবশ্য তাকে এ রোযা কাযা করতে হবে।
আবু জুহাইফা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালমান রা. ও আবুদ দারদা রা.-এর মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেছিলেন। একদিন সালমান রা. আবুদ দারদা রা.-এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলেন। আবুদ দারদা রা. সালমান রা.-এর জন্য খাবার প্রস্ত্তত করলেন। সালমান রা. তাকেও খাবারে শামিল হতে বললেন। উত্তরে তিনি বললেন, আমি রোযা রেখেছি। এ কথা শুনে সালমান রা. বললেন, আপনি না খেলে আমি খাব না। তখন আবুদ দারদা রা. (রোযা ভেঙ্গে) তার সাথে খাবার খেয়েছেন।
সহীহ বুখারী ১/২৬৪; ফাতহুল কাদীর ২/২৮০, ২৮১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৮