কেউ মারা গেলে মাদরাসা থেকে ছাত্রদের এনে কুরআন খতম করিয়ে টাকা দেওয়া হয়। এটি কি জায়েয?
ঈসালে সওয়ারেব উদ্দেশ্যে কুরআন খতম করিয়ে বিনিময় দেয়া নেয়া নাজায়েয। হাদীস শরীফে এসেছে, আব্দুর রহমান বিন শিবল রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,
اقْرَءُوا الْقُرْآنَ، وَلَا تَغْلُوا فِيهِ، وَلَا تَجْفُوا عَنْهُ، وَلَا تَأْكُلُوا بِهِ، وَلَا تَسْتَكْثِرُوا بِهِ.
তোমরা কুরআন পড়। তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না। এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ো না। এবং কুরাআনের বিনিময়ে কিছু ভক্ষণ করো না। এবং এর দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধি করো না।-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৫৫২৯
আরেক বর্ণনায় এসেছে, হযরত ইমরান বিন হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
اقْرَءُوا الْقُرْآنَ،وَاسْأَلُوا اللهَ بِهِ؛فَإِنَّ مِنْ بَعْدِكُمْ قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ بِهِ.
‘তোমরা কুরআন পড়ো এবং বিনিময় আল্লাহ তাআলার কাছে চাও। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে যারা কুরআন পড়ে মানুষের কাছে চাবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৯৯১৭
অন্য আরেক বর্ণনায় এসেছে তাবেয়ী যাযান রাহ. বলেন,
مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ يَأْكُلُ بِهِ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَوَجْهُهُ عَظْمٌ لَيْسَ عَلَيْهِ لَحْمٌ.
যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে মানুষ থেকে এর বিনিময় গ্রহণ করে সে যখন হাশরের মাঠে উঠবে তখন তার চেহারায় কোনো গোশত থাকবে না। শুধু হাড্ডি থাকবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৮২৪
তাই ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে বিনিময় দিয়ে কুরআন খতম করালে বিনিময় দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের গুনাহ হবে। এবং এর দ্বারা মৃত ব্যক্তির কোনো সওয়াব হবে না।
-আলমুহীতুল বুরহানী ২৩/৪১; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৬