ক) ফরয নামাযের পর মোনাজাতের আগে বা মোনাজাত ব্যতীত আয়াতুল কুরসী, তাসবীহ ইত্যাদি পড়া যাবে?
খ) ফরয নামাযের পর সাধারণত উচ্চ স্বরে মোনাজাত করা হয়। তখন পিছনে মাসবুক ব্যক্তিরা ছুটে যাওয়া রাকাতগুলো আদায় করে। এই সময় কি উচ্চস্বরে মোনাজাত করা জায়েয আছে? আর উচ্চ স্বরে মোনাজাত করার হুকুম কী?
(ক) যে সমস্ত নামাযের পর সুন্নত নেই যেমন ফজর ও আসর-এদুই নামাযের পর তাসবীহ, আয়াতুল কুরসী বা অন্যান্য দুআ মোনাজাতের আগে বা পরে যে কোনো সময় পড়া যাবে।
আর যে সব নামাযের পর সুন্নত আছে অর্থাৎ যোহর, মাগরিব ও ইশা এসব ওয়াক্তে আয়াতুল কুরসী ও তাসবীহ সুন্নতের পর পড়া উচিত। এসব ওয়াক্তে ফরয আদায়ের পর বেশি অপেক্ষা না করে সুন্নতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া উত্তম।
সুনানে ইবনে মাজাহ পৃ. ৬৬; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৩২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৩৪১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৫৫৬; ইলাউস সুনান ৩/১৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৫০
খ) মোনাজাত উচ্চ আওয়াজে বা নিম্ন আওয়াজে উভয় পদ্ধতিতেই করা জায়েয। তবে উচ্চ আওয়াজের কারণে কোনো নামাযীর নামাযে বিঘ্ন ঘটার আশংকা হলে তখন উচ্চ আওয়াজে মুনাজাত করা জায়েয নয়। সুতরাং পিছনে মাসবুক বা অন্য নামাযী থাকলে উচু আওয়াজে মুনাজাত করবে না।
সহীহ বুখারী ১/১১৬; ফাতহুল বারী ২/৩৭৯; ফায়যুল বারী ২/৩১৫; শরহুল আশবাহ হামাবী ৪/৬১