গত ২১ মে ২০১৩ তারিখে নোয়াখালির এক মসজিদে বয়ানে শুনেছি যে, দাওয়াতের কাজে বের হয়ে এক পা ফেলার পর অপর পা ফেলার সাথে সাথেই আলাহ তাআলা তার পূর্বজীবনের গুনাহ মাফ করে দিবেন। তাদের আমলনামায় ১৭ জন আলেম, ২৩ জন মিসকীন, ৩০ জন শহীদের ছওয়াব লিখে দিবেন এবং আল্লাহ তাদেরকে নিজে হিসাব দিয়ে জান্নাতে পাঠিয়ে দিবেন। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে এ বিষয়গুলি কতটুকু বাস্তব? দলিল-প্রমাণসহ বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল।
প্রশ্নে ফযীলতের যে কথাগুলি বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এগুলো কুরআন-সুন্নাহর কথা নয়। নিজ থেকে বানিয়ে ফযীলতের কথা বলা এবং লোকদের মাঝে তা প্রচার করা দ্বীনের মধ্যে সংযোজনের অন্তর্ভূক্ত, যা সম্পূর্ণ হারাম ও মারাত্মক গুনাহ। আর হাদীস হিসেবে তা প্রচার করা আরো ভয়াবহ গুনাহ। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করল, যা দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত নয় তবে তা প্রত্যাখ্যাত।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৬৯৭
অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যারোপ করবে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১০৭
প্রকাশ থাকে যে, দ্বীনের দিকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহয় বহু আয়াত ও হাদীস রয়েছে। তাই দাওয়াতের গুরুত্ব ও ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে এসব সুস্পষ্ট আয়াত ও হাদীস থেকে বর্ণনা করা কর্তব্য। দ্বীনী বিষয়ে না জেনে কিছু বলা, লোকমুখে প্রচলিত কথাবার্তা প্রচার করা দ্বীনের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। এ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।