চুল আঁচড়ানোর সময় আমি খুব উকুন মারি। হজ্বের সময় ইহরাম অবস্থায় উকুন মারতে পারে না- এ মাসআলা আমার জানা ছিল না। হজ্বের পর এক বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গেলে এক প্রসঙ্গে জানতে পারলাম, ইহরাম অবস্থায় উকুন মারা যায় না। কিন্তু আমি হজ্বের পাঁচ দিনেও তো অনেক উকুন মেরেছি। সে বলেছিল, আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে। কিন্তু আমি তো হজ্ব শেষ করে দেশে ফিরে এসেছি। এখন এ দম কীভাবে আদায় করব। দম কি মক্কা শরীফ থাকতেই দিতে হয় নাকি পরে দেশে এসে আদায় করা যায়।
ইহরাম অবস্থায় তিনটির অধিক উকুন মারলে জরিমানা হিসাবে এক সদকা ফিতর সমপরিমাণ মূল্য দান করা ওয়াজিব। তাই প্রশ্নের বর্ণনা অনুসারে (তিনটির অধিক) উকুন মারার কারণে আপনাকে এক সদকাতুল ফিতরের সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দিতে হবে। তবে আপনার উপর দম ওয়াজিব হয়নি। আর সদকা হেরেমের এলাকার গরীবকে দেওয়া উত্তম। তবে আপনি যেহেতু দেশে ফিরে এসছেন তাই দেশের কোনো গরীব-মিসকীনকে দিলেও আদায় হয়ে যাবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪২০; ফাতহুল কাদীর ৩/১৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৪৩,৫৫৮