প্রশ্ন
উমরী কাযা নির্ধারনে বালেগ বৎসর ধার্য করা জরুরী। ইসলামী শরীয়া হিসাব অনুযায়ী একজন পুরুষকে কত বৎসর বয়সে বালেগ ধরা হবে? আমি বিভিন্ন কিতাবে বিভিন্ন বয়স পেয়েছি। কেউ উল্লেখ করেছেন ১০ বৎসর, কেউ ১২ আবার কেউ বলেছেন সর্বপ্রথম বীর্যস্খলন থেকে তার নামায ফরজ হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন হিসাবটা সঠিক? জানালে উপকৃত হব । জাযাকাল্লাহু
খইরান ।
খইরান ।
উত্তর
ছেলে বা মেয়ের বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন বীর্যস্খলন হওয়া। এটির প্রকাশক অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন ১) ছেলে মেয়েদের সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে। ২ ) ছেলেদের দাড়ি গোফ উঠা আর মেয়েদের স্তন বড় হওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। ৩ ) মেয়েদের হায়েজ আসা, গর্ভধারণ করা ইত্যাদির মাধ্যমেও বালেগ হওয়া সাব্যস্ত হয়।
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻎَ ﺍﻟْﺄَﻃْﻔَﺎﻝُ ﻣِﻨﻜُﻢُ ﺍﻟْﺤُﻠُﻢَ [ ٢٤ : ٥٩ ]
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োঃপ্রাপ্ত হয়, [সূরা আননূর-৫৯] এইতো গেল নিদর্শন হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করা। যা নির্ধারণ করা খুবই সহজ। কিন্তু কথা হল, যদি নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে বয়স হিসেবে কিভাবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করবে? বয়সের ভিত্তিতে বালেগ ও নাবালেগ নির্ধারণে ফুক্বাহায়ে কেরামের মাঝে বিস্তর মতভেদ হয়ে গেছে। আসলে এটি নির্ণয় করা একটু দূঃরহ ব্যাপারও। কারণ সমাজ, পরিবেশ এবং রাষ্ট্রের আবহওয়ার ভিন্নতার কারণে মানুষের শারীরিক গঠনে, আচরণে ভিন্নতা দেখা দেয়। সেই হিসেবে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া না হওয়ার বিষয়টিও যেহেতু শরীরের সাথে অনেকটা সম্পর্কিত, তাই এটির বয়সসীমা নির্ধারণও বেশ দুঃসাধ্য
বিষয়।
এ কারণেই ফুক্বাহায়ে কেরামের মাঝে বালেগ হবার বয়স নির্ধারণে মতভেদ হয়ে গেছে। যেমন- ক) সতের বছর। খ) পনের বছর। ইত্যাদি। তবে প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, বালেগ হবার উপরোক্ত আলামতগুলো যদি কোন ছেলে বা মেয়ের মাঝে প্রকাশিত না হয়, তাহলে সন্তানের বয়স পনের বছর হলেই উক্ত ছেলে মেয়ে বালেগ হয়েছে বলে ধর্তব্য
হবে।
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃﻧﻪ ﻋُﺮِﺽ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻮﻡ ﺃُﺣﺪٍ ﻭﻟﻪ ﺃﺭﺑﻊ ﻋﺸﺮﺓ ﺳﻨﺔ
ﻓﻠﻢ ﻳُﺠِﺰْﻩ، ﻭﻋُﺮِﺽ ﻋﻠﻴﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺨﻨﺪﻕ ﻭﻟﻪ ﺧﻤﺲ ﻋﺸﺮﺓ
ﺳﻨﺔ ﻓﺄﺟﺎﺯﻩ . ইবনে উমর রাঃ উহুদের জিহাদে অংশ নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। রাসূল সাঃ তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কিন্তু খন্দকের জিহাদের অংশ নিতে অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল পনের বছর। [আলআহাদ ওয়ালমাছানী, হাদীস নং-৭৪৬] বুঝা গেল, শরীয়তের মুকাল্লাফ হতে হলে আর কোন আলামত না থাকলে বয়স হিসেবে কমপক্ষে পনের বছর হতে
হয়।
আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১;আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩;তাফসীরে কুরতুবী ১২/১৫১, – সহীহ বুখারী হাদীস : ২৬৬৪, ৪০৯৭; আললুবাব ফী শরহিল কিতাব ২/১৬। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻎَ ﺍﻟْﺄَﻃْﻔَﺎﻝُ ﻣِﻨﻜُﻢُ ﺍﻟْﺤُﻠُﻢَ [ ٢٤ : ٥٩ ]
তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োঃপ্রাপ্ত হয়, [সূরা আননূর-৫৯] এইতো গেল নিদর্শন হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করা। যা নির্ধারণ করা খুবই সহজ। কিন্তু কথা হল, যদি নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে বয়স হিসেবে কিভাবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করবে? বয়সের ভিত্তিতে বালেগ ও নাবালেগ নির্ধারণে ফুক্বাহায়ে কেরামের মাঝে বিস্তর মতভেদ হয়ে গেছে। আসলে এটি নির্ণয় করা একটু দূঃরহ ব্যাপারও। কারণ সমাজ, পরিবেশ এবং রাষ্ট্রের আবহওয়ার ভিন্নতার কারণে মানুষের শারীরিক গঠনে, আচরণে ভিন্নতা দেখা দেয়। সেই হিসেবে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া না হওয়ার বিষয়টিও যেহেতু শরীরের সাথে অনেকটা সম্পর্কিত, তাই এটির বয়সসীমা নির্ধারণও বেশ দুঃসাধ্য
বিষয়।
এ কারণেই ফুক্বাহায়ে কেরামের মাঝে বালেগ হবার বয়স নির্ধারণে মতভেদ হয়ে গেছে। যেমন- ক) সতের বছর। খ) পনের বছর। ইত্যাদি। তবে প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, বালেগ হবার উপরোক্ত আলামতগুলো যদি কোন ছেলে বা মেয়ের মাঝে প্রকাশিত না হয়, তাহলে সন্তানের বয়স পনের বছর হলেই উক্ত ছেলে মেয়ে বালেগ হয়েছে বলে ধর্তব্য
হবে।
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃﻧﻪ ﻋُﺮِﺽ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻮﻡ ﺃُﺣﺪٍ ﻭﻟﻪ ﺃﺭﺑﻊ ﻋﺸﺮﺓ ﺳﻨﺔ
ﻓﻠﻢ ﻳُﺠِﺰْﻩ، ﻭﻋُﺮِﺽ ﻋﻠﻴﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺨﻨﺪﻕ ﻭﻟﻪ ﺧﻤﺲ ﻋﺸﺮﺓ
ﺳﻨﺔ ﻓﺄﺟﺎﺯﻩ . ইবনে উমর রাঃ উহুদের জিহাদে অংশ নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। রাসূল সাঃ তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কিন্তু খন্দকের জিহাদের অংশ নিতে অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল পনের বছর। [আলআহাদ ওয়ালমাছানী, হাদীস নং-৭৪৬] বুঝা গেল, শরীয়তের মুকাল্লাফ হতে হলে আর কোন আলামত না থাকলে বয়স হিসেবে কমপক্ষে পনের বছর হতে
হয়।
আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১;আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩;তাফসীরে কুরতুবী ১২/১৫১, – সহীহ বুখারী হাদীস : ২৬৬৪, ৪০৯৭; আললুবাব ফী শরহিল কিতাব ২/১৬। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
কত বছর বয়স থেকে গুনাহ লেখা হয়
মেয়েরা কত বছর বয়সে সাবালিকা হয়
প্রাপ্তবয়স্ক কত বছর
নাবালিকা কাকে বলে
কত বছর বয়সে নামাজ ফরজ হয়
স্বপ্নদোষ কি
মুকাল্লাফ কাকে বলা হয়
কালেমা পরে বিয়ে করার নিয়ম
সম্পর্কিত পোস্ট:
আমার এক ওয়াক্ত নামায কাযা হয়েছে এবং আমি একামত ছাড়াই- আমাদের এলাকার এক ওয়ায়েয বললেন, কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে প্রবেশ
- আমাদের গ্রামের মসজিদে জুমার দিন মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান হয় না
- আমি এক সেনা কর্মকর্তা। কখনো কখনো আমাদেরকে বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে
- জনৈক ব্যক্তি আসরের নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর চুপ
- নামাযে সুরা ফাতেহার পর তিন তসবীহ পরিমান চুপ থাকলে করনীয়
- আমার আব্বু সুস্থ-সবল। তিনি দাঁড়িয়ে নমায পড়তেও সক্ষম। ফরয, ওয়াজিব
- মসজিদের ইমাম সাহেব মাসআলার আলোচনায় বললেন, নামাযে কেরাতের তারতীব ঠিক
- ইমাম সাহু সেজদার জন্য সালাম ফিরানোর সময় মাসবুক দাড়িয়ে গেলে করনীয়
- একদিন আমার ভাতিজা ঘরের মেঝেতে পেশাব করে দেয়। ওর মা
- আমি একদিন ফজরের নামাযের সময় মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবকে দ্বিতীয়
- আমার বয়স বিশ বছর। বালেগ হওয়ার পর থেকে মাঝেমধ্যে কয়েক
- বর্তমানে রেডিও টেলিভিশনে যে আযান শোনা যায় তার জওয়াব দিতে
- যোহর ও আসরের নামায কাযা হয়েছে। মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার
- শরীয়তে উমরী কাযা আদায় করার বিধান
- আমি কয়েকদিন আগে নামায সংক্রান্ত একটি পুস্তিকা পড়েছি। তাতে সিজদার
- ঈদের নামাযে ইমাম সাহেব প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তাকবীর বলার আগে
- রমযানে বিতরের জামাতে কেউ মাসবুক হলে কী করণীয়? বিস্তারিত জানালে
- গত ইদুল ফিতরের নামাযে আমি ইমামতি করেছিলাম। নামাযের পর অন্যজনকে
- যোহর অথবা জুমআর পূর্বের সুন্নত এবং ফজর নামাযের পূর্বের সুন্নত
- আমার দাদী খুবই অসুস'। বসেও নামায পড়তে পারেন না। এখন
- আমার ছেলের বয়স আড়াই বছর। সারাক্ষণ কোলে কোলেই থাকতে চায়
- হুযুর, আজ ফজর নামাযে প্রথম রাকাতে আমি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে
- মাসবুক ব্যক্তি, যার এক রাকাত নামায ছুটে গিয়েছে সে ইমামের
- আমি আসরের নামাযে ইমাম সাহেবকে রুকু অবস্থায় পেলাম। তাই তাড়াতাড়ি
- ক) মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা কি জরুরি? না মনে
- আমাদের মহল্লায় একটি মকতব আছে। যেখানে সকাল বেলা কুরআন শিখানো
- অনেক সময় এমন হয় যে, ইমাম সাহেব তাশাহহুদ শেষ করে
- আমি একদিন যোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত নামাযের প্রথম বৈঠকে
- জনৈক ব্যক্তি যোহরের চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাযের প্রথম রাকাতে