এবং তোমাদের যেথায় নিয়ে যাওয় হবে এবং স্থায়ী অবস্থান দেয়া হবে (অর্থাৎ
জান্নড়াত) তার ব্যাপারে সাগ্রহ মনােযােগী থাকবে ৷”
এরপর দলটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে বিদায় দিয়ে চলে গেল এবং তার বিশেষ
নির্দেশের যথাযথ সংরক্ষণ করে তদনুসারে আমল করতে খাকল ৷
কিনদাহ্ গোত্রের প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
আশআছ ইবন কারন এর নেতৃত্বে; আগত এ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল দশের
অধিক আরোহী ৷ তাদের প্রতেব্রুককে দশ উকিয়া এবং দল নেতা আশআছকে বার
উকিয়া উপচৌকনস্বরুপ দেয়া হয়েছিল যার বর্ণনা ইতেড়াপুর্বে গিয়েছে ৷
আস-সাদাফ প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
দশের অধিক সংখ্যায় আগত এ প্রতিনিধি দল যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে
পৌছলেন তখন তিনি মিনরের উপর ভাষণ দিচ্ছিলেন ৷ তারা সালাম না করে বসে
পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা মুসলমান তো ? তারা বললেন, জী হা !
তিনি বললেন, তবে সালাম করলে না কেন ? তারা তখন তখনই উঠে দাড়িয়ে
বললেন, আসসালামু আলায়কা আষুহোন্নড়াৰিম্যু ওয়া রাহমাতিল্লাহি ও বারাকাতুহু!
তিনি বললেন, ওয়া আলায়কুমুস সালাম ! বসে গড় ! তারা বসে পড়লেন এবং পরে
সালাতের সময়সুচী সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিলেন ৷
খুশায়নী প্রতিনিধি প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী বলেন, আবু ছালাবা আল-খুশানী (বা) আগমন করেছিলেন যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷ তিনি তার সাথে খায়বায়ের
অভিযানে অংশ গ্রহণ করলেন ৷ পরে ঐ গোত্রের দশ ৎখ্যার অধিক লোক এসে
ইসলামের ছায়ড়ায় আশ্রয় নিলেন ৷
বনু সাদ প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
পরবর্তী প্ৰর্জি ধ“ দলের তালিকায় রয়েছে বনু সাদ ও তার শাখাসমুহ হুযায়ম, বালী,
বড়াহ্রা, বনু আযরাহ্, সালমান, জুহায়না, বনু কাল্ব ও জারমী ৷ বুখারী শরীফে উদ্ধৃত আম্র
ইবন সালামা আল-জারমী (রা)-এর হাদীস বিষয়ে ইভােপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷
এছাড়াও রয়েছে আঘৃদ, খাসৃসান, হাবিছ ইবন কড়াব, হামাদান, সাদুল আশীরা, কায়স,
দাবী, যাহাবী, বনু আমির, মাসজি, বাজীলা খাছআম ও হড়াদরামাওত প্রতিনিধিদলসমুহ ৷ এসব
দলের সদস্যের মাঝে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন ওয়াইল ইবন হুজ্বর-এর চারজন সামত
রাজা হুমায়দ, মুখড়াওওয়াস, যুশারদ্বুরজে ও আবৃযাআহ ৷ মুসনাদে আহমদ গ্রন্থে এদের ভাই আল
গামরসহ এদের বর্ণনা রয়েছে ৷ ওয়াকিদী (তার কিতাবুল মাগাযীতে) এদের বিষয় দীর্ঘ
আলোচনা করেছেন ৷
ওয়ড়াকিদী আরও যে সব প্রতিনিধি দলের উল্লে খ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে
আমদই আম্মান, গাফিক , বড়াবিক , দাউস ছুমালা , আল হিদার , আসলাম , জুমাম ,
যুহর৷ , হিময়ার , নাজরান ও হড়ায়সান প্রতিনিধিদলসমুহ ৷ তিনি এসব গোত্রের বিশদ
অল্ডেলাচনা করেছেন ৷ এর আৎশিক আলোচনা আমরা য়থাস্থানে করে এসেছি এবং
তাই যথেষ্ট ৷ ওয়াকিদীর পরবর্তী আলোচ্য বিষয় ৷
আল সিবা প্রতিনিধি প্রসঙ্গ (ণ্নকড়ে বাঘের প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গ)
শুআয়ব ইবন উবড়াদাআবদুল মুত্তালিব ইবন আবদৃল্লাহ ইবন হানতাব থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি র ণে ছেণ , রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় তীর সাহাবীপণের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন ৷
একটি নেকড়ে বাম এসে তার সামনে দাড়িয়ে আওয়ড়ায দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
“এ হচ্ছে তোমাদের কাছে ইিংস্র প্রাণীকুলের প্রতিনিধি ৷ এখন তোমরা পসন্দ করলে তার
জন্য কোন কিছু বরাদ্দ করে দিতে পার, তাহলে তার অতিরিক্ত কোথাও সে হলো দেবে না ৷ আর
ইচ্ছা করলে তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে তোমরা (তেমােদের পশুপাল রক্ষার বপোরে)
সতর্কতা অবলম্বন করে লেবে ৷ তখন যে যা ধরে নিতে পারবে তাই তার বিবিক হবে ৷
তারা বললো , ইয়া রড়াসুলাল্পাহ্ ! আমরা মনের থুশীতে তার জন্য কিছু বরাদ্দ করতে
সম্মত নই ! নবী করীম (সা ) তখন নেকড়েটির দিকে তিনটি আব্দুল উচু করে ইঙ্গিত
করলেন অর্থাৎ সুযোগ বুঝে ছিনিয়ে নাও ৷ তখন (নকড়েটি মাথা দুলিয়ে হোল-দুলে
চলে ণ্পল ৷ এ সুত্রে হাদীসটি মুরসাল’ পর্যায়ের ৷ অবশ্য ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত
হড়াদীসের নেকড়েব সাথে এ নেকড়ের সাদৃশ্য বিদ্যমান ৷
ইয়ড়াযীদ ইবন হারুন (র)আবু সাঈদ আল-খুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন, একটি নেকড়ে একটি ছাপলের উপর আক্রমণ করে তাকে ধরে নিয়ে যেতে লাগল ৷
রড়াখাল তার পিছনে ধাওয়ড়া করে ছাপলটি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল ৷ নেকড়ে তার লেজে
জা করে দাড়িয়ে (রড়াখালকে) বলতে লাগল ৷ (তামার মনে আল্লাহ্র ভয় (নই যে , আল্লাহ্
আমার জন্য যে বিবিক পাঠিয়েছেন তা তুমি ছিনিয়ে রেখে দিচছ? রড়াখাল (বিস্ময়ে হতবুদ্ধি
হয়ে) বলতে লাগল, হা! বিস্ময়৷ এ যে লেজে ভর করে আমার সাথে মানুষের ভাষায় কথা
বলছে ! নেকড়েটি বলল, এর চেয়েও আশ্চর্য খবর আমার কাছে আছে, তোমাকে বলব কি?
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ইয়াছবিবে’ মানুষের কাছে বিগত দিনের খবরাদি বর্ণনা করেন !
বর্পনাকড়াবী আবু সাঈদ (বা) বলেন, রাখাল তার বকরীপালকে হীকিয়ে নিয়ে মদীনা অভিমুখে
৫০ ৷ড়া