ট্রাম্পঃ পুরো নাম ডোনাল্ড জন ট্রাম্প সিনিয়র। তিনি একজন হাইওয়ানে নাতেক (বাকশক্তিধারী প্রাণী)। তিনি পৃথিবীর শীর্ষ ক্ষমতাধর পূজিবাদী রাষ্ট্র ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র’র ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যান’র পরিচালক এবং ‘ট্রাম্প এন্টারটেইনম্যান্ট রিসোর্ট’র প্রতিষ্ঠাতা। আমার উপলব্ধি মতে তিনি একজন অশ্লীল স্পষ্টভাষী মানুষ। ডোনাল্ড ট্রাম্প জুন ১৪, ১৯৪৬ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের কুইন্সে জন্মগ্রহণ করে। তাঁর মা ম্যারী অ্যানী একজন গৃহিণী ও লোকহিতৈষী এবং তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্প (১৯০৫-১৯৯৯) ছিলেন একজন রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ট্রাম্প চতুর্থ। তাঁর মা ম্যারী অ্যানি স্কটিশ দ্বীপ লিউয়িসের টং গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৩০ সালে ১৮ বছর বয়সে তাঁর মা ম্যারী অ্যানী যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং সেখানে তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের সাথে তাঁর মার পরিচয় হয়। তারা ১৯৩৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ট্রাম্পের এক ভাই, রবার্ট (জন্ম: ১৯৪৮) এবং দুই বোন: ম্যারীঅ্যানী (জন্ম: ১৯৩৭) এবং এলিজাবেথ (জন্ম: ১৯৪২) রয়েছে। ট্রাম্পের বোন ম্যারীঅ্যানি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল আদালতের একজন বিচারপতি। ট্রাম্পের আরেক ভাই ফ্রেড জুনিয়রের মৃত্যু হয়েছিল (১৯৩৮-১৯৮১) অতিরিক্ত মদ্যপানের দরুণ। ট্রাম্পের পিতামহ জার্মানীর অভিবাসী ছিলেন। তাঁর দাদা ফ্রেডেরিক ট্রাম্পের জার্মানীতে নিজের “ক্লোনডিক গোল্ড রাশ” নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল। তাঁর দাদা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে আসেন ১৮৮৫ সালে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের আসল পদবি ছিল মূলত “ড্রাম্পফ্” কিন্তু ১৭ শতাব্দিতে এটি অপভ্রংশ হয়ে ট্রাম্প হয়ে যায়। ট্রাম্প লিখিত ১৯৮৭ সালের একটি বই, দ্য আর্ট অব দ্য ডিল গ্রন্থে ট্রাম্প ভুলবশত উল্লেখ করে ছিলেন যে তাঁর দাদু ফ্রেডেরিক ট্রাম্প একজন সুইডিশ বংশোদ্ভূত। মূলত এই দাবি ছিল তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্প পরবর্তীকালে স্বীকার করেছিলেন যে তাঁর পূর্ব-পুরুষরা আসলে জার্মান বংশোদ্ভুত এবং তারা ১৯৯৯ সালে নিউ ইয়র্কশহরে জার্মান-আমেরিকান স্টুবেন প্যারেডে সেনাবাহিনীর গ্র্যান্ড মার্শাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ধর্মীয় দিক থেকে ট্রাম্প হলেন একজন প্রেসবিট্যারিয়ান। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ৭০০ ক্লাবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি একজন প্রোটেস্ট্যান্ট, একজন প্রেসবিট্যারিয়ান। এবং অনেক বছর ধরে গির্জার সাথে আমার একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি ধর্ম একটি বিস্ময়কর জিনিস। আমি মনে করি আমার ধর্ম অপরূপ”। নির্বাচনী প্রচারকার্যের ডোনাল্ড তাঁর শ্রোতাবৃন্দদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তাঁর বই “দ্য আর্ট অব দ্য ডিল” হলো তাঁর দ্বিতীয় পছন্দের গ্রন্থ এবং তিনি আরো বলেন, “তোমরা কী জানো আমার প্রথম পছন্দের বই কোনটি? বাইবেল! কোন কিছুই বাইবেলের সমতুল্য নই”। ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, হলি কম্যুনিয়নে অংশগ্রহণ করার সময় তিনি ঈশ্বরের কাছে তাঁর পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন নি। তিনি আরো বলেন, “আমি মনে করি.. আমি যদি কোন ভুল করি, আমি চেষ্টা করবো সেই ভুল শোধরানোর জন্য। আমার ভুল সংশোধনের জন্য আমি কখনও ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই না”। ট্রাম্পের সাথে টনি পারকিন্স এবং রালফ্ রিডের মত বহু ইভাঞ্জেলিক্যাল এবং খ্রীষ্টান নেতার সাথে ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্কির যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদে প্রচারের সময় তিনি গ্রীক অর্থোডোক্স পাদ্রী ইমান্যুয়েল লেমেলসনের কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। কিন্তু ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের গুরু পোপ ফ্রান্সিস দাবি করেছেন যে, অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের মতাদর্শ খ্রীষ্টীয় শিক্ষার পরিপন্থী: “একজন ব্যক্তি যে সম্পর্কের সেতু নির্মাণের পরিবর্তে শুধু বিভেদের দেওয়াল নির্মাণের কথা চিন্তা করে, সে কখনও সত্যিকারের খ্রীষ্টান হতে পারে না। এটি গসপেল পরিপন্থী”। তাঁকে নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সমালোচনাকে ট্রাম্প “মর্যাদাহানিকর” হিসেবে উল্লেখ করে আরো বলেছেন যে, মেক্সিকান সরকার তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পোপকে ব্যবহার করছেন। ট্রাম্প আরো বলেন, “কারণ তারা (মেক্সিকান সরকার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শেষ করে দেওয়ার পন্থা অবিরত রাখতে চায়”। ট্রাম্প আরো বলেন যে, যদি কখনও আইসিস ভ্যাটিকান আক্রমণ করে তবে পোপ এই বলে তাঁর অনুতাপ প্রকাশ করবেন যে যদি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতাম, তবে এই ধরনের ঘটনা কখনও হতো না। ইহুদি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সাথেও ট্রাম্পের সু-সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে একটি ইহুদি দৈনিক পত্রিকা অ্যালজেমেইনার জার্নালের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে “অ্যালজেমেইনার লিবার্টি অ্যাওয়ার্ড” পুরষ্কার গ্রহণকালে ট্রাম্প বলেন, “শুধু ইহুদি নাতি-নাতনিই নয়, আমার ইহুদি কন্যাও রয়েছে (ইভাঙ্কা তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনারের সাথে বিয়ের পূর্বে ইহুদি ধর্মে দিক্ষিত হয়েছিল) এবং আমি খুবই গর্বিত এটি নিয়ে… তাঁর (ইভাঙ্কার) ইহুদি হওয়ার কথা ছিল না কিন্তু তবুও আমি খুশি যে সে ইহুদি হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি পর্ন দেখা দেশের তালিকায় সেরা হয়েছে তিনটি দেশ- আমেরিকা (স্বর্ণ পদক), ব্রিটেন (রৌপ পদক) ও ভারত (ব্রোঞ্জ পদক)। পর্নহাব নামে একটি ওয়েবসাইট ব্যতিক্রমী এ পুরস্কার দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্ন সাইটের সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। পুরো বিশ্বে পর্ন সাইটের সংখ্যা ২০ কোটির ওপর। প্রতি বছর পর্ন সিনেমায় অবদানের জন্য মোটা অর্থের পুরস্কার মূল্যের ট্রফি দেওয়া হয়। পর্নের অস্কার হিসেবে পরিচিত অ্যাওয়ার্ডকে বলা হয় এভিএন অ্যাওয়ার্ড। বেশ কিছু পর্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বার্ষিক আয় হলিউড স্টারদের চেয়েও বেশি। আমেরিকায় প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি পর্ন ছবি তৈরি হয়।
ইসরায়েলঃ ইসরায়েল হলো পৃথিবীর একমাত্র ইহুদী রাষ্ট্র। আর ইহুদীরা হলো কেয়ামতের আগে প্রকাশিতব্য বহুল আলোচিত দাজ্জাল তথা মহা প্রতারকের ভাবী অনুসারী সম্প্রদায়। ইসরায়েলের গডমাদার হলো বৃটেন এবং গডফাদার হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল পশ্চিম এশিয়াতে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এই ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল ধরে সমভূমি অবস্থিত। ইসরায়েলের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল নেগেভ মরুভূমি আর উত্তরে আছে বরফাবৃত পর্বতমালা। দক্ষিণে লোহিত সাগরে এক চিলতে প্রবেশপথ আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড- ফ্রান্সের ম্যান্ডেটে। ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধমে ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে। ১৯০৫ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। কিন্তু ১৯১৪ সাল থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত বৃটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা পনের হাজারে উন্নীত হয়। এরপর প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসীদের ধরে এনে জড়ো করা শুরু হলে ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়। ১৯৩১ সালে ইহুদীদের এই সংখ্যা প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায়। এভাবে ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়। ১৯১৮ সালে বৃটেনের সহযোগিতায় গুপ্ত ইহুদী বাহিনী “হাগানাহ” গঠিত হয়। এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়। ফিলিস্তিনী জনগণের বাড়িঘর ও ক্ষেতখামার দখল করে তাদেরকে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা এবং বাজার ও রাস্তাঘাটসহ জনসমাবেশ স্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিলিস্তিনীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের বিতাড়নের কাজ ত্বরান্বিত করা ছিল হাগানাহ বাহিনীর কাজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে নিজেদের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ড্যাভিড বেন গুরিয়ন ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন।
প্রসঙ্গত, অশ্লীল স্পষ্টভাষী মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ডিসেম্বর মাসে সৌদি সরকারের মত পরীক্ষিত মিত্রকে আগাম ইঙ্গিত দিয়ে মসজিদে আকছা অধ্যুষিত পূর্ব জেরুসালেম তথা আল-কুদসকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মেনে নেবার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে। এত মার্কিন তাঁবেদার সৌদি সরকার কৌশলবশত মৃদু বিরোধিতার ভান করে বিবৃতি দেয়। অবশ্য, এর আগে বৃটেন কর্তৃক ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব নামীয় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশা আবদুল আজীজ কর্তৃক বৃটেনকে অনাপত্তি জানানো হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
ইরানঃ ইরান একটি বারো ইমামপন্থী শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এটি এক সময় সুন্নী প্রধান ছিল। খ্রীষ্টীয় ১৬ শতকে ইসমাঈল ছাফাভী নামক এক শিয়া নেতা ইরান ও ইরাকে আধিপত্য বিস্তার করে সেখানে জোরপূর্বক শিয়া মতবাদের প্রসার ঘটায়। ইরান দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে পর্বতময় দেশগুলির একটি। ওখানে হিমালয়ের পরেই এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ অবস্থিত। দেশটির জনগণ জাতিগত ও ভাষাগতভাবে বিচিত্র হলেও এরা প্রায় সবাই মুসলিম। ইরানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আছে। পারস্য উপসাগরের অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশের মতো ইরানেও তেল রপ্তানি ২০শ শতকের শুরু থেকে দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ১৯৩৫ সালে ইরানের শাসক দেশটিকে কেবল “ইরান” বলে ডাকার অনুরোধ জানানোর পর থেকে এখন এই নামেই সারা বিশ্বে দেশটি পরিচিত। ১৫০১ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্রী ইরান হয় শাহ কিংবা রাজারা শাসন করতেন। ১৯৭৯ সালে ইরানী বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের পতন ঘটায় এবং ইরানে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র স্থাপন করে। ইরান ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পর্কিত অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত। এর উত্তরে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কাস্পিয়ান সাগর ও তুর্কমেনিস্তান; পূর্বে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান; দক্ষিণে ওমান উপসাগর, হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগর, এবং পশ্চিমে ইরাক ও তুরষ্ক। তেহরান ইরানের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী; শহরটি ইরানের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি ট্রাম্প ও বিন সালমানের মার্কিন-সৌদি চক্র ‘মোল্লা শাসন বিরোধী’ ইরানের #সেক্যুলারদের পিছনে টাকা ঢেলে সেখানে সরকার বিরোধী গণজাগরন সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু পরে ইরান সরকার সমর্থকদের রাস্তায় নামতে বললে বিরোধীদের উত্তেজনা দমিত হয় এবং মার্কিন-সৌদি চক্রান্ত মাঠে মারা যায়। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব ঠেকাতে ইরান সরকার অতি সম্প্রতি তাদের প্রাইমারী স্কুলে ইংরেজী ভাষা নিষিদ্ধ করেছে৷ আমার মতে এটা একটি সুপুরুষোচিত কাজ৷
পাকিস্তানঃ পুরো নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান (উর্দু: اسلامی جمہوریۂ پاکستان)। পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। দেশটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। পাকিস্তান ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ। দেশটির প্রায় হাজার কিলোমিটার লম্বা সৈকতরেখা আছে। এর দক্ষিণদিকে (আরব সাগর)। পশ্চিমে রয়েছে আফগানিস্তান ও ইরান, পূর্বে ভারত, এবং উত্তর-পূর্বে চীনের তিব্বত ও শিঞ্চিয়াং এলাকাগুলো। ইসলামাবাদ পাকিস্তানের রাজধানী। করাচি দেশটির বৃহত্তম শহর। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি থেকে তথাকথিত স্বাধীনতা লাভ করে । তারপর, ভারতীয় উপমাদেশ বিভাজনের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান এ’ দুটি দেশের জন্ম হয়। তারপর পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান- বাংলাদেশ) এর সাথে ২৬শে মার্চ মধ্য রাত থেকে যুদ্ধ শুরু হয়ে টানা “নয় মাস” রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান পৃথিবীর একমাত্র পারমাণবিক বোমার অধিকারী সেক্যুলার মুসলিম রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটির কর্তারা জনগণের অনুভূতির কথাকে গুরুত্ব দিয়ে নামে ‘ইসলামী’ শব্দ যোগ করলেও কার্যত সেটি একটি উদার সেক্যুলার মুসলিম জাতিয়তাবাদী রাষ্ট্র। সেনাবাহিনী ও রাজনীতিকরাসহ রাষ্ট্রটির কর্তাব্যক্তিরা প্রকৃত অর্থে ইসলামপন্থী না হলেও পার্থিব উদ্দেশ্যে নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দিতে সঙ্কোচ করে না। তারা তাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে র্যাডিক্যাল বা কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠী এবং বৃটেন-আমেরিকার মত সুপ্ত ইসলাম বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন বজায় রাখার নীতিতে বিশ্বাস করে। ২০০১ সালে তালেবান ও আলকায়েদা প্রশ্নে পাকিস্তান একটি প্রশ্নবিদ্ধ কৌশল অবলম্বন করে। ভারত বিরোধিতা থেকে তারা তালেবান ও আলকায়েদার সাথে নমনীয় হলেও একই সাথে আমেরিকাসহ বিভিন্ন পক্ষের চাপে তালেবান ও আলকায়েদা বিরোধী কিছু কাজও করে এবং এজন্য খরচ বাবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক অর্থও (কথিত সহায়তা) গ্রহণ করে। ফলে পাকিস্তান একই সাথে তালেবান ও আলকায়েদার আক্রমণ ও আমেরিকার সমালোচনার পাত্রে পরিণত হয়। সম্প্রতি অশ্লীল স্পষ্টভাষী মানুষ র্মাকনি প্রসেডিন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবান ও আলকায়েদা দমনে আন্তরিকতার পরিচয় না দেওয়ায় পাকিস্তান সরকারকে প্রতিবছর দিয়ে আসা বিপুল অঙ্কের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেবার ঘোষণা দিয়েছে। এতে পাকিস্তানী রাজনীতিকরা আমেরিকার মৃদু সমালোচনা করলেও পারস্পরিক সম্পর্কচ্ছেদের কথা ভাবছে না।
তুরস্কঃ প্রায় ছয় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘উছমানী সলতনত’র স্মৃতিবাহী একটি সত্যিকারের ইসলামী মূল্যবোধের উদার সেক্যুলার রাষ্ট্র বর্তমান তুরস্ক। ভৌগলকি দিক থেকে তুরস্ক পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে, পর্বতময় আনাতোলিয়া (তুর্কি: Antalya আন্তালিয়া) বা এশিয়া মাইনর উপদ্বীপে পড়েছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত। তুরস্কের বাকী অংশের নাম পূর্ব বা তুর্কীয় থ্রাস এবং এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উর্বর উঁচু নিচু টিলাপাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল অবস্থিত। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে । যথাঃ মার্মারা সাগর, বসফরাস প্রণালী ও দার্দানেল প্রণালী। এই তিনটি জলপথ একত্রে কৃষ্ণ সাগর থেকে এজীয় সাগরে যাবার একমাত্র পথ তৈরি করেছে। তুরস্ক মোটামুটি চতুর্ভুজাকৃতির। এর পশ্চিমে এজীয় সাগর ও গ্রিস; উত্তর-পূর্বে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া ও স্বায়ত্বশাসিত আজারবাইজানি প্রজাতন্ত্র নাখচিভান; পূর্বে ইরান; দক্ষিণে ইরাক, সিরিয়া ও ভূমধ্যসাগর। তুরস্কের রয়েছে বিস্তৃত উপকূল, যা দেশটির সীমান্তের তিন-চতুর্থাংশ গঠন করেছে। তুরস্কের ভূমিরূপ বিচিত্র। দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমে আছে উর্বর সমভূমি। পশ্চিমে আছে উঁচু, অনুর্বর মালভূমি। পূর্বে আছে সুউচ্চ পর্বতমালা। দেশের অভ্যন্তরের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হলেও ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু মৃদু। ইউরোপ সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বলে তুরস্কের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়েছে। গোটা মানবসভ্যতার ইতিহাস জুড়েই তুরস্ক এশিয়া ও ইউরোপের মানুষদের চলাচলের সেতু হিসেবে কাজ করেছে। নানা বিচিত্র প্রভাবের থেকে তুরস্কের একটি নিজস্ব পরিচয়ের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, চারুকলা, সঙ্গীত ও সাহিত্যে। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও অনেক অতীত ঐতিহ্য ও রীতিনীতি ধরে রাখা হয়েছে। তবে তুরস্ক বর্তমানে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানকার অধিকাংশ লোকের ধর্ম ইসলাম এবং মুখের ভাষা তুর্কি ভাষা। বহু শতাব্দী ধরে তুরস্ক ছিল মূলত কৃষিপ্রধান একটি দেশ। বর্তমানে কৃষিখামার তুরস্কের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এবং দেশের শ্রমশক্তির ৩৪% এই কাজে নিয়োজিত। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তুরস্কে শিল্প ও সেবাখাতের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বিশেষত অর্থসংস্থান, পরিবহন, এবং পেশাদারী ও সরকারি সেবায়। অন্যদিকে কৃষির ভূমিকা হ্রাস পেয়েছে। টেক্সটাইল ও বস্ত্র শিল্প দেশের রপ্তানির প্রধান উৎস। অর্থনৈতিক রূপান্তরের সাথে সাথে নগরায়নের হারও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে তুরস্কের ৭৫% জনগণ শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালেও মাত্র ২১% শহরে বাস করত। জনসংখ্যার ৯০% তুরস্কের এশীয় অংশে বাস করে। বাকী ১০% ইউরোপীয় অংশে বাস করে।
প্রসঙ্গত, অভিশপ্ত কামাল আতাতুর্ক তুরস্ককে ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টা করলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। ২০০২ সাল থেকে তুরস্কে বারবার ইসলামপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান তুরস্ক অর্থনীতি, সেবামূলক ও ধর্মীয় তৎপরতাসহ সব দিকে সৌদি আরবের চেয়েও এগিয়ে আছে। ইস্তাম্বুলের পার্শ্ববর্তী কাসিমপাশায় জন্ম নেয়া এরদোগানের বাবা ছিলেন একজন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা। কিশোর বয়সে রাস্তায় রুটি এবং লেবু বিক্রি করতেন এরদোগান। তরুণ বয়সে ইসলামিক ইয়ুথ সংগঠনে যোগদান করেন তিনি। এ সংগঠনটি তুরস্কের কট্টর সেক্যুলার নীতির বিরোধিতা করে। তুরস্কের ক্ষমতাধর জেনারেলরা মসজিদ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিশাল ব্যবধান তৈরি করে। এক সময়ে আধা পেশাদার হিসেবে ফুটবল খেলোয়াড় এবং ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রিধারী এরদোগান ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি দেড় কোটি লোকের এ শহরটির ট্রাফিক জাম এবং বায়ু দূষণ রোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যখন তার ইসলামঘেঁষা দলকে নিষিদ্ধ করা হয় তখন বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এ সময় একটি ইসলামী কবিতা পাঠ করেন। সেই কবিতাটি ছিল এরকম- ‘মসজিদ আমাদের ব্যারাক, গম্বুজ আমাদের হেলমেট, মিনার আমাদের বেয়নেট এবং ঈমানদাররা আমাদের সৈনিক।’ এই কবিতার মধ্যে ধর্মীয় উসকানির গন্ধ পায় সেক্যুলার শাসকরা। তবে এরদোগান বারবারই এ কবিতা আবৃত্তি করেন। ২০০১ সালে এরদোগান এবং তার সহযোগী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল ইসলামঘেঁষা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) গঠন করেন। পরের বছরের নির্বাচনে দলটি ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। এরপর আরো দুটি সংসদ নির্বাচনেও জয় পায় একেপি। দেশবাসী বিশাল বিশাল নির্বাচনী প্রচারাভিযানে তিনি বিরামহীন অংশ নেন। অসুস্থতাও তাকে থামাতে পারে না। নির্বাচনী প্রচারণার মাঝেই হয়তো স্থানীয় কোনো ফুটবল খেলায় মেতে ওঠেন তিনি। তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করতে দেশে ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ককে সদস্যপদ দিতে গড়িমসি করায় ক্ষুব্ধ এরদোগান বলেন, ইইউর সদস্যপদের জন্য তুরস্ক অনাদিকাল অপেক্ষা করবে না। সৌদি-মার্কিন-ইসরাঈলী চক্রের কাতার, ইরান ও পাকিস্তান বিরোধী মনোভাবে এরদোগান শেষোক্ত দেশগুলোর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন সময় ফিলিস্তীন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে এরদোগানকে সবচেয়ে বেশী সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
সৌদি আরবঃ বর্তমানে সৌদি আরব নামে পরিচিত রাষ্ট্রটি হলো নজদের আলে সৌদ নামীয় পরিবার কর্তৃক শাসিত একটি রাষ্ট্র। এটি আলোচিত হওয়ার প্রধান কারণ হলো হারামাইন শরীফাইনের অবস্থানের কারণে। ১৯৩২ সালে এ রাষ্ট্রটি সাম্রাজ্যবাদী বৃটেনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আমেরিকাসহ পুরো পশ্চিমা বিশ্বের সাথে দেশটি তাঁবেদারি মূলক সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে। দেশটি সরকারিভাবে সৌদি আরব সাম্রাজ্য المملكة العربية السعودية নামে পরিচিত। আয়তনের দিক দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ যার আয়তন ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি। আলজেরিয়ার পরে আরব বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে জর্ডান ও ইরাক, উত্তরপূর্বে কুয়েত ,পূর্বে কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অবস্থিত, দক্ষিনপুর্বে ওমান ও দক্ষিনে ইয়েমেন অবস্থিত। সৌদি আরব মূলত চারটি সতন্ত্র অঞ্চল হেজাজ, নজদ, আল হাসা পুর্বাঞ্চলীয় আরব এবং আসির দক্ষিণাঞ্চলীয় আরব নিয়ে গঠিত।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সৌদি আরব সৌদ বংশের তৃতীয় সাম্রাজ্য। এর আগে তাদের আরো দুইটি রাষ্ট্রের পতন হয়েছিল। ১৭৪৪ সালে প্রথম সৌদি রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠায় শায়খ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব নজদী (মৃত্যু- ১২০৬ হিজরী=১৭৯১ খ্রিষ্টাব্দ) নামক এক খারেজীমনা ধর্মীয় নেতার ভূমিকা থাকায় সৌদি সরকার সবসময় ওই নজদীকে প্রভাবিতকারী উগ্রবাদী সালাফী দর্শনকে পৃষ্টপোষকতা করে আসছে। তাছাড়া সৌদি সরকার মার্কিন তাঁবেদারি থেকে ইসরায়েলের প্রতি নমনীয় ভাব ও কট্টর রাজতন্ত্রী মনোভাব থেকে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করার কারণেও ব্যাপক ভাবে আলোচিত ও সমালোচিত।
মহান রব আমাদেরকে তাঁর সচেতন ও সাহসী মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করুন।
আবুল হুসাইন আলেগাজী
০৮.০১.২০১৮, চট্টগ্রাম৷