Home » আখবার » ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলাম খেদাও’ সেকুলারনীতির বাই-প্রোডাক্ট!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলাম খেদাও’ সেকুলারনীতির বাই-প্রোডাক্ট!

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে এবং এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

    -ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    অধ্যাপক আমেনা মহসিন ও ড. মেসবাহরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলাম খেদাও’ সেকুলারনীতির বাই-প্রোডাক্ট। ইউরোপীয় রেনেসাঁ ও সেকুলারিজমের নামে ইসলাম খেদাও নীতি আজকের নতুন না, এর শিকড় প্রোথিত ঊনিশ শতকের বৃটিশ পৃষ্ঠপোষিত বাংলার হিন্দু রেনেসাঁসের গর্ভে!

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসার স্টুডেন্টরা মেধা ও যোগ্যতার বলে চান্স পায়। ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষত মাদ্রাসার স্টুডেন্টদের জন্য অতিরিক্ত নিয়ম-কানুনের নামে অনেক বাধা-বিপত্তি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারাও আবার অতিরিক্ত মেধা দিয়ে সেই বাধা-বিপত্তিগুলোকেও জয় করে ভর্তি হতে পারছে। কারো দয়ায় নয়।

    জেনারেল শিক্ষার্থীদের চেয়ে মাদ্রাসার স্টুডেন্টদের মেধা ও যোগ্যতার ঈর্ষণীয় অগ্রগতি দেখে হিংসায় মেসবাহ কামালদের মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা! ফলে অযৌক্তিক আবোল-তাবোল প্রলাপ বকছেন। হাহাহা

    যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার সময় নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দান করেছিলেন এবং সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী জমিদার শ্রেণীর সকল প্রতিরোধ অতিক্রম করে ঢাবি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছিলেন, সেই নবাব সলিমুল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকীর ব্যাপারে ঢাবি কর্তৃপক্ষের খবর থাকে না। কোনো স্মরণসভার আয়োজন থাকেনা।

    পক্ষান্তরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধিতাকারী হিন্দুত্ববাদী জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী, স্মরণসভা, সঙ্গীতসভা ইত্যাদি জাঁকজমকভাবে সোৎসাহে আয়োজন করা হয় ঢাবিতে– যেন সলিমুল্লাহ নয়, রবীন্দ্রনাথই ঢাবির প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক নায়ক! অথচ ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথও অন্যতম খলনায়ক!

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে প্রতি বছর সাড়ম্বরে বিভিন্ন পূজা উদযাপন করা হয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে কোরবানির ঈদ উদযাপন হওয়ার নিউজ বা রিপোর্ট আমরা কখনো পাইনি। যদি কোনো হলে মুসলিম শিক্ষার্থীরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করতো, তাহলে আর যায় কোথায়, সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলে তাদেরকে হল থেকে বহিষ্কার করার আওয়াজ তুলতো ইসলামবিদ্বেষী সেকুলার মিডিয়াকুল।

    চারুকলায় অঘোষিতভাবে গরুর মাংস রান্না নিষিদ্ধ সেটা আমরা ইতোমধ্যেই জানি। এই হলো অবস্থা!

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুদের পূজার আয়োজন হলে সমস্যা নাই; কিন্তু কোরবানির ঈদ উদযাপন হতে পারবে না। মাদ্রাসার স্টুডেন্টরা পড়তে পারবে না। কথিত সেকুলারিজমের নামে হলের নামকরণ থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দদ্বয় কেটে দিতে হবে। এই ইসলামবিদ্বেষী মন-মানসিকতার সাথে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে কলকাতার হিন্দু সম্প্রদায়ের মুসলিমবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের ইতিহাস স্মরণ করুন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যঙ্গ করে ‘মক্কা ইউনিভার্সিটি’ বলেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মুসলমান চাষাভূষার ছেলেরা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে কেন? তখন রবীন্দ্রনাথদের ছিল এমন সাম্প্রদায়িক মন-মানিসকতা! এই হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক মনোভাবের সাথে আজকের মিসবাহ কামালদের বক্তব্য মিলিয়ে নিন।

    মোদ্দা কথায়, ১৯২১ সালে কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু জমিদারশ্রেণী কর্তৃক শোষিত ও নিপীড়িত বাংলাদেশের গরিব মুসলিম প্রজাদের শিক্ষার্জনের কল্যাণে ও স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে আবারও মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের প্রেতাত্মারা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে।

    সেকুলার মুখোশধারী এরা দিল্লির হিন্দুত্ববাদী শাসকদের এদেশীয় দালাল। এরা বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। এরা ইসলামের কট্টর দুশমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের উৎখাত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

    সংগ্রহ-তারেকুল ইসলাম এর ফেসবুক ওয়াল থেকে।

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলাম খেদাও’ সেকুলারনীতির বাই-প্রোডাক্ট! Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.