হে আল্লাহা এ উদ্রীতে এবং যে তা দড়ান’ করেছে তাকে
বরকত দিন! তখন নাফাদা (বা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! “আর যে এটি নিয়ে এসেছে
তাকেও তিনি বললেন “এবং যে এটি নিয়ে এসেছে তাকেও (বরকত
দিন)
বনু আবাস প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেছেন, এ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল নয় ৷ ওয়াকিদী (র) তাদের
নামের তালিকা উল্লেখ করেছেন ৷ নবী করীম (সা) তাদের বললেন ণ্ন্থ)ন্ট্টট্ণ্ ৰুষ্ “আমি
তোমাদের দশম ব্যক্তি ৷” নবী করীম (সা) তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ (রা)-কে হুকুম করলে
তিনি তাদের (প্রতীকী) পতাকা’ বেধে দিলেন এবং তাদের শিআর ও সাংকেতিক পরিচিতি
(ঈড়ফব) সাব্যস্ত করা হল “ইয়া আশরা ৷
ওয়াকিদী (র) আরো উল্লেখ করেছেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কাছে খালিদ ইবন সিনান
আল আবড়াসী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন (জাহিলিয়্যাত যুগের অধ্যায়ে আমরা তার জীবন
চরিত আলোচনা করে এসেছি) ৷ তারা বলল যে, তার কোন বংশধর নেই ৷ ওয়াকিদী (র)-এর
বর্ণনার আরো রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ দলটিকে সিরিয়া (নাম) প্রত্যাগত কুরায়শী
(তেজারতী) কাফেলার গতিবিধি পর্যবেক্ষণে পাঠিয়েছিলেন ৷ এ বর্ণনা দ্বারা অবশ্য মক্কা বিজয়ের
আগেই তাদের প্রতিনিধিরুপে আগমনের কথা প্রতীয়মান হয় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
বনুফাষারা প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী (র) বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন উমর আল-জুমড়াহী (র)আবু
ওয়াজনাঃ আস সাদী (র) থেকে, তিনি বলেছেন, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তন
ব্লো সে ছিল হিজরী নবম সনে দশের অধিক সংখ্যক সদস্যের বনু ফাযরাে প্রতিনিধি দল
আগমন করল ৷ দলের সদস্যদের মাঝে ছিলেন খারিজ্যহ ইবন হিসৃন ও হারিছ ইবন কায়স
ইবন হিসৃন দলের কনিষ্ঠতম সদস্য ৷ তারা এসেছিলেন দুর্বল শীর্ণ বাহনে করে (পথের দুরত্ব
৩ দৃর্ভিক্ষের কারণে) ৷ জদের আগমনের উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম ধর্মের প্রতি স্বীকৃতি ঘোষণা
প্সা৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কাছে তাদের জনপদের অবস্থা জিজ্ঞেস করলেন ৷ তাদের
স্ফো বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! দেশ সশ্য ফসলহীন হয়ে গিয়েছে, পশুপাল মরে যাচ্ছে,
ৰ্রামস্ত হয়ে পাতাশুন্য হয়ে পড়েছে আর আমাদের পরিবার-পরিজন অনাহারে রয়েছে;
আ আমাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে দুআ করুন! রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বারে উঠে দুআ
দৃআর তিনি বললেন-
আপনার পৃথিবীকে এবং আপনার পশুপালকে বর্যণসিক্ত করুন! আপনার
আপনার মৃত ক্রাপদকে জীবন দান করুন ! হে আল্লাহ্ ! আমাদের সিক্ত
করুন করুণাময় বর্ষণে, সুখকর, সজীব, অভ্রুলে, প্রচুর, নগদ, অবিলঘিত উপকায়ী, অপকারহীন
বর্ষণ দিয়ে ! হে আল্লাহ্! আমাদের বৃষ্টি দিন রহমতের, আযাবের বৃষ্টি নয়; ধ্বংসের নয়,
নিমজ্জনের নয়, বিনাশেরও নয় ৷ হে আল্লাহ্! আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে
আমাদের সাহায্য করুন! বর্ণনাকারী বলেন, আকাশ বৃষ্টি বর্ষাতে লাগল ৷ এক সপ্তাহ যাতে তারা
আকাশ দেখতে পেলেন না ৷ (পরের সপ্তাহে) রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিম্বারে উঠে দৃআ করলেন-
“ইয়৷ আল্লাহ্ ! আমাদের আশেপাশে, আমাদের উপরে নয়; পাহাড় ও টিলার বুকে
উপত্যকার নিম্নভুমিতেও গাছপালার বাগানে বৃষ্টি হোক ৷
ফলে মদীনায় আকাশ থেকে মেঘ কেটে গেল, যেমন করে কাপড় গুটিয়ে ফেলা হয় ৷
প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়া ৷কিদী (র) বলেন, নবী করীম (সা)-এৱ তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তনকালে নবম হিজরীতে
তারা আগমন করেছিলেন ৷ তাদের সদস্য সং ধ্যা ছিল তের ৷ হারিছ ইবন আওফ এদের মাঝে
উল্লেখযোগ্য ৷ নবী করীম (সা) প্রতিনিধি দলের প্রণ্ডে ককে দশ উকিয়৷ (চারশ দিরহাম) করে
কথা সম্মা ৷নী উপহার দিলেন এবং দল নেতা হারিছকে দিলেন বার উকিয়৷ রুপ৷ ৷ তারা তাদের
দেশ দুর্তিক্ষ কবলিত হওয়ার কথা আলোনাে করার তিনি তাদের জন্য এই বলে দৃআ
করেছিলেন ইয়৷ আল্লাহ্! তাদের বর্ষণ সিক্ত করুন ! তারা নিজেদের এলাকার ফিরে গিয়ে
দেখলেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে দিন তাদের জন্য দৃআ করেছিলেন, যে দিনই ঐ এলাকায়
বৃষ্টি হয়েছে ৷
বনুছালাব৷ : প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী (র) বলেন, মুসা ইবন মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম (র)ৰ্নু হল্যেবার জনৈক
ব্যক্তি সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, অষ্টম হিজ্জীতে বহ্সুলুল্লাহ্ (ষ) দ্রিইবৃরানাহ্ থেকে
ফিরে এলে আমরা চারজন লোক তার কাছে উপস্থিত ন্তুদ্র কাং স্মর৷ আমাদের
পশ্চাতে অবস্থানরত স্বগােত্রের প্রতিনিধি দুত; তার৷ ইসলাম ধর্ম জৈ কার নিয়েছে ৷
তিনি আমাদের আপ্যায়ন আতিখেয়তার নির্দেশ দিলেন : আমরা ৰিছুল্লি ঙ্ঘহাম্ করার পর
তার কাছে বিদায় নিতে গেলাম ৷ তিনি বিলাল (বা)
যেভাবে সম্মানী উপহার দিয়ে থাক, এদেরও উপহার দিয়ে দওে! নৌ রুপার গরু’
(রুপার তৈরি থােমুর্তি) নিয়ে এলেন এবং আমাদের প্রতেক্যেৰ্ পাষ্ জ্যি সমপব্রিমাণ
দিয়ে বললেন, এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নগদ দিরহাম (মুদ্রা) যেই ৷ আমরা আমাদের
আবাস ক্ষেত্রে ফিরে এলাম ৷
বনুমুহাৰিব প্রতিনিধি দল প্রসঙ্গ
ওয়াকিদী বলেন, মুহাম্মদ ইবন তলিং (র)আৰু হৃহুঅ্যাং প্লোঙ্গী (ব) মোঃ তিনি
বলেন, দশম হিজ্জীভে ৰিদার হৰেঘ ষম
সদস্যের অন্যতম ছিলেম্