দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তি ও তার জবাব!!
দাওয়াত ও তাবলীগ: দাওয়াতের অর্থ হলো, আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করা। আর তাবলীগ হচ্ছে, আল্লাহর আহকাম এর দিকে মানুষকে আহ্বান করা।
নবী-রাসূলদের মূল দায়িত্ব ছিল দাওয়াত এবং তাবলীগ। নবুয়তের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আম্বিয়া কেরাম (আ.) বা নবীরা যে কাজ করতেন সে কাজের দায়িত্ব পড়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ওপর। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর একটি বাক্য যদি আমাদের কারো জানা থাকে, তা অন্যদের পৌছে দিতে। রাসুল (সা.)-এর এই নির্দেশ পালন করা সব মুসলমানের জন্য জরুরী। দাওয়াত ও তাবলীগ এর জন্য মুসলমানদের এক জামাত বিশ্বব্যপি এ কাজটিই করছে।
আর এই দাওয়াত ও তাবলীগ এর জন্য মুসলমানদের এক জামাত বা এর কার্যক্রম সর্ম্পকে কারো কারো কিছু বিভ্রান্তি, ভুল ধারনা বা অজ্ঞতা রয়েছে। তাই এ সর্ম্পকে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করা হল।
প্রশ্ন: তাবলীগের মূল দাওয়াত ছয় উছুলের মাধ্যমে বিন্যস্ত হয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন কি?
উত্তর: তাবলীগের মূল দাওয়াতকে ছয়টি উছুলে (গুন) বিন্যস্ত করা হয়েছে এবং এর মধ্যেই সব কথা সন্নিবেশিত হয়েছে। কেননা রসূলের (সা.) সাহাবীদের আমলে জিন্দেগী পর্যালোচনা করলে এগুলোই পরিস্ফুটিত হয়। সেগুলো হলো কলেমা, নামাজ, একরামুল মুসলিমিন (তথা মুসলমানের সেবা), এলেম ও জিকির, নাফরুন ফি সাবিলিল্লাহ, তাছিহে নিয়্যাত বা সহীহ নিয়্যত। তবে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মানুষের আত্মিক বা ঈমানী পরিবর্তন। মাল ও আমল আল্লাহর জন্যই কেবলমাত্র নিবেদন করা। সবচেয়ে বড় কথা হলো পৃথিবীতে মানুষ সকল কাজ বুঝে করে আর একমাত্র দাওয়াতে তাবলীগের মেহনত মানুষ করে বুঝতে পারে।
প্রশ্ন: তাবলীগের চিল্লা পদ্ধতি কি ইসলামী শরীয়াতে সম্মত? পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চিল্লায় ঘুরে বেড়ানোর উদাহরণ ইসলামে কিভাবে এসেছে?
উত্তর: তাবলীগের চিল্লা পদ্ধতি ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ কিছু নয়। ইসলামে এর অনেক উদাহরণ রয়েছে। যেমন শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য মাদ্রাসার বিভিন্ন ক্লাসের সময় নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। তাছাড়া তাবলিগের চল্লিশদিনের সময়টি আমরা বরকতপূর্ণ মনে করে থাকি। কারণ আমাদের জন্ম প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন, রক্ত অবস্থায় চল্লিশ দিন থাকে। এই চল্লিশদিন পর গোশতের টুকরায় পরিণত হয়। এর চল্লিশদিন পর হাড্ডি সঞ্চার করা হয়। তার চল্লিশদিন পর তাতে চামড়ার আবরণ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। তাছাড়াও এই চল্লিশদিনের উদাহরণ অন্য প্রেক্ষাপটে আছে যেমন: হযরত ইব্রাহিম (আ.) চল্লিশদিন অগ্নিকুন্ডের মধ্যে শান্তিতে ছিলেন। হযরত মুসা (আ.) চল্লিশদিন তুর পাহাড়ে ছিলেন। হযরত ইউনুস (আ.) চল্লিশদিন মাছের পেটে ছিলেন। হযরত ইউসুফ (আ.) চল্লিশদিন কুয়ার মধ্যে ছিলেন। এ সমস্ত কারণে আমরা উক্ত সংখ্যাটিকে বরকতপূর্ণ মনে করে থাকি। তবে আমরা তাবলিগের কাজে ৩/৭/১০/৪০/৬০/১২০ দিনও বের হই।
আর পরিবার-পরিজন থেকে বিছিন্ন হয়ে চিল্লায় ঘুরার বিষয়টি সম্পর্কে বলতে চাই, আমাদের কেউ বিচ্ছিন্ন থাকে না বরং সবাই পরিবারের খোঁজ খবর নেন। যোগযোগ রাখেন। তাছাড়া যারা মুসলমান তাদের এই বিশ্বাস রাখা উচিত, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে বের হয় আল্লাহ তায়ালা তার কুদরতি ফেরেশতা দ্বারা তাদের হেফাজত করেন।
প্রশ্ন: কোরআনে বলা হয়েছে নিজে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ এবং আহল পরিবার পরিজনদেরকে বাঁচাও। অথচ নিজে পরিবার ও আহলদেরকে পরিশুদ্ধ না করে দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশে তাবলীগে যাওয়া কতটুকু শরীয়াত সম্মত?
উত্তর: একথা ঠিক যে আগে নিজে সংশোধন হতে হবে তার পর পরিবার ঠিক করতে হবে। এর পর আহলদেরকে। কিন্তু এরা সকলেই সংশোধন না হলেও আমরা বাইরে যাই তার কারণ হলো নিজের আত্মিক উন্নতি ও দ্বীন শিক্ষার জন্য। বাইরে না গেলে কোন ব্যক্তির রুহানী পরিবর্তন সম্ভব নয়। দ্বীন শিখতে হলে ঘর ছাড়তে হবে। সকল নবী রাসূলেরা এই কাজ করে গেছেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) নবুওয়াতের পূর্বে দীর্ঘদিন যাবত হিরা গুহায় মেহনত করেছিলেন কিভাবে জাতিকে তাওহিদমুখী করা যায়। তার পর আল্লাহ তাকে নব্যুওয়াতের মত মর্যাদাকর সার্টিফিকেট প্রদান করেন। সুতরাং মেহনত ছাড়া এই পৃথিবীতে কোন কিছুই সম্ভব নয়।
প্রশ্ন: আপনারা কি ধরনের জিকির করেন?
উত্তর: আফজাল জিকির হলো কুরআন তেলাওয়াত। সেটা আমরা করে থাকি। তাছাড়া সকাল-বিকাল তিন তসবীহ পড়ি। একশতবার সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। একশতবার তওবা আসতাগফের ও একশতবার দূরূদে ইব্রাহিম। তাছাড়া চব্বিশ ঘন্টাই আমরা সকল স্থানের প্রয়োজনীয় সব দোয়া পড়ি।
প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন তাবলিগের মধ্যে ব্যাপক ভাবে কুরআনের তাফছীর, হাদীস ও ইসলামী গ্রন্থ পড়তে দেয়া হয় না। বরং কেবলমাত্র ফাযায়েলের উপর কিছু নির্দিষ্ট কিতাব পড়তে দেয়া হয়। সে ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কি?
উত্তর: এ কথা সঠিক নয়। আমাদের মধ্যে কুরআন এর তাফছীর পড়াতে কোন নিষেধ নেই। হাদীস পড়তে কোন নিষেধ নেই। ইসলামী গ্রন্থ পড়তে নিষেধ নেই। তবে যে লোকটি এখনো অ, আ, ক, খ পড়তে শিখেনি। তাকে যদি একটি সাহিত্য গ্রন্থ দেয়া হয় তাহলে সেতো পড়তে পারবে না বরং তাকে দিতে হবে একটি আদর্শলিপি। যাতে সে পড়া শিখতে পারে। তদ্রুপ আমাদের জামায়াতে যে সমস্ত ভাইয়েরা আসেন তারা যাতে দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের পড়া শিখতে পারে তার জন্য সে অনুযায়ী ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে সাদাকাত, মুন্তাখাব হাদীস, হায়াতুস সাহাবা ইত্যাদি গ্রন্থ পড়তে দেয়া হয়। ফাযায়েল অর্থ হলো লাভ। মানুষ যে জিনিসে লাভ দেখে তা পাওয়ার জন্য জীবনও দিয়ে দেয়। সে জন্য তাবলিগের ভাইদের দ্বীনের জ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই ধরনের গ্রন্থ গুলো আগে পড়তে উৎসাহিত করা হয়।
প্রশ্ন: আপনাদের এই সমস্ত ফাযায়েলের কিতাবগুলোতে অসংখ্য কল্প-কাহিনী, দুর্বল হাদীস দিয়ে নাকি ভরা এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করবেন কি?
উত্তর: আমাদের ফাযায়েলের কিতাব গুলোতে কোন কল্প-কাহিনী বা রূপকথা নেই। যা কিছু আছে তা সবই কুরআন, সহীহ হাদীস ও আমাদের মুরুব্বিদের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা। এই সমস্ত গ্রন্থে যদি অসার কথা থাকতো তাহলে তাবলিগের কাজ দিনে দিনে এত প্রসারিত হতো না। সত্যের হাকিকত হলো সে প্রসারিত হবেই। আলোকিত ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও বিশ্বগঠনের রুহানী কথাগুলোই আমাদের গ্রন্থসমুহে বিদ্যমান।
প্রশ্ন: নেতৃত্বের পরিবর্তন সম্পর্কে আপনাদের অভিমত কি?
উত্তর: তাবলিগ গতানুগতিক কোন দল নয় এবং কোন দলেরও নয়। প্রচলিত কোন রাজনীতি আমরা করি না। তবে আমরা কিন্তু রাজনীতি করি। রাজনীতি যেহেতু রাজার নীতি সে হিসাবে আমরা সকল রাজার রাজা যিনি তার নীতি অনুযায়ী চলি বিধায় আমরা আল্লাহর রাজনীতি করি। তাছাড়া আমরা চাই ঈমানদার মানুষেরা শাসন ক্ষমতায় আসুক, সৎ নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, ইসলাম কায়েম হোক। ফজর এবং এশার নামাজে জুমআর মত মসজিদগুলো ভরে যাক। আমরা কেবল দোয়া আর দোয়াই করে যাচ্ছি মেহনতের সাথে। আল্লাহতায়ালা একদিন আমাদের মেহনত ও দোয়ার বরকতে আমাদের রাষ্ট্রে ও পুরা পৃথিবীতে হেদায়েতের হাওয়াকে ছড়িয়ে দিবেন, ইনশা আল্লাহ।
প্রশ্ন: আপনাদের মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদমূলক কোন কাজ করতে কেন দেখা যায় না?
উত্তর: অন্যায় ও খারাপ আলোচনা ও সমালোচনা যত করা হবে তা তত বেশি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিবাদ আমরা নিজেদের সাথে করি। দুনিয়ায় আজ যা হচ্ছে সে ব্যাপারে আমরা মনে করি সবই আমার গোনাহের কারণে হচ্ছে। যে কারণে এসব অন্যায় হচ্ছে। যারা করছেন তাদের পরিবর্তনের জন্য আমরা দোয়া ও মেহনত করছি এবং শেষ রাতেও দোয়া করছি। হাত দ্বারা প্রতিবাদের ব্যাপারে বক্তব্য হলো আমরা হকের মেহনত করে যাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ বাতিল শীঘ্রই চলে যাবে। যেমন অন্ধকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হয় না। বরং মেহনত করে সুইচ অন করলেই অন্ধকার চলে যায়। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়লে অন্ধকার বিদূরিত হয়। তেমনি আমাদের দাওয়াতে একদিন আলোকিত পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন সে আলো থেকে আড়ালে থাকার কেউ থাকবে না।
প্রশ্ন: ইসলামে কোন বৈরাগ্যবাদ নেই। কিন্তু বাড়ীঘর, সমাজ সংসার ছেড়ে যেভাবে আপনাদের কর্মকাণ্ড চলছে তাতে বিষয়টি কি বৈরাগ্যের মত মনে হয় না?
উত্তর: তাবলিগের মেহনত কোন বৈরাগীর মেহনত নয়। তাবিলগ করতে হলে বাড়ি-ঘর, চাকরি-বাকরি, ব্যাবসা-বাণিজ্য চিরদিনের জন্য ত্যাগ করে বনে-জঙ্গলে চলে যেতে হবে এমন নয়। বরং আমরা তো বলি ভাল ছাত্র ভাল রেজাল্ট করবেই। যে সৎ ব্যবসায়ী সে ধনী হবে। তেমনিভাবে যে আল্লাহর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবে সে আল্লাহরই হয়ে যাবে। তখন আল্লাহ তাকে যেভাবে চালাবেন সেভাবেই সে চলবে। সে হবে অন্যান্য মানুষ হতে পরিপূর্ণ ভিন্ন একটি মানুষ। তাই বাড়ি-ঘর চিরদিনের জন্য ত্যাগ করে বনে-জঙ্গলে চলে যাওয়া নয় বরং কিছুদিনের জন্য মসজিদওয়ালা পরিবেশে থেকে সবচেয়ে বড় দ্বীনদার হয়ে যাওয়া তখন তার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয়ে যায়।
প্রশ্ন: তাবলিগের ইজতেমাকে অনেকে হজ্বের সাথে তুলনা করেন। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন?
উত্তর: তাবলিগের ইজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা করা সম্পূর্ণ অন্যায়। কারণ হজ্ব হলো একটি ফরজ ইবাদত। যা না করলে গোনাহগার হতে হয়। কিন্তু তাবলিগের ইজতেমায় আসা ফরজ নয় এবং না আসলে গোনাহগারও হতে হবে না। দুটি বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন। যার একটির সাথে অন্যটির কখনোই তুলনা করা চলে না। হজ্বের মত লোক সমাগম হলেই সেটাকে দ্বিতীয় হজ্ব বলা সমীচীন নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাবলিগের পক্ষ থেকে এধরনের কোন কথা কখনোই বলা হয় না। তবে কোন সাধারণ মুসল্লি যদি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
প্রশ্ন: আপনাদের ফান্ড কি এবং কোথা হতে আসে?
উত্তর: আমাদের ফান্ড হলো আল্লাহ তায়ালার খাজানা বা ভান্ডার। যেহেতু আমাদের মেহনত হচ্ছে নিজের জান ও মাল দিয়ে। সেহেতু সব উম্মতের পকেটেই আমাদের ফান্ড। সুতরাং যে আসবে সে নিজের টাকা খরচ করে খাবে।
আপনারা শুনে অবাক হবেন যে, প্রতি বছর ইজতেমায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ও কাকরাইল মসজিদে দেশী-বিদেশী মেহমানদের খেদমতের ইন্তেজাম আল্লাহ তায়ালার অশেষ অনুগ্রহে সম্ভব হয়। কারণ আমরা বিশ্বাস করি মানুষের কাছে চাওয়া হলো ভিক্ষা। আর আল্লাহর কাছে চাওয়া হলো দোয়া। মানুষের কাছে চাইলে মানুষ রাগ করেন। আর আল্লাহর কাছে না চাইলে আল্লাহ রাগ করেন। সুতরাং যার কাছে চাইলে ইন্তেজাম হবে তার কাছেই আমরা চাই। সবারই উচিত তাঁর কাছে চাওয়া।
প্রশ্ন: আপনাদের দপ্তর বা অফিস কোথায়?
উত্তর: পৃথিবীর সমস্ত উম্মতের দিল বা হৃদয়ই আমাদের দপ্তর। তবে কাকরাইল মসজিদ আমাদের মারকাজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রশ্ন: তাবলিগ কেন নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে?
উত্তর: যেহেতু আমরা আসমানের উপরের কথা বলি আর জমিনের নীচের কথা বলি সেহেতু আমাদের সাথে কারো বিরোধ নেই এবং আমরা কারো পক্ষাবলম্বনও করি না। যত গন্ডগোল হলো জমিনের উপরের নানাবিধ বিষয় নিয়ে। তাই আমরা কোন গন্ডগোলে নেই। আমাদের সাথেও কেউ গন্ডগোল করতে আসেনা।
প্রশ্ন: আখেরী মুনাজাত সম্পর্কে বলুন। পৃথিবীর কোথাও কি এধরনের মুনাজাত হয়?
উত্তর: ইজতেমার ২৫/৩০ মিনিটের আখেরি মুনাজাত আমাদের নীতিগত বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যেহেতু বৃহৎ মজমা এবং মজমার অধিকাংশ মানুষ মুসাফির আর মুসাফিরের দোয়া কবুল হয়। তাছাড়া দেশের প্রধান প্রধান ব্যক্তিদের উপস্থিতি ও মজমার সামগ্রিক বিবেচনায় দীর্ঘ আখেরী মুনাজাত করা হয়। যেখানে দেশ, জাতি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। যেহেতু সবার কথাই মুনাজাতে বলা হয়। সেহেতু সকল পেশার মানুষ আখেরী মুনাজাতে শরীক হওয়ায় এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাবলীগ জামাত সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচারের জবাব জানতে নিচের গ্রন্থগুলো পড়ুন।
০১। তাবলিগ জামাতের সমালোচনা ও জবাব। (৬ মেগা)
-লেখকঃ শায়খুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়া সাহেব।
০২। তাবলীগ জামাতঃ ভিত্তিহীন অভিযোগ ও জবাব। (১.৬ মেগা)
-লেখকঃ মাওলানা মনজূর নোমাণী।
০৩। তাবলিগের প্রশ্নোত্তর। (৩.১৮ মেগা)
– শায়খুল হাদীস মাওলানা শওকত আলী।
তথ্যসূত্র কৃতজ্ঞতায়ঃ
০১। ড. কাজী এরতেজা হাসান, কেন্দ্রীয় তাবলিগ জামায়াতের সদস্য।
০২। মাওলানা জাকির হোসাইন আজাদী, দৈনিক ইত্তেফাক
০৩। বাংলাকিতাব.কম ও অন্যান্য।