Home » ইলমে দ্বীন » দৈনন্দি জীবনে সুন্নাহ্‌র অনুস্বরণ

দৈনন্দি জীবনে সুন্নাহ্‌র অনুস্বরণ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • ১. কোন কিছু আরম্ভ করার পূর্বে-বিসমিল্লা-হ,
    ২. কোন কিছু করার উদ্দেশ্য-‘ইনশা আল্ল-হ’।
    ৩. কোন বিস্ময়কর বিষয় দেখলে-‘সুব‘হা-নাল্ল-হ’।
    ৪. কষ্টে ও যন্ত্রণায়-‘ইয়া- আল্ল-হ’।
    ৫. প্রশংসার বহিঃপ্রকাশে-‘মা-শা-আল্ল-হ’।
    ৬. ধন্যবাদ জ্ঞাপনে-‘জাঝাকাল্ল-হু খাইরা’।
    ৭. ঘুমানোর সময়-‘বিসমিল্লা-হি আল্ল-হুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আ‘হইয়া’ পড়া এবং ডান কাত হয়ে ঘুমানো।
    ৮. ঘুমানোর পূর্বে- ‘সুরাহ মূল্‌ক্’ পড়া।
    ৯. ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর-‘আল-‘হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আ‘হইয়া-না বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্নুশূর’।
    ১০.খানার পূর্বে- ‘দুনো হাত তিনবার ধুয়া এবং একটি কুলি করা’।
    ১১.খানার শুরুতে-‘বিসমিল্লা-হ’।
    ১২.খানার মাঝে মাঝে-‘লাকাল ‘হামদু ওয়া লাকাশ্‌ শুক্‌র’।
    ১৩.খানার শেষে-আল‘হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানা- ওয়া ছাক্ব-না- ওয়া জা‘আলানা মিনাল মুসলিমীন,
    ১৪. কোথাও দা’ওয়াতে খানার শেষে-‘আল্লাহুম্মা আত‘ইম্মান আত্‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বানী ওয়াজা‘আলানী মিনাল মুসলিমীন’।
    ১৫.শৌচাগারে প্রবেশের সময়-‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিক’ বলা এবং বাম পায়ে প্রবেশ করা।
    ১৬.শৌচাগার থেকে বের হতে ডান পায়ে বের হওয়া এবং ‘গুফরানাক’ পড়া।
    ১৭.ওযুর সময় ‘বিস্‌মিল্লাহ’।
    ১৮.ওযুর শেষে ‘আশহাদু আনঁলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া‘হদাহূ লা শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না ছাইয়াদান মু‘হাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রসূলুহ, আল্লাহুম্মাজ‘আলনী মিনাত তাওয়াবীনা ওয়াজ‘আলনী মিনাল মুতাত্বহ্‌হিরীন’।
    ১৯.মসজিদে প্রবেশের সময়-‘আল্লাহুম্মাফতা‘হলী আবওয়াবা র‘হমাতিক, পড়া এবং ডান পায়ে প্রবেশ করা।
    ২০. মসজিদের প্রবেশ করে ‘দু’রকা‘আত তা‘হিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা’।
    ২১. তাকবীরে উলা তথা প্রথম তাকবীরে অংশগ্রহণ করা,( যা ইমাম আল্লাহু আকবার বলে নিয়্যত করার সাথে সাথে করতে হয়, না হয় তাকবীরে উলার ফযীলত পাওয়া যায় না।)।
    ২২.নামাযের শেষে তিনবার ‘আসতাগফিরুল্লাহ’, অতঃপর আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারকতা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম, তিন তাসবী‘হ তথা ৩৩ বার সুব‘হানাল্লাহ, ৩৩বার আল-‘হামদু লিল্লাহ, ৩৩বার আল্লাহু আকবার পরিশেষে শতবার পুরণে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া‘হদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু ইউ‘হয়ী ওয়া ইউমীত ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর’ বলা।
    ২৩.প্রত্যেক ফারয নামাযের পর ‘আয়াতুল কুরছী’ তথা-
    আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বইয়ূম, লা তা’খুযুহূ সিনাতুও ওয়ালা নাওম, লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্ব, মানঁযাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বি-ইযনিহী, ইয়া’লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়া মা খলফাহুম, ওয়া লা ইয়ু‘হীতূনা বি শায়ইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা বিমাশা’, ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ওয়া লা ইয়াঊদুহু হিফযুহুমা, ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আযীম।
    পড়া।
    ২৪. মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময়-‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিক’ পড়া এবং বাম পায়ে বের হওয়া।
    ২৫. রাস্তা-ঘাটে কাউকে দেখলে সালাম দেয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেয়া (এটা ওয়াজিব, না দিলে গুনাহগার হতে হবে)। সালামের সঠিক উচ্চারণ-
    -আস সালামু ‘আলাকুম ওয়া র‘হমাতুল্ল-হি ওয়া বারকা-তুহ
    -ওয়া ‘আলাইকুমুস সালামা ওয়া র‘হমাতুল্ল-হি ওয়া বারকাতুহ।
    ২৬. রস্তার ডান পাশে চলা, নিচের দিকে দৃষ্টি রেখে চলা, চলার পথে কষ্টদায়ক কিছু দেখলে তা রাস্তা থেকে অন্যত্র ফেলে দেয়া।
    ২৭. শপথ নেয়ার সময়-‘ওয়াল্ল-হ/বিল্লা-হ/তাল্লাহ’ (তবে কথায় কথায় কসম বা শপথ দেত নিষেধ আছে)।
    ২৮. হাঁচি দেয়ার পর-আল-‘হামদু লিল্লা-হ।
    ২৯. অন্য কেউ হাঁচি দিলে-ইয়ার‘হামুকাল্ল-হ (এটা বলা এবং জোরে বলা ওয়াজিব, না হয় গোনাহগার হতে হবে)।
    ৩০. কেউ ভাল-মন্দ কুশলাদি জিজ্ঞাসা করলে-‘আল-‘হামদু লিল্লা-হ’।
    ৩১. দু‘আর শেষে ‘আমীন’ বলা।
    ৩২. কোন ধর্মিয় বৈঠক শেষে সুব‘হানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহী সুব‘হানাকাল্লাহুম্ম আশহাদু আলঁলা- ইলাহা ইল্লা আনতাসগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক’ বলা।
    ৩৩. কাউকে ভালোবাসলে ‘লি ‘হুব্বিল্লা-হ’ (আল্লাহর জন্য)।
    ৩৪. কারো সাথে দুশমনি রাখলেও ‘লি ‘হুব্বিল্লাহ’ (আল্লাহ্‌র জন্য)।
    ৩৫. কোন সমস্যা দেখা দিলে ‘তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্ল-হ’।
    ৩৬. পাপের অনুশোচনায়-তাওবাহ তথা ‘আসতাগফিরুল্ল-হ’ বলা।
    ৩৭. অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে বা দেখলে-‘না‘ঊযু বিল্লা-হ’।
    ৩৮. আনন্দদায়ক কিছু দেখলে-‘ফা-তাবারকাল্ল-হ’।
    ৩৯. দূঃখ বা মৃত্যুর সংবাদ শুনলে-‘ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না- ইলাইহি র-জি‘ঊন’।
    ৪০. আযানের ধ্বনি শুনলে মুআয্যিনের সহিত হুবহ আযানের বাক্যগুলো উচ্চারণ করা প্রত্যেক বাক্যের শেষে।
    ৪১. আযান শেষ হলে ‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাযিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাহ ওয়াস সলাতিল ক্বা-য়িমাহ আ-তি মু‘হাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদ্বীলাহ ওয়াব‘আছহু মাক্বামাম মা‘হমূদানিল্লাযী ওয়া‘ত্তাহ ‘হাল্লাত লাহূ শাফা‘আতী ইয়াউমাল ক্বিয়ামাহ ইন্নাকা লা- তুখলিফুর মী‘আদ’ পড়া।
    ৪২. আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তি সময়ে দু‘আ করা।
    ৪৩.রুগি দেখতে যাওয়া, সাথে কিছু হাদিয়া নিয়ে যাওয়া, রুগির জন্য দু‘আ করা, রুগির কাছে দু‘আ চাওয়া।

    (আমাদের সমাজে এখনো পর্যন্ত এমন লোকও আছে যারা দু‘আ করা আর পড়ার পার্থক্যটুকু বুঝে না, যার কারনে দেখা যায় যে, তারা যে কোন দু‘আয়ই হাত উঠাতে শুরু করে। মনে রাখতে হবে যে সব দু‘আ পড়ার কথা বলা আছে সেসব দু‘আতে হাত উঠাতে হয় না। শুধুমাত্র দু‘আ করা সমেই হাত উঠানো যায়)

    এরকম আরো হাজারো আমল রয়েছে যার উপর আমল করে আমরা নিজ জীবনকে আলোকিত করতে পারি, কাল ময়দানে মা‘হশারে রসূলের (সল্লাল্ল-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শাফা‘আত বা সুপরিশ পেতে পারি।

    মহান রব্বুল ‘আলামীন আমাদেরকে রসূল (সল্লাল্ল-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সুন্নাহ অনুসারে ‘আমল করার তাউফীক্ব দান করুণ। আমীন
    দু‘আ প্রার্থী

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ দৈনন্দি জীবনে সুন্নাহ্‌র অনুস্বরণ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.