দ্বীনী আলোচনার পূর্বে বিসমিল্লাহ এবং জুমার খুতবার পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়া কেমন?
যেকোনো ভালো কাজ বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা যায়। তবে দু’এক জায়গা এর ব্যতিক্রম। যেমন-দ্বীনী আলোচনা এবং খুতবার পূর্বে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়াটা হাদীস শরীফ এবং সাহাবা, তাবেয়ীদের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়; বরং এক্ষেত্রে সুন্নত নিয়ম হল, হামদ ও সালাতের মাধ্যমে শুরু করা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম দ্বীনী আলোচনা হামদ ও সালাতের মাধ্যমে শুরু করতেন। তাই ভালো কাজ বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করতে হয় এই মূলনীতি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; বরং ওয়াজ আল্লাহর হামদ দ্বারা শুরু করা, আযান এবং নামায আল্লাহু আকবার বলে শুরু করাই নিয়ম। এক্ষেত্রেও ব্যাপক নিয়ম অনুসরণ করে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া ঠিক হবে না। ফকীহ ইবনে নুজায়েম রাহ. আলবাহরুর রায়েক কিতাবে (২/১৪৯) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ.-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, খুতবার পূর্বে আস্তে করে আউযুবিল্লাহ পড়া উচিত। তবে এ বিষয়ে হাদীসের দলীল পাওয়া যায়নি। তাই এক্ষেত্রে হামদ ও সালাত দ্বারা শুরু করা উচিত।
সুনানে ইবনে মাজাহ ১/১৩৬; সহীহ ইবনে হিব্বান ১/১৭৩; মুসনাদে আহমদ ২/৩৫৯;সুনানে নাসাঈ পৃ. ৪৯৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৮৪৯; ইতহাফুস সাদাত ৩/৪৬৭; মুসলিম ১/২৮৩;যাদুল ১/৪৩১; দালাইলুন নবুওয়াহ ২/৫২৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৪৮;আততারগীব ওয়াততারহীব ৩/২৩৩; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/১৭৮; ইলাউস সুনান ৮/৭২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪৬; আলমুহাল্লা ৩/২৬২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৩/৭৯
সম্পর্কিত পোস্ট:
বহুতল ভবনের নিচ তলায় ইমাম মুসল্লিসহ আছেন। আর এর বরাবর- নামাযে সুরা ফাতেহার পর তিন তসবীহ পরিমান চুপ থাকলে করনীয়
- অনেককে দেখা যায়, তারা নামাযে ইমামের আগে আগে রুকুতে বা
- ক) নামাযের জামাত শুরু হওয়ার সময় ইকামত কখন দিবে এবং
- জুমার দ্বিতীয় আযানের জওয়াব দেওয়া ও দুআ পড়ার ব্যাপারে শরীয়তের
- মাসবুক ব্যাক্তি ইমামের সাথে যদি শুধু ডান দিকে ভুলে সালাম
- আমাদের মহল্লার মসজিদটি বেশ বড়। জুমআর নামায ছাড়া অন্য কোনো
- মাঝেমধ্যে আমি নামাযের কোনো রাকাতে একটি সিজদা করে অপর সিজদাটি
- প্রশ্ন : আমি প্রতিদিন বাদ আসর কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করি
- ক) ফরয নামাযের শেষের দুই রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ভুলে
- আমার মাঝে মাঝে এমন হয় যে, ফজরের সময় মসজিদে গিয়ে
- যদি নামাযী ব্যক্তির সামনে কোনো সুতরা না থাকে এবং এ
- সালাতুত তসবীহ নামাযের প্রমান, ফযিলত, ও পড়ার নিয়ম
- আমি কয়েকদিন আগে নামায সংক্রান্ত একটি পুস্তিকা পড়েছি। তাতে সিজদার
- আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব একদিন ইশার নামাযে প্রথম বৈঠক না
- মসজিদের ইমাম সাহেব মাসআলার আলোচনায় বললেন, নামাযে কেরাতের তারতীব ঠিক
- নামাযের ফযীলত সংক্রান্ত ভিত্তিহীন কিছু বিষয়
- আমার বাড়ি মসজিদের একপাশে এবং মসজিদের আরেক পাশে বাজার। তাই
- আমরা জানি নামাযের ভিতর মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা ফরয। কোনো
- হায়েয অবস্থায় মহিলারা আযানের জবাব দিতে পারবে কি
- কয়েকদিন পূর্বে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব এশার নামাযে সাহু সিজদা
- আমার জামায় একদিন কিছু রক্ত লাগে। তখন জামাটি আমি পানি
- অনেক সময় নামাযের রাকাত নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাই। চেষ্টা করেও
- আমি জানি যে, হানাফী মাযহাবে ফজরের নামায ফর্সা হওয়ার পর
- আমি প্রায় দুই সপ্তাহ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। জ্বরের তীব্রতায়
- আমার জামার নিচের অংশে এক শিশুর পেশাব লেগেছিল। তখন জামাটি
- গতকাল আসরের নামাযে প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার সময় ভুলে আশহাদু
- নামাযে মহিলাদের জন্য কান ঢেকে রাখা আবশ্যক কি না
- নামাযে লম্বা কেরাত পড়ার সময় শুরুতে বড় এক আয়াত পরিমাণ
- নামাযে সুরা ফাতেহার পর তিন তসবীহ পরিমান চুপ থাকা