মাওলানা থানভী (র) বলেছেনঃ ভক্তি-বিশ্বাসের উপর যাবতীয় কাজ-কারবার নির্ভরশীল ।
লক্ষ্য করুন, বাবুর্চি খানা পাক করে সামনে হাজির করে। আর সেই খানা শুধু তার প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তিতে খেয়ে নেয়া হয়। অথচ খাদ্যে বিষ মিশানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া চলে না। অনেক সময় এরূপ ঘটেও।
অথচ সর্বক্ষেত্রে এর কোন আশংকাই করা হয় না। একইভাবে কর্মচারীর প্রতি বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে বণিক সম্প্রদায়ের কোটি কোটি টাকার কারবার চালু রয়েছে। অথচ কোন কোন সময় কর্মচারীরা বহু মাল আত্মসাৎত্ত করে ফেলে।
তদ্রূপ কর্মচারী দ্বারাই রাজার রাজত্ব চলে। দ্বীনের (دين) যাবতীয় কার্যকলাপও তদ্রূপ ভক্তি-আস্থার মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়। যেমন—কুরআন শরীফকে কুরআন রূপে স্বীকার করা আলিমের প্রতি বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল । বর্তমানের আলিমদের বিশ্বাস পূর্ববর্তী আলিমগণের উপর, তাঁদের আস্থা সাহাবা কিরামের উপর।
আর সাহাবীগণ আস্থা রেখেছেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উপর। সুতরাং প্রমাণ হল— দ্বীনী (دين) হোক কিংবা দুনিয়াবী যাবতীয় কার্যকলাপ ভক্তি-বিশ্বাস এবং পূর্ণ আস্থার ভিত্তিতে সম্পাদনশীল। অতএব প্রত্যেক দ্বীনী (دين) বিষয়ে জনসাধারণের প্রমাণ তালাশ করা ভুল।