নবী করীম (না)-এর ঐ সকল গুণাগুণের বিবরণ,যেগুলেশ্ব পুর্ববর্তী
নবীগণের বরাতে প্রাচীন গ্রন্থসমুহে উদ্ধৃত হয়েছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর জন্মের পুর্বে প্রকাশিত শুভ লক্ষণসমুহের বিবরণে আমরা এ বিষয়ে
বেশ খানিকটা আলোচনা করেছি ৷ আর এখানে আমরা তার শ্রেষ্ঠাংশ উল্লেখ করছি ৷ ইমাম
বুখারী ও বায়হাকী (এখানে উল্লেখিত ভাষ্য বায়হাকীর) ফুলায়হ ইবন সুলায়মান আতা
ইবন ইয়াসার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিন বলেছেন, একবার আবদৃল্লাহ্ ইবন আমরের সাথে
সাক্ষাৎ হলে আমি র্তাকে বললাম, তাওরাতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বর্ণনা সম্পর্কে
আমাকে বলুন ৷ তখন তিনি বললেন , হী; আল্লাহ্র কলম, আল ফুরকানে (অর্থাৎ কুরআনে)
তার যে সকল বিশেষণ বর্ণিত হয়েছে, তাওরাতে র্তাকে তার কতক বিশেষণে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ যেমন
“হে নবী ! আমিতাে তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষীরুগে এবং সুসংবাদদাতা ও সতবকািরীরুপে
(৩৩ আহযাব : ৪৫) ৷ প্
এবং উঘীদের আশ্রয়স্থুলরুপে; তুমি আমার বান্দা ও রাসুল, তোমাকে আমি আল
মুতাওয়াক্কিল’ (ভরসাকারী) নামে অভিহিত করেছি, যে কর্কশভাষী নয় এবং হাটে বাজারে
শোরগােল ও কােলাহলকারী নয়, মন্দ আচরণকে মন্দ আচরণ দ্বারা প্রতিহত করে না; বরং
ক্ষমা ও মার্জনা করে, তার দ্বারা বক্র মিল্পাতকে সোজা না করে আমি তাকে মৃত্যু দান
করবনা ৷ অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহআল্লাহ্ ট্রুছাড়া কোন উপাস্য নেই বলা পর্যন্ত ৷ তার দ্বারা
আমি অন্ধ চােখসমুহ, বধির কানসমুহ এবং আচ্ছাদিত হৃদয়সমুহ্ আবরণমুক্ত করব ৷ আতা
ইবন ইয়াসার বলেন, এরপর আমি হযরত কাব আহ্বারের সাক্ষাৎ পেয়ে র্তাকে এ বিবরণ
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন এই বিবরাণর সাথে তার বিবরণের একটি বর্ণেও অমিল ছিল
না ৷ তবে কাব চোখ শব্দটি (অন্ধ বিশেষণ ছাড়া) উল্লেখ করলেন ৷ বুখারী ও আবদুল্লাহ্ ইবন
সালিহ হিলাল ইবন আলী সুত্রে ঐ সনদে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ ছাড়া আবদুল্লাহ্
ইবন সালাম (রা) সুত্রে ইমাম বুখারী হাদীসখানিকে তালীকরুপে উল্লেখ করেছেন ৷ আর
বায়হাকী ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) সুত্রে পুর্বোল্লেখিত
আবদুল্লাহ্ ইবন আমরের অনুরুপ হ ড়াদীস বর্ণনা করেন যে, আতা ইবন য়াসার বলেন, আমাকে
আল্লায়হী অবহিত করেছেন যে, তিনি কাব আল আহবারকে আবদুল্লাহ ইবন সালামের ন্যায়
বলতে শুনেছেন ৷ অন্য একটি সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) থেকে হাদীসখানি বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইমাম তিরমিষী যায়দ ইবন আরখম আততায়ী আল-বসরী আবদুল্লাহ্ ইবন
সালামের দাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাওরাতে লিখিত আছে, মুহাম্মাদ এর
সাথে (পাশে) ঈসা ইবন মরিয়মকে সমাহিত করা হবে ৷ এরপর আবু মাওদুদ বলেন, নবী গৃহে
একটি কবরের স্থান সংরক্ষিত রয়েছে ৷ তারপর তিরমিষী বলেন, এই হাদীসখানি হাসান’
স্তরের ৷ আয্যাহ্হাক এমনই বলেছেন ৷ ইনি যাহ্হাক ইবন উছমান আল মাদানী নামে বিখ্যাত ৷
আমাদের শায়খ আল হাফিয আলু মিয্যী তার আল আতরাফ’ গ্রন্থে ইবন আসাকিরের বরাতে
এমনটিই বর্ণনা করেছেন যে, তিনি তিরমিযীর অনুরুপ বলেছেন ৷ তারপর তিনি বলেন, এই
যাহ্হাক হলেন যাহ্হাক ইবন উছমানেরও পুর্ববর্তী অন্য এক শায়খ ৷ ইবন আবু হাতিম তার
পিতার বরাতে তাকে উছমান নামধারীন্থদর অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন ৷ এই হাদীসখানি
বর্ণিত হয়েছে আবদুল্লাহ ইবন সালাম ও আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস সুত্রে ৷
প্রথমােক্তজন ইয়াহ্রদীদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন, পরে ঈমান আনয়ন করে এবং এ বিষয়ে
দ্বিতীয়ােক্তজ্যনর অবগতি ছিল ঐ দুই বোঝা কিতাব থেকে, যা তিনি ইয়ারমুকেৱ দিন লাভ
করেছিলেন ৷ তিনি আহ্ল কিতাবদের সাথে এ সম্বন্ধে আলোচনা করতেন ৷ এ বিষয়ে রিওয়ায়াত
সমুহের অপর উৎস হচ্ছেন কাব আল আহবার ৷ তিনি এ বিষয়ে পুর্ববর্তীদের বর্ণনা ও উক্তি
সন্বন্ধেই কেবল জ্ঞাত ছিলেন না, তাতে বিদ্যমান সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি, পরিবর্তন ও বিকৃতি
সম্বন্ধেও সম্যক জ্ঞাত ছিলেন ৷ তবে এসব তিনি তেমন কোন পরিবর্ভুর্ত্যৰু, পরিমার্জন ও মন্তব্য
ছাড়াই হুবুহু বর্ণনা করতেন ৷ সুতরাং অনেক পুর্বসুরী রাবী এ সকল বর্ণনার প্রতি সুধারণাবশত
নির্ধিধায় তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অথচ এগুলো আমাদের কাছে যে সকল প্রমাণিত সভ্য
রিওয়ায়াত রয়েছে তার পরিপহী, কিন্তু এ ব্যাপারেই সচেতন নন ৷ ণ্
উপরন্তু এ বিষয়টিও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন যে পুর্ববর্তীদের অনেকেই তাওরাত বলতে
ইয়াহুদীদের নিকট পঠিত হয় এমন যে কোন ধর্মগ্রন্থকে বুঝে থাকেন, বরং এর থেকেও
ব্যাপকতর অর্থেও তারা এ শব্দটিকে ব্যবহার করে থাকেন, যেমন কুরআন বলতে বিশেষভাবে
আমাদের ধর্মগ্রন্থকে বুঝায়, তবে অন্য ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ হয়ে থাকে, যেমন বুখারী শরীকে
রয়েছেং
ব্লু,ব্রা ৷; হযরত দাউদ (আ) এর জন্য কুরআন’ সহজপাঠ্য করে দেয়৷ হয়েছিল, তাই তিনি
তার গবাদিপশুদের ব্যাপারে নির্দেশ দিতেন যেন ওগুলো চারণক্ষেএ চরে যেড়ায় ৷ এতে তিনি সে
সময়র্টুকুর অবসর পেতেন যেটুকু কুরআন (তাওরাত) তিলাওয়৷ ৷ত ব্যয় করতেন ৷
এ বিষয়টি অনাএ বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে ৷ আল্পাহ্ই অধিক জ্ঞাত ৷ বায়হাকী হাকিম
উম্মুদৃ দারদ ৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি হযরত কা ব
আল-আহবারকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা তাওরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কী বিবরণ পান?
তিনি বললেন, সেখানে আমরা পইি-তিনি মুহাম্মদের আল্লাহুর রাসুল তার উপাধি
আলমুতাওয়াক্কিল (ভরসাকারী) তিনি কঠোর ও কর্কশভাষী নন, বাজারে বাজারে
শোরগােলকা ৷রীও নন, তাকে হিদায়ীতের চাবির্সমুহ প্রদান করা হয়েছে যাতে আল্লাহ তার দ্বারা
অন্ধ চােখসমুহকে দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন ও বধির কানসমুহ্কে শ্রবণ শক্তিসম্পন্ন করেন এবং বক্র
জিহ্বাসমুহরুক সোজা করতে পারেন যাতে তারা এই মর্মে সাক্ষ্য দেয় যে, এক অ ৷ল্লাহ্ ব্যতীত
কোন উপাস৷ নেই, তার কোন শরীক নেই ৷ আর তিনি মযলুম ও অসহায়কে সাহায্য ও রক্ষা
করেন ৷ এছাড়া ইউনুস ইবন বুকায়র হযরত আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সম্পর্কে ইনজ্যিল রয়েছে যে,৩ তিনিকঠোর কিংবা কর্কশভ৷ ষী নন, বাজারে বাজারে হৈ চৈ ও
কোলাহলকারী নন, মন্দের প্রতিদান তদ্রপ মন্দ দিয়ে দেননা, বরং তিনি ক্ষমা ও মার্জনা করেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়্ান কায়স আল বাজালী মুকাতিল ইবন হায়া৷ন সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা হযরত ঈসা ইবন মরিয়মের কাছে এ মর্মে ওহী প্রেরণ
করলেন, আমার নির্দেশ পালনে তৎপর ও সত্যনিষ্ঠহও-, একে হালকাভাবে নিও না ৷ হেন্
পুরুষাসক্তিমুক্ত পবিত্র নারীর পুত্র ! আমার নির্দেশ শুন এবং আনুগত্য কর, আমিভাে তোমাকে
কোন পুরুষ ব্যতীত সৃষ্টি করেছি এবং তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন বানিয়েছি ৷ সুতরাং
তুমি আমারই ইবাদত করবে এবং আমারই উপর ভরসা রাখবে ৷ আর সুরানবাসীদের
সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে, আমি পরম সত তা স্বাধিষ্ঠ বিশ্বধাতা, আমার কোন লয় নেই ৷ আর
তোমরা আরবী নবীর সতায়ন করবে, যিনি নব উটের মালিক, বর্মধারী, পাগড়ি, পাদৃকা ও
ছড়ির অধিকারী; তার মাথায় চুল ঈষৎ কোকড়ানাে, ললাট প্রশস্ত ও মসৃণ, ভ্রুদ্বয় সংযুক্ত প্রায়,
চক্ষুদ্বয় ডাপর ও টানাটানা, নাসিকা উন্নত , গণ্ডদ্বয় মসৃণ, দাড়ি ঘন ৷ তার মুখমন্ডলের ঘাম যেন
মুক্তোদানা, তার দেহের ঘ্রণি (যেন) সৌরভময় মেশক , তার গ্রীবা দেশ যেন রুপার জগ, তার
হাসুলিয় হড়াড়ে যেন রহমান গলিতস্বর্ণ, তার বুকের মধ্যন্থল থেকে নাভি পর্যন্ত প্ৰলন্বিত
কেশরেখা যা কর্তিত বৃক্ষশাখার ন্যায় ৷ এ ছাড়া তার বুকে ও পেটে কোন পর্শম নেই, ভরাট ও
কোমল হাতের তালু ও পায়ের পাতায় অধিকারী, লোক সমাবেশে থাকলে উচ্চতায় তাদেরকে
ছাপিয়ে যান, যখন ছুাটেন মনে হয় যেন তিনি প্রস্তরখণ্ড থেকে পা টেনে তৃলছেন এবং
ঢালুভুমিংত নামছেন, স্বল্প সংখ্যক সন্তানের অধিকারী ৷
হাফিয বায়হাকী ওয়াহ্ব ইবন মুনাবৃবিহ আল ইয়ামযী থেকে তার সনদে বর্ণনা করেন ৷
তিনি (ওয়াহ্ব) বলেন, আল্লাহ তা আলা যখন হযরত মুসা (আ)-কে নিকট সান্নিধ্যে নিয়ে
অন্তরঙ্গ আলাপ করলেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক, তাওরাতে আমি এমন
এক উমতেরউল্পেখ পাই, যারা মানুষের কল্যাণার্থে সৃষ্ট, যারা সত্কাজের নির্দেশ দান করবে
এবং অসৎ ও গর্হিত কাজ থেকে বাৱণ করবে এবং আল্লাহর ট্রুপ্রতি ঈমান পোষণ করবে, আপনি
তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ আল্লাহ বললেন, তারা হল আহমদ (না)-এর উমত ৷ তখন
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক৷ তাওরাতে আমি এমন এক উমতের উল্লেখ পাই
সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ উমত, কিয়ামতেব দিন সর্বাগ্নগামী তাদেরকে আপনি আমার উমত করে
দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমাদের উমত ৷ তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক ৷ তাওরাতে
আমি এমন এক উমতের উল্লেখ পাই, যাদের ধর্মগ্রন্থ হয়ে তাদের বুকে তারা তা মুখস্থু পড়বে ৷
অথচ তাদের পুর্বের উমতগণ কষ্ঠস্থু না করে তাদের ধর্মগ্রন্থসমুহ দেখে দেখে পড়ত, আপনি
তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমদের উমত ৷ মুসা বললেন, হে
আমার প্রতিপালক৷ তাওরাতে আমি এমন এক উমতের উল্লেখ পাই, যারা প্রথম ও শেষ
ধর্মগ্রন্থকে বিশ্বাস করবে এবং গােমরাহীর হোতাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, এমন কি তারা
মহামিথুদ্রক কানা দাজ্জালের বিরুদ্ধেও লড়বে, আপনি তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ তিনি
বললেন এরা হল আহমদের উমত৷ তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক৷ তাওরাতে আমি
এমন এক উম্মতে তর উল্লেখ পাই, যারা তাদের দানসাদ্কাসমুহ নিজেরাই ভক্ষণ করবে, অথচ
তাদের পুর্ববর্তীদের কেউ যখন সাদকা করত, তখন একটি অগ্নিকুণ্ড পাঠাতেন এবং তা এই
সাদকাকে গ্রাস করত, আর যদিত ৷আল্লাহ্র কাছে গৃহীত না হত তাহলে আগুন তার
নিকটবর্তী হত না, তাদেরকে আমার উমত করে দিন ৷ আল্লাহ্ বললেন, তারা হল আহমদের
উমত ৷ মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক তাওরাতে আমি এক উম্মা৩ র উল্লেখ পইি,
যাদের কেউ যখন কোন মন্দ কর্মে উদ্যত হয় তখন তা লিপিবদ্ধ করা হয় না-এরপব যদি সে
তা করে তখন তা একটি পাপরুপে লিপিবদ্ধ করা হয় ৷ পক্ষান্তরে তাদের কেউ যখন কোন ভাল
কাজে উদ্যত হয় তাহলে তা কাজে পরিণত করার পুর্বেই তা একটি ণ্নক আমলরুপে লিখিত
হয় ৷ আর যদি যে তা কাজে পরিণত করে তাহলে তা দশগুণ থেকে সাতশ’গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে
দেয়৷ হয় ৷ আপনি তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমদের উস্মত ৷
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রদিপালক তাওরাতে আমি এমন এক উম্মতের উল্লেখ পাই,
যারা তাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়াদানকারী এবং প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সাড়াপ্রাপ্ত,
আপনি তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন ৷ তিনি বললেন, তারা আহমদের উষ্মত ৷ ওয়াহ্ব বিন
মুনাবৃবিহ হযরত দাউদ (আ) ও তার প্রতি ওহীরুপে প্রেরীত যাবুরের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন-
(হযরত দাউদকে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা বলেন) হে দাউদ ৷ তোমার পর এমন একজন
নবী আসবেন, র্যার নাম হবে আহমদ ও মুহাম্মদ ৷ তিনি আসবেন সত্যবাদী ও বরণীয়রুপে ৷
আমি কখনও তার প্রতি রুষ্ট হবো না, আর তিনিও কখনও আমাকে রুষ্ট করবেন না ৷ আমার
নাফ্যামানী করার পুর্বেই আমি তার অগ্ন পশ্চাত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ তার উম্মত
হল অনুগ্রহপ্রাপ্ত তাদের আমি এমন সব নফল (অতিরিক্ত) ইবাদত-বন্দেগী দান করব যা
ইতিপুর্বে নবীদেরকে দান করেছি ৷ আর তাদের উপর ঐ সকল ফরয বিধান (অত্যাবশ্যকীয়)
আরোপ করেছি যা (ইতিপুর্বে) নবী-রাসুলদের উপর আরোপ করেছি ৷ ফলে তারা কাল
কিয়ামতের দিন নবীদের নুরের ন্যায় (উজ্জ্বল) নুর নিয়ে উপস্থিত হয়ে ৷ আর তার কারণ হল
আমি তাদের উপর প্রত্যেক নামায়ে আমার জন্য বিশেষভাবে পবিত্রত৷ অর্জ্যাকে অপরিহার্য করে
দিয়েছি, যেমন তাদের পুর্বে নবীদের জন্য করেছিলাম ৷ আর আমি তাদেরকে জানাবতের
গােসলের নির্দেশ দিয়েছি যেমন তাদের পুর্বে নবীদেরকে দিয়েছি, তাদেরকে হজের নির্দেশ
দিয়েছি যেমন তাদের পুর্বের নবীদের দিয়েছি ৷ তাদেরকে জিহাদের নির্কো দিয়েছি যেমন
তাদের পুর্বের রাসুলদ্বেয়কে দিয়েছি ৷ হে দাউদ আমি মুহাম্মদ (সা) ও তার উম্মতকে অন্য
সকল উন্মতের উপর অধিকতর মর্যাদা সম্পন্ন করেছি ৷ আর যে মুহাম্মদ (না)-কে অবিশ্বাস
করবে কিৎব৷ তার আনীত কিতাবকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং আমার কিতাবকে উপহাস করবে
আমি তাকে কবরে মর্মন্তুদ শাস্তি প্রদান করব আর আযাবের ফেরেশতাগণ তার মুখমণ্ডল ও
পশ্চাৎদদেশে আঘাত করতে করতে তাকে কবর থেকে পুনরুথিত করবে, তারপর আমি তাকে
জাহান্নামের নিম্নতমুস্তরে প্রবেশ করার ৷
হাফিয বায়হাকী আবুল ফাত্হ শরীফ আল উমরী সুত্রে মুহাম্মাদ ইবন জুবায়র বিন
মুতইম থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আমার পিতা জুবায়র ইবন মুতইমকে
বলতে শুনেছি, আল্লাহ যখন তার নবীকে নবুওয়াত দান করলেন এবং মক্কায় তার প্রচারিত দীন
প্রকাশ পেল সে সময় আমি (একবার) শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হলাম ৷ অতঃপর আমি য়খন
বুসরায় উপনীত হলাম তখন আমার কাছে খ্রিস্টান একটি দল এসে বলল, তুমি কি (মক্কার)
হারাম এলাকার অধিবাসী? আমি বললাম, হী ৷ তারা বলল, তুমি কি তোমাদের নবুওয়াতের
দাবিদার ব্যক্তিটিকে জান? আমি বললাম, হী ৷ তিনি বললেন, তখন তারা আমার হাত ধরে
আমাকে তাদের একটি মঠে ঢুকালো যেখানে বহু প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্য রক্ষিত ছিল ৷ তখন তারা
আমাকে বলল, লক্ষ্য করে দেখ তো, এগুলোর মধ্যে কি তোমাদের মধ্যে প্রেরিত এই নবীর
প্রতিকৃতি আছে? তখন আমি বললাম, (এখানেতে তা আমি) তার প্রতিকৃতি দেখছিনা ৷ তখন
তারা আমাকে পুর্বের চাইতে বড় একটি মঠে প্রবেশ করলে, আমি তখন দেখতে পেলাম
সেখানে পুর্বের উপসনালয়েরপ্ চাইতে অধিক সংখ্যক ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি ৷ তখন তারা আমাকে
বলল, এবার তুমি লক্ষ্য কর, তার কোন প্রতিকৃতি দেখতে পাও কি না ৷ তখন আমি লক্ষ্য
করলাম এবং হঠাৎ একস্থানে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতিকৃতি দেখতে পেলাম, অরুপ অবিকল
হযরত আবু বকরের প্রতিকৃতি, তিনি তার পশ্চাতে অবস্থান করছেন ৷ তারা আমাকে বলল,
তুমি কি তার প্রতিকৃতি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হী ৷ তারা তখন (তার প্রতিকৃতিরি প্রতি
ইঙ্গিত করে) বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ইনি তোমাদের নবী আর এ হলো তার পরবর্তী
খলীফা ৷
আতৃ-তড়ারীখে ইমাম বুখারী তার সনদে মুহাম্মদ সুত্রে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তার বর্ণিত ভাবে রয়েছে-তখন তারা বলল, ইনি ব্যতীত এমন কোন নবী ছিলেন না
যার পর অন্য নবী আসেননি ৷ এ বিষয়ে আমরা আমাদের তাফসীরগন্থে সুরা আরাফের এই
আঘাতের ব্যাখ্যায় :
“যারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উমী নবীর, যার উল্লেখ তাওরাত ও ইনজিলে, যা তাদের
নিকট আছে তাতে লিপিবদ্ধ, যে তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করে ও অসৎকাজে ধারণ
করে’ (৭ আবাফ ১৫৭) ৷
ঐ হাদীসখানি উল্লেখ করেছি যা বায়হাকী ও অন্যরা হযরত আবু উসামা বাহিলী
হিশাম ইবনুল আস সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এতে তিনি বলেন যে, ইসলামের দাওয়াত
দেয়ার উদ্দেশ্যে জনৈকা কুরায়শীর সাথে আমি রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের দরবারে প্রেরিত
হলাম ৷ এরপর তিনি তার সাথে তাদের সাক্ষাতের কথা এবং তারা যখন আল্লাহ্কে স্মরণ
করলেন তখন তার রাজকীয় অতিথিশালায় অবস্থান করালেন ৷ তারপর তিনদিন পর তাদেরকে
ডেকে পাঠালেন, তারপর বিশালাকৃতির সুগন্ধিপাত্রের ন্যায় (অ্যালবাম জাতীয়) কিছু একটা
আনালেন যার মাহ্ঝ দরজা বিশিষ্ট ছেটি ছেটি খোপের মত জ্জি, আর সেগুলির মাঝে ব্লেশমের
টুকরো কাপড়ে হযরত আদম (আ) থেকে মুহাম্মদ (সা) পর্যন্ত সকল নবীদের প্রতিকৃতি, তখন
তিনি একটি একটি ছবি বের করে তাদেরকে দেখাতে লাগলেন এবং তাদেরকে তাদের পরিচয় ,
অবহিত করতে লাগলেন ৷ এভাবে তিনি তাদেরকে প্রথমে আদম, তারপর নুহ তারপর
ইব্রাহীম (আ)-এর প্রতিকৃতি বের করে দেখালেন ৷ তারপর তড়িঘড়ি করে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্ৰতিকৃতি বের করতে চাইলেন ৷ রাবী বলেন, তারপর তিনি অপর একটি দরজা
থুললেন, হঠাৎ দেখা গেল তাতে একটি শুভ্রপ্রতিকৃতি, আল্লাহ্র কসম, তা ছিল রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্রতিকৃতি ৷ তিনি বললেন, তোমরা কি একে চিন? আমরা বললাম, হী ৷ ইনিই
আল্লাহর রাসুল (সা) ৷ হিশাম বলেন, তখন আমরা কেদে ফেললাম, আর আল্লাহ্ সাক্ষী, তিনি
কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর এসে বললেন, আল্লাহ্র কসম, তিনিই তিনি! আমরা বললাম,
ইড়া-আপনি যেমন তাকে দেখছেন তিনিই তিনি ৷ এরপর তিনি বেশ কিছুক্ষণ সেই প্রতিকৃতির
দিকে তাকিয়ে বললেন, শুনে রেখো তার প্ৰতিকৃতিটি ছিল সর্বশেষ খোপে, জ্যি তোমাদের
তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি তা দ্রুত বের করেছি ৷ তারপর তিনি হাদীসের
অবশিষ্টাৎশ উল্লেখ করেছেন যাতে তার অন্যান্য নবীদের প্রতিকৃতি বের করা, এবং তাদের
(দু’জন)-কে সেগুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে ৷ আর হাদীসের
শেসাংশে রয়েছে-আমরা তাকে বললাম, এই সকল প্ৰতিকৃতি আপনি কোথায় পেলেন?
আমরাতাে দেখতে পাচ্ছি এতে নবীদের হুবহু প্রতিকৃতি বিদ্যমান ৷ কেননা, আমরা আমাদের
নবী (আ) প্রতিকৃতিকে তারই মত দেখলাম ৷ তখন তিনি বললেন, হযরত আদম (আ) তার
রবের কাছে বর্ণনা করেছিলেন যেন তিনি তার সন্তানদের মধ্যকার নৰীদেরকে (প্রতিকৃতিকে)
তাকে দেখিয়ে দেন ৷ তখন তিনি তার কাছে তাদের প্ৰতিকৃতিসমুহ অবতারিত্ত করলেন, আর
সেগুলি অস্তাচলের নিকট হযরত আদমের ভাণ্ডারে রক্ষিত ছিল ৷ এরপর যুলকারনড়ায়ন সেগুলিকে
বের করে দানিয়ালের নিকট হন্তন্তেরিত করেছিলেন ৷ তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম,
তোমরা শুনে ব্লেখো, এখন আমার মন এতে পুর্ণ সন্তুষ্ট যে আমি আমার রাজ্যপথ ত্যাগ করে
তোমাদের নিকৃষ্টতম ব্যক্তির দাস হয়ে অবগ্রিষ্টি জীবন অতিবাহিত করি ৷ হিশাম বলেন, তারপর
তিনি আমাদেরকে মুল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়ে বিদায় জানালেন ৷ তারপর আমরা যখন আবু
বকর সিদ্দীক (রা)-এর কাছে আসলাম তখন আমরা দু’জন যা দেখেছি তাকে তা অবহিত
করলাম; কিত্তু তিনি আমাদেরকে তেমন কিছুই বললেন না বা আমাদেরকে কোন পুরস্কারও
দিলেন না ৷ হিশাম বলেন, তখন আবু বকর কেদে বললেন, হতভড়াগা সাে আল্লাহ যদি তার
মঙ্গল চাইতেন তাহলে সে যা বলেছে তাই করত ৷ তারপর বললেন, আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ্
(সা) জানিয়েছেন যে, (খ্রিষ্টানরা) ও ইয়াহুদীরা (তাদের গ্রন্থে) মুহাম্মদ (না)-এর দেহাকৃতির
বিবরণ পেয়ে থাকে ৷
ওয়াকিদী আলী ইবন ঈসা আল-হাকীমী আমির ইবন রাবিআর বরাতে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমি যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়লকে বলতে শুনেছি, আমি হযরত
ইসমাঈলের বংশধর থেকে একজন নবীর প্রতীক্ষা করছি, যিনি বানু আবদুল মুত্তালিব পরিবার
থেকে হবেন ৷ আমার মনে হয় না যে, আমি তার সাক্ষাৎ পাব, তবে আমি তার প্রতি ঈমান
আনছি, তার সত্যায়ন করছি এবং তার রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করছি ৷ তোমার আয়ু যদি
দীর্ঘ হয় আর তুমি তার দেখা পাও, তাহলে আমার পক্ষ থেকে তাকে সালাম বলবে, আর
আমি অবশ্যই তোমাকে তার দেহাবয়বের বর্ণনা দেবাে যাতে করে তার বিষয় তোমার কাছে
গোপন না থাকে ৷ আমি বললাম, তাহলে আপনি তার বিবরণ দিন ৷ তখন তিনি বললেন, তিনি
অতি দীর্ঘকায় নন আবার খৰ্বাকৃতিও নন ৷ অতি ঘন চুলওয়লো নন আবার অতিঅল্প চুলওয়ালাও
নন, তার চোখ থেকে লালিমা সরে না; নুবুওয়াতের মোহর চিহ্ন তার স্কন্ধদ্বয়ের মাঝে, তার
নাম আহমদ-এই শহর জন্মভুমি এবং নবুওয়াত লাভের স্থান, তারপর তার সম্প্রদায় তাকে
সেখান থেকে বহিষ্কার করবে, এবং তার আনিত পয়গামকে তারা অপছন্দ করবে, অবশেষে
তিনি য়াছরিবে হিজরত করবেন এবং সেখানে তার (দীনের) আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ সুতরাং
তার ব্যাপারে তুমি কোন প্রতারণার শিকার হয়াে না, হযরত ইবরাহীমের দীনের সন্ধানে আমি
দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছি, এ সময় যে সকল ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান ও মাজুসীকে (এ সম্পর্কে)
জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তারইি বলেছে এই দীনই সেই দীন, এবং তারা তার সেরুপ বিবরণই
দিয়েছে, যেরুপ আমি তোমাকে দিলাম ৷ তাদের বক্তব্য হলো, তিনি ছাড়া আর কোন নবী
নেই ৷ আমির ইবন রাবীআ বলেন, তারপর আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করলাম তখন নবী করীম
(সা) যায়দ ইবন আমর ইবন নুফায়লের বক্তব্য ও তাকে তার সালাম জানানোর কথা বললাম ,
তখন তিনি তার সালামের উত্তর দিয়ে তার জন্য রহমতের দৃআ করলেন এবং বললেন,
জান্নড়াতে আমি তাকে কাপড়ের খুট টেনে ধরে হটিতে দেখেছি ৷
অধ্যায়
দালাইলুন নবুওয়াহ বা নবুওয়াতের প্রমাণসমুহ
এ সকল প্রমাণাদি দৃ’প্রকার ৷ ১ ৷ অভীন্ডিয়, ২ ৷ ইদ্রিয়গ্রাহ্য ৷ তার নবুওয়াতের অন্যতম
অতীদ্রিয় প্রমাণ হল তার উপর কুরআন অবতীর্ণ হওয়া ৷ আর তা নিঃসন্দেহে ণ্শ্রষ্ঠতম ঘুজিযা,
উজ্জ্বলতম নিদর্শন এবং স্পষ্টতম প্রমাণ ৷ কেননা, এই কুরআন এমন এক অলৌকিক গঠন ও
বিন্যাসের ধারক যা দ্বারা সে সমগ্র মানব ও জিন জাতিকে চ্যালেঞ্জ করেছেতার অনুরুপ গ্রন্থ
রচনার জন্য, কিন্তু তারা তাতে অক্ষম হয়েছে ৷ অথচ তার (কুরআনের) শত্রুদের মাঝে তার
প্রতিদ্বস্মিতার বহু উপাদান মওজুদ ছিল, তাদের কাজে তাদের ভাষার প্রাঞ্জলতা ও অনুপম
অলঙ্কার জ্ঞান ৷ তারপর কুরআন তাদেরকে কুরআনের সুরার ন্যায় দশটি সুরা রচনার আহ্বান
জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছে, কিন্তু এতেও তারা অক্ষম হয়েছে ৷ সর্বশ্যেষ কুরআন তাদেরকে
সর্বনিম্ন একটি মাত্র সুরা রচনার চ্যালেঞ্জ ছুড়োছ; কিন্তু এতেও তারা অক্ষম হয়েছে ৷ আর এ
বিষয়ে নিজেদের অক্ষমত৷ ও অযোগ্যতার কথা তারা জানত আর এও তার জানতো যে, এই
কুরআন এমন একটি গ্রন্থ, যার অনুরুপ কোন গ্রন্থ রচনার কারও কোন সাধ্য নেই আল্লাহ্
তা জানা বলেন ং
বল, যদি এই কুরআনের অনুরুপ কুরআন আনয়নের জন্য সমস্ত মানুষ ও জিন একত্রিত
হয় এবং তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা এর অনুরুপ আনয়ন করতে পারবে না”
(১৭ আল ইসরা ং ৮৮) ৷ এটি মকী আয়াত আর সুরা আত্-তুরে তিনি বলেন, আর সেটিও
মকী সুরা-
“নাকি তারা বলে, এই কুরআন তার নিজের রচনা, বরং তারা অবিশ্বাসী, তারা যদি
সত্যবাদী হয়ে থাকে তাহলে এর সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না (৫২ আত্ ভুর :
অর্থাৎ (হে কুরআন বিরোধিরা) যদি তোমরা বিশ্বাস করে থাক যেত তিনি তার নিজ থেকে
এই কুরআন রচনা করেছেন তাহলে তিনি তো তোমাদের মতই মানুষ, সুতরাং তিনি যা
এসেছেন তার মত কিছু তােমরাও আন ৷ কেননা তোমাদের দাবি তো তোমরা তারই মত ৷
সুরা বাকারাতে আল্লাহ্ তাআলা পুনরায় চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আর এটি মাদানী সুরা :