Home » অনুবাদকৃত বইসমুহ » আল বিদায়া ওয়ান্নিহায়া - খন্ড ৬ » নবী করীম, (না)-এর ঘোড়া ও অন্যান্য বাহনের বিবরণ

নবী করীম, (না)-এর ঘোড়া ও অন্যান্য বাহনের বিবরণ

  • 3000+ Premium WORDPRESS Themes and Plugins
  • Download PHP Scripts, Mobile App Source Code
  • নবী করীম (না)-এর ঘোড়া ও অন্যান্য ৰাহনের বিবরণ

    ইব ন ইসহাক ইয়াযীদ ইবন হাবীব হযরত আলী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন,
    নবী করীম (না)-এর আলমুরতাজিয’ নামে একটি ঘোড়া, উফায়র’ নামে একটি শাখা এবং
    দুলদুল’ নামে একটি খচ্চর ছিল ৷ আর তার তরবারির নাম ছিল যুলফাকার’ ৷ তার বর্মের নাম
    যুলফুয়ুল’ ৷ ইমাম বায়হাকী (র) আল হাকামের হাদীস থেকে হযরত আলী (রা) সুত্রে
    এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী (র) বলেন, সুনান গ্রন্থে আমরা নবী (না)-এর সেই
    ঘোড়াগুলির নামের বিবরণ দিয়েছি, যেগুলি সাঈদীদের কাছে ছিল ৷ লায্যায আল-লাহীফ
    মতাম্ভরে আল-লাথীফ এবং আয্যরীর আর আবু তালহার যে ঘোড়ার তিনি আরোহণ
    করেছিলেন তার নাম ছিল আল-মানদুব’ ৷ তার উটনীর নাম ছিল কাসওয়া’, আয্বা’,
    জাদআ’ ৷ তার খচ্চর ছিল আশ-শাহ্বা’ ও বায়যা’ ৷ বায়হাকী (র) বলেন, কোন বর্ণনায় এ
    কথা নেই যে, নবী করীম (সা) এসব রেখে ওফাত লাভ করেছিলেন ৷ তবে তার থচ্চর
    আল-বায়যা’ সম্পর্কে রিওয়ায়াত পাওয়া যায় ৷ এ ছাড়া তার যুদ্ধের হাতিয়ার (বর্য যা জনৈক
    য়াহুদীর কাছে বন্ধক ছিল) এবং তু-সষ্পত্তি, যা তিনি সাদকা করে দিয়েছিলেন ৷ আর তীর
    পরিধেয় কাপড়-চােপড়, খচ্চর এবং আত্টি যার বিবরণ বর্তমান অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে ৷

    আবু দাউদ তড়ায়ালিসী (র) যামআ ইবন সালিহ্ সাহ্ল সাদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন ওফাত লাভ করেন তখন তার একটি পশমী জুবৃবা (পরিধেয়)
    বোনা হচ্ছিল ৷ এ সনদটি বেশ উত্তম ৷ হাফিয আবু ইয়াল৷ তীর মুসনাদে’ রিওয়ায়াত
    করেছেন, মুজাহিদ আনাস থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তুলে
    নেয়া হল আর তখন তার জন্য একটি বস্ত্র বোনা হচ্ছিল ৷ এ বর্ণনাটি পুর্ববর্তী বংনাির শাহিদ
    বা সমর্থক ৷ আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী সাদান ইবন নুসায়র ফাতিমা বিনত হুসায়ন সুত্রে
    বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন ওফাতপ্রাপ্ত হন তখন তার পরিধেয় দু’খানি চাদর র্তাতে
    বোনা হচ্ছিল ৷ এই বর্ণনাটি মুরসাল’ ৷ আবুল কাসিম তাবারানী হাসান ইবন ইসহড়াক
    ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একটি তরবারি ছিল ,
    যার বীট ও বীটের প্রান্ত ছিল রুপার ৷ তিনি তার নাম দিয়েছিলেন যুলফাকার’ ৷ এ ছাড়া
    আস্সাদাদ,’ নমে একটি ধনুক আল-জামা’ নামে একটি তুনীর, যাতুল ফুয়ুল’ নামে
    তাম্রখচিত একটি বর্য, আসৃ সাগা’ নামে একটি বল্লম, আয্-যাকান’ নামে একটি ঢাল এবং
    আলমুজিয’ নামে একটি সাদা ঢাল ছিল ৷ আর ছিল আস সাকাব’ নামে একটি ঘোর কৃষ্ণ
    বর্ণের ঘোড়া এবং আদৃদাজ’ নামে তার একটি জিন বা দুলদুল নামে ধুসর বর্ণের একটি খচ্চর,
    আল-কাসওয়া’ নামক একটি উটনী, ইয়াকুব নামক একটি গাধা ৷ তদ্র্যপ তার আলকাবৃ’
    নামক একটি গালিচা, আনপুনামির’ নামে একখানা নামিরা’ (বিছানার চাদর) , আস্সাদির
    নামে চামড়ার একটি পানপাত্র, আল-মিরসা’ নামক একটি আয়না, আলজাহ্’ নামক একটি
    র্কাচি এবং আলমাম্শুক নামক একটি তরবারি ছিল ৷

    আমি (গ্রন্থকার) বলি, ইতিপুর্বে একাধিক সাহারা সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
    মৃত্যুকাংল্ কোন দিরহড়াম-দীনার (টাকা কড়ি) কিত্বা দাস-দাসী রেখে যাননি ৷ তিনি রেখে
    গিয়েছিলেন একটি মাত্র মাদী খচ্চর এবং একখণ্ড ভুমি, যা তিনি সাদ্কারুপে নির্ধারিত
    করেছিলেন ৷ এ বর্ণনার দাবি হল, নবী করীম (না) আমাদের উল্লেখিত তার সকল

    — :

    দাস-দড়াসীকে আযাদ করে দিয়েছিলেন এবং আমাদের উল্লেখিত ও অনুল্লোখিত সকল অস্ত্রশস্ত্র,
    গৃহপালিত পশু ও বাহন গৃহসামগ্রী ও অন্যান্য সামগ্রী যার উল্লেখ আমরা করেছি বা কবিনি-
    সব দান করে ফেলেছিলেন ৷ আর তার মাদী খচ্চরটি হল আশৃশাহ্বা’ (ধুসর বর্ণ) এবং এটি
    বায়দাও’ বটে ৷ আল্লাহ্ই সমাধক অবগত ৷ আর বায়দা হচ্ছে সেই খচ্চর, যা তাকে
    আলেকজাদ্রিয়ার শাসক মুকাওকিস উপচৌকন স্বরুপ দিয়েছিলেন ৷ উক্ত মুকাওকিসের আসল
    নাম হচ্ছে জুরায়জ ইবন মীনা ৷ এটিই সেই বাহন, যার উপর আরোহণ করে হুনায়ন যুদ্ধের দিন
    শত্রুব্যুহ যুহ্বখামুখি হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে তার সম্মানিত নাম নিয়ে বীরতু ব্যঞ্জক ধ্বনি
    দিচ্ছিলেন ৷ বর্ণিত আছে যে, এই খচ্চবটি নবী করীম (সা) এর ওফাতের পরও জীবিত ছিল
    এবং হযরত আলী (রা) এর খিলাফতকালে তার কাছে ছিল ৷ এরপর তা দীর্ঘকাল বেচে ছিল,
    এমনকি এরপর৩ তা আবদুল্লাহ ইবন জা ফরের কাছে ছিল ৷ আর এটি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে
    তিনি তার জন্য যব একত্র করে যেতে তেন ৷

    আর নবী করীম (সা)-এর গাধা ইয়া কুব যাকে কখনো আদবের সাথে ক্ষুদ্রতা জ্ঞাপক শব্দ
    প্ৰয়োগে উফায়র’ও বলা হত, তিনি মাঝে মাঝে তাতে আরোহণ করতেন ৷ এ প্রসঙ্গে ইমাম
    আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের হাদীস থেকে হযরত আলী (রা)-এর উদ্ধৃতিতে
    বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) উফায়র নামে একটি গা ধায আরোহণ কররুতেন ৷ ইবন
    মাসউদ সনদে আবু ইয়া লা আওন ইবন আবদুল্লাহ্ত তা বর্ণনা করেছেন ৷ একাধিক হাদীসে
    এসেছে যে, নবী করীম (সা) গাধায় আরোহণ করেছেন ৷ বুখারী, মুসলিমে এসেছে, একবার
    রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি পাধায় আরোহণ করে একটি মজলিশ অতিক্রম করলেন-যেখানে
    আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুল; মুসলমান য়াহুদী এবং মুর্তি পুজারী মুশরিকদের দলের
    সাথে একত্রে অবস্থান করছিল ৷ সেখানে পৌছে বাহন থেকে নেমে তিনি তাদেরকে আল্লাহর
    দিকে আহবান করলেন ৷ এটি ছিল বদর যুদ্ধের পুর্ববর্তী সময়ের ঘটনা ৷ আর এসময় তিনি
    অসুস্থ সাদ ইবন উবাদাকে দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন ৷ তখন (মুনাফিক)
    আবদুল্লাহ তাকে বলল, ওহে ব্যক্তি ! আপনার কথার চেয়ে উত্তম কথা হতে পারে না, আর তা
    যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলেও তা বলে আপনি আমাদের মজলিসে ঝামেলা বাধাবেন না ৷

    এ ঘটনা ছিল ইসলাম প্রবল হওয়ার পুর্বেকার ৷ কোন কোন বর্ণনায় এসেছে রাসুলুল্লাহ্
    (সা )-এব বাহনের পায়ের (উৎক্ষিপ্ত) ধুলা যখন সকলকে অচ্ছেন্ন করল তখন সে তার নাক
    ঢেকে বলল : আপনার পাধার দুষ্ন্ধি দ্বারা আমাদেরকে বিরক্ত করবেন না ৷ তখন আবদুল্লাহ
    ইবন রাওয়াহা (রা) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গাধার
    দুর্ণথব্ তোমার ঘ্রাণের চাইতেও অধিকতর সুগন্ধিময় ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ (রা) আরো
    বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি ঐ আরোহণ নিয়ে আমাদের মজলিসে আসবেন; কেননা,
    আমরা তা পছন্দ করি ৷ এই বাদানুবাদের ফলে উভয় গোত্রের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দিল
    এবং তারা পরস্পর লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হতে উদ্যত হল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে শান্ত
    করলেন ৷ এরপর তিনি যা“ দ ইবন উবাদার কাছে গেলেন এবং তার কাছে আবদুল্লাহ ইবন
    উবায়য়ের আচরণের অনুযোগ করলেন ৷ সা দ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্!ত তার প্রতি আপনাকে
    একটু কোমল হতে হবে ৷ শপথ ঐ সত্তার, যিনি সতাসহ আপনাকে প্রেরণ করেছেন, তাকে
    আমাদের রাজা রুপে বরণ করার জন্য আমরাতাে তার রাজমাল্য প্রস্তুত করছিলাম ৷ এরপর

    আল্লাহ যখন সতের আবির্ভাব ঘটালেন, তখন আপনার প্রতি বিদ্বেষে তার কষ্ঠনালী শুকিয়ে
    গেল ৷ ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি, খয়বার অভিযান কালে নবী করীম (সা) কোন কোন
    দিন পাধায় আরোহণ করেছেন ৷ এ বর্ণনাও এসেছে যে, একটি গাধায় হযরত মুআযকেসহ
    আরেড়াহীরুপে বসিয়েছিলেন ৷ এ প্রসঙ্গের সব বিবরণ সনদ ও ভাষ্যসহ উল্লেখ করলে পরিচ্ছেদের
    কলেবর বৃদ্ধি পেত ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷
    আর কাযী ইয়ায ইবন মুসা সাবৃতী তার গ্রন্থ আশৃ-শিফাতে তার পুর্বে ইমামুল হারামায়ন
    তার আল-কাবীর ফী উসুলুদ্দীন’ গ্রন্থে এবং অন্যান্যরা এই মর্মে যা উল্লেখ করেছেন যে, যিয়াদ
    ইবন শিহাব নামে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর একটি শাখা ছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে কোন
    কোন সাহাবাকে ডেকে আনতে পাঠাতেন ৷ তখন সে গিয়ে তাদের কারো বাড়ির দরজায় ঠক্
    ঠক্ করলে তিনি বুঝতে পারতেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে তলব করেছেন ৷ এবং এই মর্মে
    যে পাধাটি নবী করীম (না)-কে এ তথ্য দিয়েছিল যে, যে এমন সত্তরঢি পাবার অধ৪স্তন
    ত্শ ধর , যাদের প্রতেদ্রকেই কোন না কোন নবীর বাহন ছিল এবং এই মর্মে যে, নবী (না)-এর
    ওফাত হলে পাধাটি এক কুপে পড়ে মারা যায় ৷ এটি এমন এক হাদীস, যার সনদের আদৌ
    কোন পরিচয় পাওয়া যায় না ৷ হাদীস বিশারদদের অনেকেই যেমন আবদুর রহমান ইবন আবু
    হাতিম ও তার পিতা (র) প্রমুখসহ এ হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ আমাদের শায়খ আবুল
    হাজ্জাজ আল-মিয্যীকে একাধিকবার এই হাদীসখানি চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করতে শুনেছি ৷
    হাফিয আবুনুআয়ম তার দালাইলুন নুবুওত’ গ্রন্থে আবুবক্র আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুসা
    আমবারীর বরাতে মুআয ইবন জাবাল থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, খয়বারে
    অবস্থানকালে নবী করীম (না)-এর কাছে একটি কাল গাধা এসে দাড়িয়ে গেল ৷ তখন তিনি
    তাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি অমুকের পুত্র আমর, আমরা ছিলাম সাত তাই,
    আমাদের সকলকেই নবীগণ বাহন বানিয়েছেন ৷ আমি তাদের সকলের কনিষ্ঠ ৷ আমি ছিলাম
    আপনার জন্য নির্ধারিত; কিভু জনৈক ইয়াহুদী আমার মালিকানা লাভ করে ৷ আমি যখন
    আপনাকে স্মরণ করতাম তখন তাকে নিয়ে হোচট (খতাম তখন সে আমাকে ভীষণ প্রহার
    করত ৷ তখন নবী করীম (মা) তাকে বললেন, তাহলে তুমি ইয়াকুর ৷ এটিও একটি বিরল
    বর্ণনা ৷

    পরিচ্ছেদ

    এখন নবী চরিত্রের অবশিষ্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বর্ণনার সময় ৷ আর তা চারটি অধ্যায়ে
    বিভক্ত :

    ১ শামাইল অর্থাৎ নবী (না)-এর অবয়ব-আকৃতি ও স্বভাব-চব্রিত্র, ২
    দালাইলুন-নুবুওয়াতের অনুকুলে যুক্তি-প্রমাণ ও পুর্বাভাস ইত্যাদি, ৩ ফাযাইল-নবী করীম
    (সা)এর মাহাত্ম্য ও গুণাবলী প্রসঙ্গ, : খাসাইস বা তার বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গ ৷ আল্লাহ সহায়,
    তিনিই ভরসা ৷ পরড়াক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ব্যতীত কোন শক্তি-সড়ামর্থ্য নেই ৷

    কিতাবুশ শামাইল : রাসুল (না)-এর দেহাবয়ব ও পবিত্র স্বভাব

    অতীতে এবং সাম্প্রতিককালে লেখক-সংকলকগণ এ বিষয়ে বহু স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত গ্রন্থ রচনা
    করেছেন ৷ এ সংক্রান্ত সর্বোত্তম, সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক উপযোগিতা সম্পন্ন গ্রন্থখানি হল আবু
    ঈসা মুহাম্মাদ ইবন ঈসা ইবন সাওরা আৎ তিরমিযী (র)-এর ৷ এ: বিষয়ে তিনি তার
    আশশামাইল’ নামক প্রসিদ্ধ কিতাব স্বতন্ত্রভাবে সংকলন করেছেন ৷ আর আমাদের কাছে তার
    অবিচ্ছিন্ন সনদ বা সংগ্রহসুত্র বিদ্যমান রয়েছে ৷ এখানে আমরা শামাইলে তার সংকলিত
    বিবরণের মুখ্য অংশ উল্লেখ করছি ৷ উপরন্তু এমন কিছু অতিরিক্ত বিষয় আলোচনা করব, হাদীস
    ও ফিকাহবিদগণ যার অভাব বোধ না করে পারেন না ৷ প্রথমে আমরা তার চোখ র্ধাধানো
    সৌন্দর্যের আলোচনা করব ৷ তারপর তার বিশদ বিবরণ উপস্থাপন করব ৷ আর এই মুহুর্তে
    আমাদের বক্তব্য হল (সহায়রুপে) আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম
    কর্মবি ধায়ক ৷

    নবী করীম (সা)শ্এর দীপ্তিময় ও অনুপম সৌন্দর্যের বিবরণ

    ইমাম বুখারী (র) আহমদ বিন সাঈদ আবু আবদুল্লাহ সুত্রে আবু ইসহাকের বরাতে
    উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বারা ইবন আযিব (রা)-কে বলতে শুনেছি, নবী
    করীম (সা) লোকদের মাঝে সুন্দরতম চেহারা ও সর্বোত্তম স্বভাবের অধিকারী ছিলেন ৷ অতি
    দীর্ঘকায়ও নন কিৎবা খর্বাকৃতিও নন ৷ আবু কুরায়ব সুত্রে ইমাম মুসলিমও এরুপই বর্ণনা
    করেছেন ৷ এছাড়া বুথারী (র) জাফর ইবন উমরের সুত্রে বারা ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণনা
    করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) ছিলেন মধ্যম আকৃতির, তার ইে কাধের মধ্যে বেশ
    ব্যবধান ছিল ৷ তার কেশ তার উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌছে থাকত ৷ আমি তাকে লাল বর্ণের
    জোড়া পােশাকে দেখেছি ৷ তার চাইতে অধিকতর সুন্দর কিছু আমি কখনো দেখিনি ৷ এ
    রিওয়ায়াতে য়ুসুফ ইবন আবু ইসহাক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার চুল পৌছত তার
    উভয় র্কাধ পর্যন্ত ৷ ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত ধারা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
    বলেন, লাল জোড়া পােশাকেরাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেয়ে সুদর্শন কোন বাবরি চুলবিশিষ্ট লোক
    আমি দেখিনি ৷ তার মাথার চুল উভয় র্কাধ্ স্পর্শ করত আর তার উভয় কাধের মধ্যে বেশ
    ব্যবধান ছিল ৷ তিনি দীর্ঘকায় নন, বেটেও নন ৷ আর ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও
    নাসাঈ ওকী বর্ণিত হাদীস থেকে এ সনদে তা রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আসওদ
    ইবন আমির আবুইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত বারা (রা)-কে বলতে
    শুনেছি, আল্লাহর সৃষ্টিকুলে লাল জোড়া পােশাকে আমি আল্লাহর রাসুলের চাইতে অধিকতর
    সুন্দর কাউকে দেখিনি ৷ আর তার বাবরি চুল তার উভয় র্কাধ স্পর্শ করত ৷ ইয়াহ্য়া ইবন আবু
    বুকায়র বলেন, তীর উভয় কাধের কাছাকাছি পৌছত ৷ ইবন ইসহড়াক বলেন, আমি তাকে
    বারংবার এ হাদীস রিওয়ায়াত করতে শুনেছি ৷ যখনই তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন তখনই
    তিনি হাসতেন ৷ আর বুখারী এই হাদীসটি ইসরইিল সুত্রে পরিচ্ছদ’ অধ্যায়ে, তিরমিযী
    শামইিল’ অধ্যায়ে এবং নাসাঈ সাজসজ্জা’ অধ্যায়ে ৷

    সম্পর্কিত পোস্ট:


    নোটঃ নবী করীম, (না)-এর ঘোড়া ও অন্যান্য বাহনের বিবরণ Download করতে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমাদেরকে জানান। যোগাযোগ করতে এখানে ক্লিক করুন।

    মীযান জামাতের সমস্ত কিতাব PDF Download

    নাহবেমীর জামাতের কিতাব PDF Download

    হেদায়াতুন নাহু জামাতের কিতাব PDF Download

    কাফিয়া জামাতের কিতাব PDF Download

    শরহে জামী জামাতের কিতাব PDF Download

    জালালাইন জামাতের কিতাব PDF Download

    মেশকাত জামাতের কিতাব PDF Download

    দাওরায়ে হাদিসের কিতাব সমূহ PDF Download

    মাদানী নেসাবের কিতাবসমূহ PDF Download

    Leave a Comment

    This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.